ছাত্র-জনতার জুলাই গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরসরকার পতনের পর থেকেই দলবেঁধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সংক্রামক রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। বিষয়টা জাতির এমনই বিরক্তির কারণ ঘটিয়েছে যে প্রথমে এটাকে মব জাস্টিস বলা হলেও এখন ত্যক্তবিরক্ত জনগণ বলছে, ‘মব ফ্যাসিজম’ বা বিশৃঙ্খল দুর্বৃত্তায়নের স্বৈরাচার। মব জাস্টিস কোনো গ্রহণযোগ্য শব্দবন্ধ নয়। বিশৃঙ্খল জনতার হাতে সুবিচার হতে পারে না। এর কোনো অধিকারও কারও নেই। অথচ সরকারি অফিস থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বড় ব্যবসায়ী থেকে মুদি ব্যবসায়ও হানা দিয়েছে মব নামধারী টাউট, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ। বৈষম্যবিরোধী নেতা পরিচয়ে অনেকেই পাড়া-মহল্লায় গড়ে তুলেছে কিশোর গ্যাং। তারা এলাকা-মহল্লাবাসীর নির্ঝঞ্ঝাট জীবনযাত্রা বিঘ্নিত-দুর্বিষহ করে তুলছে। এদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেকাংশেই ব্যর্থ হচ্ছে। এদের মোকাবিলা যেন একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা ইতোমধ্যে এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, এখনই কঠোর হাতে দমনের মিশনে নামা উচিত। না হলে রাষ্ট্র ও সমাজে এর ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে। জুলাই বিপ্লবের পরপরই পুলিশ-প্রশাসনের নির্লিপ্ততা, নতুন সরকারের গুছিয়ে ওঠা এবং একটা নতুন সমাজ বিনির্মাণের প্রচেষ্টায় প্রকৃত দেশপ্রেমীদের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়েছে পেশাদার দুর্বৃত্ত এবং মতলববাজ মহল। ব্যক্তি বা দলগত দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ নিতে সচেষ্ট হয়েছে কেউ কেউ। ধনী ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের পকেট কাটার পাঁয়তারা করেছে। সবটাই গেছে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষার বিপরীতে। মব-স্বৈরাচার কিছুতেই সাম্য, ন্যায্যতা, ইনসাফের সঙ্গে যায় না। এর বিরুদ্ধে শুধু কথা বললে হবে না। প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থায় এ প্রবণতাকে সমাজ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম- সব পক্ষকেই তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহায়তা দিতে হবে। দুষ্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং শিষ্টের পাশে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে হবে সবাইকে। একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, জনগণের করের টাকায় চলে সরকার। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা তারই দায়িত্ব। এজন্য তার বিভিন্ন বাহিনীও আছে। তারপরও যদি সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা প্রশ্নে অনিশ্চয়তার আতঙ্কে ভোগে- সে ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে। অখ্যাতির সে দায় নিশ্চয়ই মেনে নেবে না সরকার। বরং সব নির্মূলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
শিরোনাম
- ফাইনালেও বৃষ্টির সম্ভাবনা, ম্যাচ ভেস্তে গেলে চ্যাম্পিয়ন কারা?
- বিদ্যুতের দাম আপাতত না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা
- মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: ২ জনের এক মাসের কারাদণ্ড
- জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালায় জলপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে: চসিক মেয়র
- জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জে আলোচনা
- দীঘিনালায় আশ্রয়কেন্দ্রে বিএনপির খাদ্য সহায়তা
- মেঘনায় ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার
- রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
- সারা দেশে ২৬৫ বিচারককে বদলি
- ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব: হামজা চৌধুরী
- সুনামগঞ্জে বসুন্ধরা সিমেন্টের হালখাতা অনুষ্ঠিত
- বাজেটে মৌলিক বিষয়গুলোতে গলদ রয়েছে : আমীর খসরু
- ডুয়েটিয়ানদের উদ্যোগে স্কলারশিপ প্রকল্পের যাত্রা
- ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবায় খরচ কমতে পারে
- রাফাল ভূপাতিতের ঘটনায় এবার ভারত ও ফ্রান্সের দ্বন্দ্ব
- ‘দেশে রেমিট্যান্স ও পোশাকশিল্পের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান’
- শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা ছাত্রের হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
- জবির সাবেক অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের জামিন
- জাপানের অর্থায়নে ৪ জেলার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু
- নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ স্থগিত
মব ফ্যাসিজম!
নির্মূলে দ্রুত দৃঢ় পদক্ষেপ নিন
প্রিন্ট ভার্সন

সর্বশেষ খবর

গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টা
৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

চট্টগ্রামে এখনো ঈদ যাত্রার চাপ পড়েনি ট্রেনে, বাসেও বাড়েনি যাত্রীদের ভিড়
৩১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালায় জলপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে: চসিক মেয়র
৩২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন