শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩

আল-কায়েদার জিম্মিদশা থেকে কর্নেল আনামের ঘরে ফেরা

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার, এনডিসি (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
আল-কায়েদার জিম্মিদশা থেকে কর্নেল আনামের ঘরে ফেরা

ইয়েমেন থেকে আবুধাবি বিমানবন্দরে একটি সি-১৩০ বিমান ল্যান্ড করল ৮ আগস্ট সকাল ১০টায়। প্লেনে কর্নেল আনামের পাশে বসেছিলেন আরব আমিরাতের গোয়েন্দা বিভাগ ‘এনআইএস’-এর একজন এজেন্ট। তিনি আনামকে জানালেন প্লেন এখন আবুধাবিতে। বিমান থেকে বের হয়ে ঝলমলে বিমানবন্দরে নিজেকে এখন সত্যিই মুক্ত মনে করলেন আনাম...। বন্যা, ডেঙ্গু, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সুসংবাদ এলো। ইয়েমেনে আল-কায়েদার জিম্মিদশা থেকে জাতিসংঘ কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল এ কে এম সুফিউল আনামকে গত ৮ আগস্ট ২০২৩ উদ্ধার করা হয়। প্রায় দেড় বছর বন্দিদশা থেকে মুক্তির সংবাদে তাঁর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, সামরিক-কমিউনিটিসহ অনেকের মধ্যে এনেছে সন্তোষ ও স্বস্তির পরশ। ডিওএইচএস মিরপুরের দৃষ্টিনন্দন ‘জ্যোসনা সরোবরের’ কিছুটা দক্ষিণে একটি সুন্দর ইমারতের নাম ‘আনামস’। কয়েক দিনেই দালানটির চারপাশের বৃক্ষলতা ফুলে কী দারুণ সজীবতা! প্রকৃতিও কি মানুষের আনন্দ বেদনার কথা বোঝে?

মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন বসতি ও প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইয়েমেন। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ইয়েমেনে আজ চরম অরাজকতা। ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত এক জনপদ। এটি বর্তমানে আরব বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। জাতিসংঘ মতে, ইয়েমেনে আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট বিপর্যয়। তবে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে ২০১৮ সালে যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে ও যুদ্ধবিরতি চলছে। ২০১৯ সাল থেকে সেখানে পলিটিক্যাল মিশন চলছে। কর্নেল আনাম ২০১৯ সাল থেকে ইয়েমেনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগের ফিল্ড সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেশন অফিসার (প্রধান) হিসেবে এডেনে কর্মরত ছিলেন। উল্লেখ্য, লে. কর্নেল এ কে এম সুফিউল আনাম ১৯৭৭ সালে শর্ট সার্ভিস কমিশন-৪ (এসএসসি-৪) এর সঙ্গে সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। এ চৌকশ কর্মকর্তা ২০০৫ সালে অবসরগ্রহণ করেন ও সেই বছর থেকে তিনি জাতিসংঘের ‘ইন্টারন্যাশনাল সিভিল সার্ভিস কমিশনের’ অধীনে কাজ করে আসছিলেন।

২০২২-এর ১১ ফেব্রুয়ারি লে. কর্নেল আনাম ও তাঁর দল নিরাপত্তা মূল্যায়নের জন্য আবিয়ান প্রদেশে যান। ওই ফিল্ড মিশন শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে আনামসহ আরও পাঁচ কর্মীকে মুদিয়াহ শহর থেকে আল-কায়েদার (আল-কায়েদা ইন আরব পেনিনসুলা) একটি দল অপহরণ করে।

অপহরণের ঘটনার পর পরই ইয়েমেনের জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ জিম্মি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করে। তাদের অনুরোধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারও উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালায়। জাতিসংঘ সদর দফতর তৎপর হয়। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ সদর দফতরে কর্মরত ইন্টারন্যাশনাল সিভিল সার্ভিস কমিশনের কয়েকজন বাংলাদেশি কর্মকর্তার (অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা) সক্রিয়তা ছিল প্রশংসনীয়। আনামের মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ ডলার ও একই সঙ্গে সরকারি কর্তৃপক্ষের হাতে আটক আল-কায়দা সদস্যের মুক্তি দাবি করেছিল আল-কায়েদা। তবে মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি উদ্ধার জাতিসংঘ নীতিগত অবস্থানের বাইরে। এর ফলে জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় আন্তরিকতা থাকলেও ফলাফল দৃশ্যমান হয়নি।

কর্নেল আনামের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে অনুরোধ করা হয়, বিশেষত সরকার ও সেনাবাহিনীর কাছে। কাজি নাসরিন আনাম জীবনের এ পর্যায়ে এসে জীবনসঙ্গীকে উদ্ধারে এক ধরনের যুদ্ধে নেমে পড়েন। আনামকে মুক্ত করতে গত বছরের ৩ মার্চ তারিখে তাঁর সহধর্মিণী নাসরিন আনাম প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর চিঠি পাঠান। শুরু থেকেই বাংলাদেশ সরকার বিশেষত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে আসছিল। অসাধারণ আন্তরিকতা ও উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসেন কর্নেল আনামের সেনাবাহিনীর কোর্সমেট (এসএসসি-৪) বা সতীর্থ অফিসাররা। যোগাযোগের জন্য তাঁরা ‘ফ্রেন্ডস ফর আনাম’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেন। অসাধারণ উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেন সেনাবাহিনী প্রধান। এগিয়ে আসে রাওয়া কর্তৃপক্ষ ও এএফডি। অবসরপ্রাপ্ত সহস্র সামরিক কর্মকর্তাদের ফেসবুকে তাদের প্রিয় সহকর্মীর মুক্তির আকুতি ব্যক্ত হয়।

ঘটনাটি ইয়েমেনে সংঘটিত হওয়ায় জিম্মি উদ্ধারের দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হয়ে যায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অত্যন্ত দায়িত্বশীলতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এ কাজ পরিচালনা করে। ১৭ আগস্ট, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে কীভাবে সুফিউল আনামকে উদ্ধার করা হলো সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পরই কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে (ইয়েমেনে সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত) উদ্ধার তৎপরতা চালানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যান্য দূতাবাসকেও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির মাধ্যমে এ বিষয়ে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হয়।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে উদ্ধার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।

বিষয়োক্ত স্টিয়ারিং কমিটি জিম্মি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করে। এমন একটি মিটিং চলাকালে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা কল্পনাপ্রসূত তাঁর নোটবুকে লিখলেন- ‘অপারেশন এডেন’। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন উদ্ধার প্রক্রিয়ার ফোকাল পয়েন্ট।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওমান, সৌদি আরব, কাতার ও ইয়েমেনে প্রতিনিধি দল প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ওমান, ইয়েমেন, কাতার, কুয়েত এবং আবুধাবি সরকারের সহায়তা চেয়ে নোট ভারবাল প্রেরণ করা হয়। ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ওমান, কাতার এবং সৌদি আরব সফর করেন। এ প্রতিনিধি দলে সেনাবাহিনী, ডিজিএফআই, এনএসআই ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। এ প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন কর্নেল কাজি মাহমুদ জাকারিয়া। মধ্যপ্রাচ্য-অভিজ্ঞ প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত শেখ সেকান্দার আলী ছিলেন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার। এ দলের কর্মকান্ড  জিম্মি উদ্ধার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট অবদান রাখে।

মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান বর্তমানে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইয়েমেনেও সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত। সার্বিক উদ্ধার প্রক্রিয়ায় এ রাষ্ট্রদূত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

গোয়েন্দা বাহিনীর সফলতা নিয়ে সাধারণত আলোচনা হয় না। ব্যর্থতা বা ভুলত্রুটি নিয়েই কথা হয়। তবে এ এক ভিন্ন কাহিনি। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাকেও (এনএসআই) উদ্ধার বিষয়ে নির্দেশ দেন। মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের এ সংস্থার মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।

৯ আগস্ট সুফিউল আনামের সঙ্গে ঢাকা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন এনএসআই-এর পরিচালক মোহাম্মদ ইমরুল মাবুদ। তিনি বলেন, ‘কর্নেল সুফিউল আনাম স্যারের অপহরণের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনা আমাদের ওপর ছিল। আমরা দীর্ঘদিন এটা নিয়ে কাজ করেছি। এ কাজের সময় আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন দেশ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অনেকের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। ওরা আমাদের কাছে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছিল। কিন্তু আমরা স্যারকে কোনো ধরনের মুক্তিপণ ছাড়াই উদ্ধার করতে পেরেছি।’ উদ্ধারের জন্য এনএসআই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএস এ বিষয়ে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। যতদূর জানা যায়, মূলত ইয়েমেনে ‘এনআইএস’-এর এজেন্টের মধ্যস্থতায় আনামকে আল-কায়দা থেকে উদ্ধার করা হয় এবং বিমানযোগে তাকে আবুধাবিতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এনএসআই-এর তত্ত্বাবধানে আবুধাবি থেকে আনামকে ৯ আগস্ট ঢাকায় আনা হয়। উদ্ধারে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দেশে পৌঁছে আনাম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বন্দিজীবনের কথা বলেন...‘আমি এতদিন যে পরিবেশে ছিলাম সেটা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এগুলো অ্যাকশন মুভিতে দেখা যায়; কিন্তু বাস্তবে এ অভিজ্ঞতা সবচেয়ে কঠিন। আমি ছিলাম পাহাড়ের ভিতর ও মরুভূমির মধ্যে। মাসের পর মাস আমি আকাশ-বাতাস দেখতে পাইনি। পাহাড়ের ভিতর ও মরুভূমির মাঝখানে চলছিল আমার দুর্দশাময় জীবন।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমাকে সবাই ভুলে গেছে। আমি পুরো হতাশাগ্রস্ত একজন মানুষ হয়ে গিয়েছিলাম। অত্যন্ত বিপদসংকুল অবস্থায় আমি সময় পার করেছি। প্রতিটিক্ষণ ছিল আমার সন্ত্রাসীদের ভয়, মৃত্যুর ভয় ও দুর্ঘটনার ভয়।’ ১৮ মাসের বন্দিদশায় সুফিউল আনাম এবং চারজন সহকর্মীকে বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। দিনগুলো ছিল বিভীষিকাময়। অধিকাংশ শেল্টার কক্ষ ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর। একটি শেল্টার ছিল পাথর দিয়ে ঘেরা। পাথরের ঘরটি ছিল কোবরা সাপ-বিচ্ছুসহ বিষাক্ত পোকা-মাকড়ে ভর্তি। পুরো যাত্রায় তাঁবুতে থাকা ছিল সবচেয়ে কষ্টের। বালিঝড় ছিল সেখানে থাকাকালীন সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্ত। প্রচ- গরম পড়ত। কখনো তাদের ওপর দিয়ে উড়ত ড্রোন। তাঁবুতে থাকতে তাদের পায়ের গোড়া দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সেগুলো যুক্ত ছিল বিস্ফোরকের সঙ্গে।

কর্নেল আনাম বলেন, আল-কায়েদার সদস্যরা তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে। কোনোরকম নির্যাতন, দুর্ব্যবহার করেনি। তারা আমাদের বলেছিল, তারা আমাদের হত্যা করবে না। জানাত যে, মুক্তির জন্য আলোচনা চলছে। বন্দিদের খাবারের মান ভালো ছিল। সুফিউল আনাম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল রমজানের আগে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর বলা হলো ঈদের আগে। এরপর বলা হলো ঈদুল আজহার আগে। কিন্তু মুক্তি আসেনি। তবে তিনি আশা ছাড়েননি। তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন। ইবাদত বন্দেগিতে দীর্ঘ সময় কাটত। এ সময় ধর্মের মধ্যে আশ্চর্য শক্তি পেয়েছিলেন সুফিউল।

কর্নেল আনাম ও তার সহবন্দিরা দিন গুনতেন। অতীতের সুন্দর স্মৃতিগুলো ছিল শ্রেষ্ঠ এক সম্পদ। কখনো মুক্তির স্বপ্ন, জীবনের সোনালি সময়ের স্মৃতিচারিতা কষ্টের মাঝে তাকে অসামান্য স্বস্তি দিত। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আনামের মন ইয়েমেনের রুক্ষ প্রকৃতি ছেড়ে পাখির পাখায় উড়াল দিত সবুজ বাংলার দিকে। মনে পড়ত পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু ও জীবনসঙ্গীর প্রিয় মুখশ্রী।

গত জুন মাসে হঠাৎ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন আনাম। তাদের নিয়ে যাওয়া হলো একজন ইয়েমেনি শেখের বাড়িতে। কিছুটা আরামদায়ক বন্দোবস্ত। অনুমান করলেন মুক্তির বিষয়ে হয়তো অগ্রগতি হয়েছে। অবশেষে একদিন এলো প্রার্থিত সেই মুক্তির সংবাদ...।

৮ আগস্ট ২০২৩। কানাডার টরন্টোতে এখন ভোর। বুকে পৃথিবীর সব দুঃখ অভিমান আর হতাশা নিয়ে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজে বসেছেন কাজি নাসরিন আনাম। বন্দিদশা থেকে জীবনসঙ্গীর মুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ বেজে উঠল তার সেলফোন। অচেনা এক নম্বর থেকে কল। কিন্তু ওপার থেকে ভেসে এলো সেই প্রার্থিত কণ্ঠস্বর। ‘শোন... আমি আনাম বলছি, আমি মুক্তি পেয়েছি।’ আশ্চর্য এক বেহেস্তি আনন্দে মনটা ভরে গেল নাসরিন আনামের। এক লহমায় ব্যাক ইয়ার্ডের মেপল গাছের শ্যামা-সবুজ পাতাগুলো যেন হলুদ-কমলা লাল বর্ণে বর্ণিল হয়ে উঠল। ‘ফল’ এর এ ভোর বেলায় অপূর্ব দৃশ্যময় লেক অন্টারিওর দিকে সানন্দে উড়ে গেল এক ঝাঁক বুনো হাঁস। দি ক্রেনস আর ফ্লাইং...।

কর্নেল আনামকে উদ্ধারে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছিল। এটি ছিল কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এনএসআই, সেনাবাহিনী, জাতিসংঘ এবং আরও অনেককে মিলিয়ে একটি চমৎকার সমন্বিত প্রচেষ্টা। স্ব স্ব অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন : প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা ও সভাপতি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। মিডিয়া তার ভূমিকা পালন করেছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ও আশা জাগানিয়া দিক হলো বিপদে পড়া ব্যক্তির জন্য মানুষের দরদ ও আন্তরিকতা। এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে আশা ও প্রেরণা জোগায়। এ ঘটনায় সামরিক পরিসরের ব্যক্তিবর্গের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি সামরিক-কমিউনিটিতে ভ্রাতৃত্ববোধ ও কমরেডশিপকে উজ্জীবিত করেছে। জিম্মি উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। আমরা যেন এভাবে সব সময় একে অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারি। এ উদ্ধার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখা সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। নতুন জীবনে আমাদের কর্নেলকে স্বাগতম। ওয়েলকাম স্যার।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, গবেষক

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
আরাউহোকে বিক্রি করতে পারে বার্সা, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন
আরাউহোকে বিক্রি করতে পারে বার্সা, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

কৃষকের ৫ গরু চুরি
কৃষকের ৫ গরু চুরি

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা
পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা

৩ মিনিট আগে | বাণিজ্য

নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য

৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু
গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি
তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে
রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল
ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক
বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী

৪৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম
সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!
সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!

৫০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ
জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

৫২ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন
ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম
নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য
বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত
বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের
সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত
পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি