চারদিকে কেবল মৃত্যুর খবর আর লাশের ছড়াছড়ি। ঢাকায় তখন প্রতিদিনই দেড়শ থেকে দুইশ লোক মারা যাচ্ছে। কলেরা মহামারি আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। স্বজন হারানোর কান্নার রোল আকাশে-বাতাসে। স্যার রবার্ট মিটফোর্ড ছিলেন তৎকালীন ঢাকার কালেক্টর। দীর্ঘদিন তিনি প্রাদেশিক আপীল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এতো এতো মানুষের মৃত্যু তাকে ব্যথিত করে তোলে। ১৮২০ সালেই তিনি মিটফোর্ড হসপিটালটি প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু তার উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। পরবর্তীতে ১৮৩৬ সালে ইংল্যান্ডে মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে সম্পত্তির অনেকখানি (তখনকার সময় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা) ঢাকায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য নানা উন্নয়নকর্মের জন্য তৎকালীন বাংলার সরকারকে দান করে দিয়ে যান। কিন্তু রবার্ট মিটফোর্ডের উত্তরাধিকারীদের জন্য এই উইল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
শিরোনাম
- জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, রাজধানীতে জরুরি অবস্থা
- বৃহস্পতিবার সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি
- আফগানিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারালো জিম্বাবুয়ে
- অক্টোবরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৮৫ কোটি ডলার
- ৫০০ বছরে প্রথম, পোপের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেবেন ব্রিটিশ রাজা
- সিরিয়া পুনর্গঠনে ব্যয় হবে ২১৬ বিলিয়ন ডলার: বিশ্বব্যাংক
- এএফডি ও বিআইআইএসএস-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় সেমিনার
- নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ
- একের পর এক পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র : আব্দুস সালাম
- নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক
- সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের লক্ষ্যে নতুন ১২ নির্দেশনা
- জার্মান চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে তরুণীদের বিক্ষোভ
- শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল
- ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা
- এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
- পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের
- কার্গো ভিলেজে আগুন : শুক্র-শনিও খোলা থাকবে ঢাকা কাস্টমস
- সিরিয়ায় ফরাসি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান
- বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদারে নেপাল রাষ্ট্রদূতের আহ্বান
- আবারও আফগানিস্তানে দূতাবাস চালু করলো ভারত
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল
অনলাইন ডেস্ক:
অনলাইন ভার্সন

১৮৫০ সালে সর্ব্বোচ্চ আদালতের চ্যান্সারি বিভাগের (chancery court) রায় অনুযায়ী বাংলার সরকার মিটফোর্ডের সম্পত্তি থেকে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা লাভ করে। পরবরর্তীতে লর্ড ডালহৌসির উদ্যোগে এই ফান্ড দিয়ে ১৮৫৪ সালে বর্তমান স্থানে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিও অর্থসাহায্য দেন। তাদের মধ্যে মিসেস সন্তোশ রানী দিন্ময় চৌধুরী, মি. রায় গৌর নেতাই সাহা শঙ্খনিধি, মি. সন্তোশ রাজা মন্মোথ রায় চৌধুরী এবং বাবু প্রতাপ চন্দ্র দাশ সুপেয় পানি ও স্যুয়ারেজ প্লান্ট স্থাপনের খরচ বহন করেন।
১৮৫৮ সালের ১ মে মিটফোর্ড হসপিটাল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তখন এতে পুরুষদের জন্য দুটি ও মহিলাদের জন্য একটি ওয়ার্ডসহ ৮২টি বেড ছিল। শুরু থেকে এই হাসপাতালটি ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির একটি বোর্ডের অধীনে ছিল। ঢাকার নবাব খাজা আহসানুল্লাহ ও ভাওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায়ের দানে ১৮৮২ সালে হাসপাতালে নারীদের জন্য পৃথক একটি ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় ১২.৮ একর জায়গা জুড়ে মিটফোর্ড হাসপাতালটি অবস্থিত। এর ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসার পাশাপাশি প্যাথোলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের
৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তি
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে
১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন