চারদিকে কেবল মৃত্যুর খবর আর লাশের ছড়াছড়ি। ঢাকায় তখন প্রতিদিনই দেড়শ থেকে দুইশ লোক মারা যাচ্ছে। কলেরা মহামারি আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। স্বজন হারানোর কান্নার রোল আকাশে-বাতাসে। স্যার রবার্ট মিটফোর্ড ছিলেন তৎকালীন ঢাকার কালেক্টর। দীর্ঘদিন তিনি প্রাদেশিক আপীল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এতো এতো মানুষের মৃত্যু তাকে ব্যথিত করে তোলে। ১৮২০ সালেই তিনি মিটফোর্ড হসপিটালটি প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু তার উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। পরবর্তীতে ১৮৩৬ সালে ইংল্যান্ডে মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে সম্পত্তির অনেকখানি (তখনকার সময় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা) ঢাকায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য নানা উন্নয়নকর্মের জন্য তৎকালীন বাংলার সরকারকে দান করে দিয়ে যান। কিন্তু রবার্ট মিটফোর্ডের উত্তরাধিকারীদের জন্য এই উইল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
শিরোনাম
- শ্রমিকদের ন্যায্য আদায়ের লড়াইয়ে পাশে আছে বিএনপি : আমীর খসরু
- শেয়ারমূল্য পড়ে যাচ্ছে, টেসলা খুঁজছে নতুন সিইও
- আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস
- মেসেঞ্জারে ভুল মেসেজ পাঠিয়ে ফেলেছেন? মাত্র ১৫ মিনিটে বাঁচার উপায়!
- আবারও ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামছেন শোবিজ তারকারা
- চ্যাটজিপিটির পরামর্শে মামলায় জিতলেন তরুণ
- গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি
- পাকিস্তানি তারকাদের ইনস্টাগ্রামে ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ!
- আমরা শ্রমিকবান্ধব একটি সরকার চাই : মাসুদ সাঈদী
- রাবনাবাদ নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
- দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১১৩৭
- মৃত্যুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কুমির ভর্তি লেকে ঝাঁপ দিলেন নওয়াজ!
- “রাত না কাটালে বাদ!” অঞ্জনার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি
- উত্তেজনা বাড়িয়ে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া
- ছাদ থেকে পড়ে কলেজ ছাত্রী আহত
- করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে : তারেক রহমান
- দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন চুক্তি না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
- ফেনীতে মে দিবসে আলোচনা সভা
- মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- দিনাজপুরে র্যালি-আলোচনায় প্রাণবন্ত মে দিবস
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল
অনলাইন ডেস্ক:
অনলাইন ভার্সন

১৮৫০ সালে সর্ব্বোচ্চ আদালতের চ্যান্সারি বিভাগের (chancery court) রায় অনুযায়ী বাংলার সরকার মিটফোর্ডের সম্পত্তি থেকে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা লাভ করে। পরবরর্তীতে লর্ড ডালহৌসির উদ্যোগে এই ফান্ড দিয়ে ১৮৫৪ সালে বর্তমান স্থানে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিও অর্থসাহায্য দেন। তাদের মধ্যে মিসেস সন্তোশ রানী দিন্ময় চৌধুরী, মি. রায় গৌর নেতাই সাহা শঙ্খনিধি, মি. সন্তোশ রাজা মন্মোথ রায় চৌধুরী এবং বাবু প্রতাপ চন্দ্র দাশ সুপেয় পানি ও স্যুয়ারেজ প্লান্ট স্থাপনের খরচ বহন করেন।
১৮৫৮ সালের ১ মে মিটফোর্ড হসপিটাল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তখন এতে পুরুষদের জন্য দুটি ও মহিলাদের জন্য একটি ওয়ার্ডসহ ৮২টি বেড ছিল। শুরু থেকে এই হাসপাতালটি ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির একটি বোর্ডের অধীনে ছিল। ঢাকার নবাব খাজা আহসানুল্লাহ ও ভাওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায়ের দানে ১৮৮২ সালে হাসপাতালে নারীদের জন্য পৃথক একটি ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় ১২.৮ একর জায়গা জুড়ে মিটফোর্ড হাসপাতালটি অবস্থিত। এর ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসার পাশাপাশি প্যাথোলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
এই বিভাগের আরও খবর