বাংলায় প্রচলিত একটি প্রবচন ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। এ প্রবচনের সহজ অর্থ দুর্বলের ঘাড়ে দোষ চাপানো। সবার জানা, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার, পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউসের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদরাসাগুলোর দিকে পশ্চিমা জগতের দৃষ্টি পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বে যে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়, তা মুসলমানদের জন্য সুখবর নয়। ধর্মীয় লেবাসধারীদের জন্য আরও বিব্রতকর। টুইন টাওয়ার ধ্বংস হওয়ার পর আমেরিকার সর্বত্র মুসলমানদের ওপর হামলা চলে। উগ্রপন্থিদের হাতে বেশ কিছু প্রাণের অপচয়ও ঘটে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, দুজন শিখও ওই সময় নৃশংস হামলায় নিহত হয়। মুখভর্তি দাড়ি আর মাথায় পাগড়ি- এ চেহারাই তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ১১ সেপ্টেম্বরের পর পশ্চিমা বিশ্বে যে মুসলিম বিদ্বেষের সৃষ্টি হয় দীর্ঘদিন তার রেশ অব্যাহত থাকে। মুসলমানদের ভিসা দিতে পশ্চিমা দেশগুলোর কড়াকড়ি আরোপ নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় গেলেও অনেক সময় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভারতের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সিনেমা অভিনেতা কমল হাসান তার নামের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিগৃহীত হন। শুটিং করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। কিন্তু হাসান নামটিতে মুসলিম গন্ধ থাকায় তা কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ৩ হাজার লোক নিহত হয়। আহত হয় ৬ হাজার। টুইন টাওয়ারে যারা নিহত হন তাদের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যাও কম নয়। যাদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ১৫ জন। মনুষ্য চেতনার অধিকারী কেউ এ সন্ত্রাসী ঘটনাকে সমর্থন করতে পারেন না। যারা বলেন মার্কিন মদতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে তাদের যুক্তির সঙ্গে একমত হওয়া যায় না। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা অবশ্যই মানবসভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়। এতে দ্বিমত পোষণের অবকাশ নেই। তবে একটি অন্যায়ের প্রতিবাদে আরেকটি অন্যায় কোনোভাবেই অনুমোদন করা যায় না। এমনকি ইসরায়েলি শাসকচক্রের জন্য গোটা ইহুদি জাতি কিংবা ইসরায়েলিদের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর মধ্যেও কোনো সুযুক্তি নেই। এমন ভ্রান্তি ইসরায়েলের যেসব মানুষ শান্তি ও সমঝোতার পক্ষে, তাদের দূরে ঠেলে দেওয়ার শামিল।
ইসরায়েলে যে বিবেকবান মানুষের সংখ্যা খুব একটা কম নয়, তার প্রমাণ মেলে গত শতাব্দীর শেষ ভাগের এক ঘটনায়। ইসরায়েলি বিমান বাহিনীকে লেবাননের একটি ফিলিস্তিনি শিবিরে বোমা হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই শিবির থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানো হয় এটিই ছিল তেল আবিবের শাসকদের যুক্তি। এ নির্দেশ মেনে নিতে ইসরায়েলের কয়েক ডজন বৈমানিক অস্বীকার করেন। যাদের মধ্যে একজন এয়ার ভাইস মার্শালও ছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল নিরপরাধ লোকদের হত্যা কোনো সেনাবাহিনীর নীতি হতে পারে না। এ জন্য তাদের কোর্ট মার্শাল হয়। নানা ধরনের শাস্তি ও চাকরিচ্যুত হওয়ার ভাগ্যবরণ করেন তারা। এই ইসরায়েলেরই একজন প্রধানমন্ত্রীকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি চাওয়ার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। গুটিকয়েক লোকের জন্য গোটা জাতি বা বিশেষ কোনো সম্প্রদায়কে দোষারোপ করার মানসিকতা যে ঠিক নয়, এটি তারই প্রমাণ।
মুসলিম বিশ্ব ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় সায় দেয়নি। তারপরও সন্ত্রাসীদের সহযোগী এই অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে মুসলমানদের ওপর। সে দেশের মসজিদগুলোর ওপরও নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটা ছিল একজনের দোষ অন্যের ওপর চাপানোর অসুস্থ মানসিকতা। ঠিক এ রকম ঘটনাই ঘটেছে বাংলাদেশে জঙ্গি উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ার পর। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশের প্রায় সবকটি জেলার ৫০০ স্পটে সিরিজ বোমা হামলার পর এ দেশেও মাদরাসা ছাত্রদের দুর্দিন শুরু হয়। টুপি-দাড়িওয়ালা কাউকে দেখলেই পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে তল্লাশি করেছে। দূর থেকে বন্দুক উঁচিয়ে থামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের শরীরের কোথাও বোমা বাঁধা নেই সেটি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে দূর থেকে। বাসে টুপি-দাড়িওয়ালা কেউ উঠলে তার দিকে সন্দেহের চোখে তাকিয়েছে অনেক যাত্রী। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থারও সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে বোমা সন্ত্রাসীরা যেহেতু মাদরাসার ছাত্র সেহেতু সব মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পশ্চিমাদের মতো কেউ কেউ এমন ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন, মাদরাসাগুলোতে শুধু বোমা তৈরির প্রশিক্ষণই দেওয়া হয়। জঙ্গি দমনে সেনাবাহিনী নামিয়ে আলজেরিয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছিল সে সময়।
মাদরাসা শিক্ষার যথার্থতা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। এ শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার হওয়া উচিত- এ প্রশ্নে অনেকেই একমত। তবে মাদরাসা বন্ধের আইডিয়া যাদের মাথায় কাজ করে, তারা হয় মূর্খ নতুবা মতলববাজ। ‘মুসলমান মাত্রই সন্ত্রাসী’ এই মনোভাব সারা দুনিয়ার মুসলমানদের আমেরিকা বা পশ্চিমাবিরোধী করে তুলেছে। জঙ্গিবাদের বিরোধিতার নামে একটি জনগোষ্ঠীকে নিগৃহীত করার মধ্যে আর যাই হোক, বুদ্ধিমত্তার ছাপ নেই।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব কলিন পাওয়েল এবং যুদ্ধবাজ প্রতিরক্ষা সচিব রামসফেল্ড মাদরাসা শিক্ষাকে সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করেন। ওই মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মাদরাসার ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়। এর প্রভাব পড়ে ব্রিটেনসহ অন্য ইউরোপীয় দেশেও। এমনকী পাকিস্তানে সে সময়ে মাদরাসা শিক্ষা সংকুচিত করা এবং এর ওপর নজরদারির পেছনেও কলিন পাওয়েল ও রামসফেল্ডের তত্ত্ব নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ২০০৫ সালের জুন মাসে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় খ্যাতনামা মার্কিন গবেষক পিটার বারগেইনের একটি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধে ওই তত্ত্ব যে ভ্রান্তিতে ভরা, তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়। পিটার বারগেইন ‘হলিওয়ার’ নামের সাড়া জাগানো বইয়ে প্রমাণ করেন, মাদরাসা শিক্ষার সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখান, ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার জন্য মাদরাসা শিক্ষাকে দায়ী করা হলেও এতে কোনো সত্য নেই। এ ঘটনায় জড়িতরা কেউ মাদরাসার ছাত্র ছিল না। বরং তাদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। কেউ কেউ নামিদামি পশ্চিমা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী।
পিটার বারগেইন মাদরাসা শিক্ষা কিংবা ইসলামী জঙ্গিবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল- এ কথা তার শত্রুরাও বলবেন না। নিউইয়র্ক টাইমস সম্পর্কেও একই কথা বলা যায়। পিটার বারগেইন ১১ সেপ্টেম্বরসহ বিভিন্ন বড় ধরনের মার্কিনবিরোধী সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত ৭৫ জন সন্ত্রাসীর জীবনবৃত্তান্ত পর্যালোচনা করে দেখান, তাদের সিংহভাগ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৩ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে যে হামলা হয়েছিল তার সঙ্গে জড়িত ১২ জনের সবাই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত বিমানের পাইলট মোহাম্মদ আতা জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ২৫ জনের দুই-তৃতীয়াংশ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের নামি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার। গবেষক পিটার বারগেইন তার গবেষণাপত্রে মন্তব্য করেন, সাধারণ শিক্ষা ও মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে মুসলিম দেশগুলোতেও বিতর্ক রয়েছে। তবে মাদরাসাকে সন্ত্রাসীদের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে ভাবার অবকাশ নেই। এমনকী মাদরাসা শিক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিও নয়।
বাংলাদেশে প্রথম বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট। একসঙ্গে সারা দেশের ৫০০ স্পটে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি নামের জঙ্গিরা। দেশে-বিদেশে এর চেয়েও বড় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলার ঘটনা। এতে ১৭ জন বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হয়। শুধু পুলিশ ও র্যাব নয়, সেনাবাহিনীও নামানো হয় জঙ্গিদের কাছে জিম্মি দেশি-বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য। হোলি আর্টিজানে হামলা চালানো জঙ্গিদের পরিচয় তারা নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। জঙ্গিবাদের সঙ্গে মাদরাসার ছাত্র জড়িত থাকলে তা যদি মাদরাসা শিক্ষার দোষ হয় একই দোষে দোষী হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধের কথা কেউ বলেন না কেন?
গত দুই যুগে সারা দেশের হাজার হাজার মাদরাসার লাখ লাখ ছাত্রের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষা কতটা কর্মোপযোগী তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এ শিক্ষায় শিক্ষিতদের সন্ত্রাসী ভাবা ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর নামান্তর। যারা সমাজ প্রগতির নামে মাদরাসা শিক্ষা বন্ধ করতে চান, তাদের জানা উচিত এ দেশের মাদরাসাগুলো মওলানা ভাসানী, মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ, মাওলানা আকরম খাঁ, মাওলানা শামসুল হক পাঁচবাগীর মতো অসাম্প্রদায়িক ও বিশাল মাপের রাজনৈতিক নেতাদের জন্ম দিয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন তাদের মধ্যে মাদরাসা ছাত্রদের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। মহান জুলাই গণ অভ্যুত্থানেও তারা অংশ নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধেরই অঙ্গীকার বৈষম্য ও শোষণবিরোধী দেশগড়ার প্রত্যয় নিয়ে।
মাদরাসা শিক্ষার প্রবর্তন ১৪০০ বছর আগে। কয়েক শ বছর ধরে এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর শিক্ষাব্যবস্থা। যুগোপযোগী সংস্কার না হওয়ায় মাদরাসা শিক্ষা ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়েছে। যেমন একই কারণে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। জঙ্গিবাদ বা অন্য অজুহাতে কোনো শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধের আবদার একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এজন্য বরং দরকার যুগোপযোগী সংস্কার।
পাদটীকা : পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিতদের অনেকেই মাদরাসা শিক্ষাকে অবজ্ঞার চোখে দেখেন, এটি একটি ওপেন সিক্রেট। তবে খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরবের মাদরাসা শিক্ষা অনুসরণ করেই গড়ে উঠেছে। জার্মান বেতার ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ইউরোপের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় মাদরাসা পদ্ধতি নকল করে তাদের শিক্ষা কারিক্যুলাম প্রণয়ন করেছে। পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ডিগ্রি দেওয়া হয় যে রীতিনীতি অনুসরণ করে- তা আরবদের কাছ থেকে ধার করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের মাথায় যে ক্যাপ ও গাউন পরানো হয়, তাও মাদরাসার অনুকরণ। সলিমুল্লাহ খানের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থা ৮০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফ্রান্সের প্যারিসে। কারও কারও মতে, আরও ২০০ বছর আগে ইতালিতে। তবে তার অনেক আগেই মাদরাসা শিক্ষা চালু হয়েছে। মাদরাসার পথ ধরেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
-মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
ইমেইল :[email protected]