শরীরের পুরনো এক ব্যাথা স্কটিশ ইয়ান ম্যাকলিনকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল দীর্ঘদিন। ডাক্তারের বাড়ি দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত ম্যাকলিন বন্ধু-বান্ধবের পরামর্শে একের পর এক ম্যাসাজ সেন্টাররেও ঘুরেছেন। কিন্তু মুক্তি মিলছিল না। শেষে চিকিৎসা হিসেবে ফিলিপাইনের এক চিড়িয়াখানায় গিয়ে নেন অজগর সাপের ম্যাসাজ। এইজন্য তার উপর দেওয়া হয় চারটি জলজ্যান্ত বর্মী অজগর। এগুলোর ওজন একত্রে ২৫০কেজি। বিপুল এই ওজন দেওয়ায় তিনি আর নড়তে পারছিল না। সাপের জিহ্বা বের করে হিসহিস আওয়াজ অস্বস্তিতে ফেলেছিল ম্যাকলিনকে। তবে তিনি অস্থির না হয়ে মনে মনে প্রার্থনা করছিলেন এবং সাপের ধীরে ধীরে গড়িয়ে চলা তিনি উপভোগ করছিলেন।
সাপের ম্যাসাজ অনেকদিন থেকেই ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডে চলে আসছিল। দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। এশিয়া ছাড়িয়ে এটি উইলিয়ামসবার্গ, ব্রুকলিন ও নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন সাপের ম্যাসাজ? সাপের নড়াচড়ায় মানুষের অ্যাড্রিনাল থেকে নিঃসৃত হরমোনের কারণে ভয় সৃষ্টি হয়। যা বিপাকীয় ক্রিয়ায় সহায়তা করে। তবে দুর্বলচেতা মানুষের জন্য নয় এই ম্যাসাজ। কেননা সাপের চাপে ভীত হয়ে অস্থির হয়ে গেলে খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে।
ম্যাসাজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অজগর সাপ সাধারণত অনেক বড় ও ভারী হয়। সরীসৃপ হওয়ায় এটি গড়িয়ে গড়িয়ে হাটে। তাই একটি অজগর শরীরে তুলে দিলে এর চলনই ম্যাসাজ হয়ে যায়। পাশাপাশি ভয়ের কারণে মানুষের শরীর থেকে যে হরমোন নিসৃত হয় সেটা ম্যাসাজের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। প্রাচীন কাল থেকে এখন পর্যন্ত এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সূত্র: ডেইলি মেইল।