চারদিকে কেবল মৃত্যুর খবর আর লাশের ছড়াছড়ি। ঢাকায় তখন প্রতিদিনই দেড়শ থেকে দুইশ লোক মারা যাচ্ছে। কলেরা মহামারি আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। স্বজন হারানোর কান্নার রোল আকাশে-বাতাসে। স্যার রবার্ট মিটফোর্ড ছিলেন তৎকালীন ঢাকার কালেক্টর। দীর্ঘদিন তিনি প্রাদেশিক আপীল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এতো এতো মানুষের মৃত্যু তাকে ব্যথিত করে তোলে। ১৮২০ সালেই তিনি মিটফোর্ড হসপিটালটি প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু তার উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। পরবর্তীতে ১৮৩৬ সালে ইংল্যান্ডে মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে সম্পত্তির অনেকখানি (তখনকার সময় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা) ঢাকায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য নানা উন্নয়নকর্মের জন্য তৎকালীন বাংলার সরকারকে দান করে দিয়ে যান। কিন্তু রবার্ট মিটফোর্ডের উত্তরাধিকারীদের জন্য এই উইল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
শিরোনাম
- ভারত কোনো শুল্ক আরোপ না করার প্রস্তাব দিয়েছে: ট্রাম্প
- বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি
- হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
- ইন্দোনেশিয়ায় ঝাড়ু হাতে নারীদের বিক্ষোভ
- দেশগুলোকে জলবায়ু পরিকল্পনা জমা দিতে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘ
- ‘বিএনপি হলো দেশ গড়ার দল’
- রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব এপিএইচআরের
- ভারতকে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা দিচ্ছে রাশিয়া
- পুতিন, শি ও কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: ট্রাম্প
- জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি বারবার জনগণের পাশে ছিল : মীর হেলাল
- সামরিক কুচকাওয়াজে বিশ্বকে নতুন যেসব অস্ত্র দেখাল চীন
- ফেরারি আসামি নির্বাচনে অযোগ্য, ‘না ভোট’ বাধ্যতামূলক
- সারাদেশে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৪৫০
- যুদ্ধ শুরুর পর গাজায় প্রতিবন্ধী হয়েছে ২১ হাজার শিশু
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতির সাক্ষাৎ
- ১৬ ঘণ্টা পর ক্ষতিপূরণ দিয়ে জাবি ছাড়লো ২৮ বাস
- তিন দেশের অমুসলিম শরণার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেবে ভারত
- চার ঘণ্টা পর কুড়িলের সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা
- পাঁচ বছরে ৩১ লাখ দক্ষ ভারতীয় কর্মী নেবে রাশিয়া
- জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল
অনলাইন ডেস্ক:
অনলাইন ভার্সন

১৮৫০ সালে সর্ব্বোচ্চ আদালতের চ্যান্সারি বিভাগের (chancery court) রায় অনুযায়ী বাংলার সরকার মিটফোর্ডের সম্পত্তি থেকে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা লাভ করে। পরবরর্তীতে লর্ড ডালহৌসির উদ্যোগে এই ফান্ড দিয়ে ১৮৫৪ সালে বর্তমান স্থানে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিও অর্থসাহায্য দেন। তাদের মধ্যে মিসেস সন্তোশ রানী দিন্ময় চৌধুরী, মি. রায় গৌর নেতাই সাহা শঙ্খনিধি, মি. সন্তোশ রাজা মন্মোথ রায় চৌধুরী এবং বাবু প্রতাপ চন্দ্র দাশ সুপেয় পানি ও স্যুয়ারেজ প্লান্ট স্থাপনের খরচ বহন করেন।
১৮৫৮ সালের ১ মে মিটফোর্ড হসপিটাল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তখন এতে পুরুষদের জন্য দুটি ও মহিলাদের জন্য একটি ওয়ার্ডসহ ৮২টি বেড ছিল। শুরু থেকে এই হাসপাতালটি ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির একটি বোর্ডের অধীনে ছিল। ঢাকার নবাব খাজা আহসানুল্লাহ ও ভাওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায়ের দানে ১৮৮২ সালে হাসপাতালে নারীদের জন্য পৃথক একটি ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় ১২.৮ একর জায়গা জুড়ে মিটফোর্ড হাসপাতালটি অবস্থিত। এর ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসার পাশাপাশি প্যাথোলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া, অভিযোগ ট্রাম্পের
১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় বিমানে ‘বার্ড স্ট্রাইক’, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দেড় শতাধিক যাত্রী
১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম