দুঃখের শেষ নেই আমাদের; শোক যেন নিত্যসঙ্গী। তেমনই এক হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক, বেদনার অশ্রুসাগরে ভাসল বাংলাদেশ। সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে সে বুকভাঙা ঘটনা। একটা প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, হতভাগ্য পাইলটসহ ২২ জন সেদিনই প্রাণ হারান। গতকাল দুপুরে এ কলাম লেখার সময় পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছায়। দগ্ধ আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। শোকে স্তব্ধ সারা দেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক প্রকাশ করে, ভিডিওবার্তায় আবেগাপ্লুত শোকার্দ্র কণ্ঠে বলেন, হতাহত শিশুদের বাবা-মাকে কী জবাব দেব! প্রকৃতই যারা প্রাণের ধন হারিয়েছেন, তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার উপযুক্ত শব্দমালা দুনিয়ার কোনো ভাষাতেই নেই। তাৎক্ষণিক শোক জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান প্রমুখ। গতকাল রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়। রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ চারটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল ৭৮ জন। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অর্থাৎ আরও অনেক মায়ের বুক খালি হওয়ার ঝুঁকি ঝুলছে অনাকাক্সিক্ষত নির্মম নিয়তির ওপর। শোক-সহানুভূতি জানানোর ভাষা আমাদেরও জানা নেই। ‘দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই’ এমন দায়িত্বহীন মন্তব্যও এ সময় অশোভন। যারা আদরের সন্তান হারিয়েছেন, তাদের চোখের পানি কোনো দিন শুকাবে না। যারা আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করছে, বোধ করি, অন্তরে একই পোড়া যন্ত্রণার শিকার তাদের স্বজনসহ দেশের প্রতিটি মানুষ। আর যে পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেও না পেরে নিজের প্রাণটাও উৎসর্গ করলেন, তিনিও এক গর্বিত মায়ের সন্তান। রাষ্ট্রের সম্পদ। তাঁর আত্মার প্রতি সম্মান জানাই। এখন যে বাস্তবতা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ সামনে-তা হলো আহতদের সুচিকিৎসা। যন্ত্রণা লাঘব করে কত দ্রুত এদের সুস্থ করে তোলা যায়, তার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল, সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁদের সামনে এর চেয়ে পবিত্র কর্তব্য এ মুহূর্তে আর কিছু নেই। সব চিকিৎসাব্যয় বহন করতে হবে রাষ্ট্রকে। অন্যদিকে নিকট-অতীতেই বিমানবাহিনীর আরও দুয়েকটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনাকবলিত হওয়া এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে যা করণীয়, বাহিনী তা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবে ও করবে আশা করি। কারণ এমন দুর্ঘটনায় দেশ একটা জঙ্গিবিমান এবং একজন পাইলট হারায়। দুটোই জাতির বহুমূল্য সম্পদ।
শিরোনাম
- এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে
- নারী কর্মীদের ছোট হাতা-স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক ও লেগিংস পরা যাবে না, বাংলাদেশ ব্যাংকে আদেশ জারি
- ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান
- অতীতের মতো বস্তাপচা নির্বাচন আমরা চাই না : জামায়াত আমির
- শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা
- আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
- সাগরে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, পিছু হটতে বাধ্য হলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
- এনসিপির নিবন্ধনই নেই, বড় দল হিসেবে কীভাবে ডাকে সরকার : নুর
- দেশের সংকটাপন্ন নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
- বিমান বিধ্বস্ত : হাসপাতাল থেকে ১৩ জনকে ছাড়পত্র, নতুন ভর্তি ১
- বাবুগঞ্জে আলিম পরীক্ষার্থী নিখোঁজ
- সিলেট সীমান্তে এক সপ্তাহে জব্দ পৌনে ১৪ কোটি টাকার পণ্য
- ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক কলেজে শাটডাউন, অন্য কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি
- নিহত ৩ নির্মাণ শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল নেতা নাছির
- ইসির স্বাধীনতা শুধু সংবিধানে উল্লেখ থাকাই যথেষ্ট নয় : সালাহউদ্দিন
- পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা
- মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গাকৃবি উপাচার্যের শোক
- এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ
- ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণসহ ৮ দফা দাবিতে পদযাত্রা
শোক যেন নিত্যসঙ্গী
দগ্ধ-আহতদের যন্ত্রণা লাঘবই চ্যালেঞ্জ
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর