ফ্রান্সের ৩৩ বছর বয়সী এক মহিলা তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পারিবারিক ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ী মহিলা তার নিজের জন্য ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য বিমানের টিকেট করেন। মহিলা সুইজারল্যান্ড হয়ে নিউইয়র্ক যাওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সারেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে গত বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। তিনি যখনই নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরগামী একটি ফ্লাইটের জন্য বোর্ডিং পাস নিতে যান তখনই ঘটে বিপত্তি।
ফরাসি এ মহিলার নাম আইডা আলিচ। সুইস এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা আলিচকে জানান যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ তাকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। একথা শুনে মহিলার মাথায় হাত। কেন তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি সুইস এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা। মহিলার প্রতি তাদের সোজা জবাব, আপনার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কোনো অনুমতি নেই।
আলিচ কোনো উপায় না পেয়ে স্বপরিবারে সোজা বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি ফিরেই তিনি গুগলে তার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন। গুগলে উত্তর খুঁজতে গিয়ে তিনি টের পান যে পাসপোর্টে তার নামের বংশগত [সারনেইম] নাম 'আলিচ' আগে থাকায় তার নাম দাঁড়িয়েছে আলিচ আইডা [যা কিছুটা আল কায়েদার মতো শোনায়]।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনুমতি না পাওয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই বলে আলিচ মনে করেন। নাম আল কায়েদার মতো শোনায় বলেই দেশটি তাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি বলে আলিচের অভিমত। দওফিন লিবেরে নামে একটি ফরাসি নিউজ ওয়েবসাইটকে আলিচ বলেন,'আলিচ আইডা, আল কায়েদা।'
এ ঘটনার পর থেকে বন্ধুরা আলিচকে ক্ষেপানোর জন্য শব্দগুচ্ছ 'আলিচ আইডা, আল কায়েদা' দিয়ে মজা করেন বলেও আলিচ জানান। তবে তিনি এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলেও শুধু নামের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পাবেন না তা তিনি মানতে পারছেন না বলে জানান।
প্যারিসে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ইউএস নো ফ্লাই লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের ব্যাপারে সাধারণত কোনো মন্তব্য করে না বলে জানিয়েছে।
আলিচ এ ভ্রমণ নিয়ে তার জিজ্ঞাসা অব্যাহত রেখেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর পাননি।