দিনাজপুরে বৃষ্টি না থাকায় বিপাকে পড়েছে আম, লিচু ও বোরো চাষীরা। বৈশাখ শেষ হয়ে গেলেও বৃষ্টির দেখা মিলেনি। প্রচণ্ড তাপমাত্রা বিরাজ করছে এলাকায়। বৃষ্টির হাহাকার চারিদিকে পানি শূন্যতা বিরাজ করছে।
বোরো ধানের শেষ পর্যায়ে এসে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় সহজে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারছে না কৃষক। লোডশেডিং, অনাবৃষ্টি ভাবিয়ে তুলেছে কৃষককে।
বৃষ্টির অভাবে আম, লিচুর বোটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার আম, লিচুর ফলন অনেকটা কম হওয়ায় কৃষক মাথায় হাত দিয়েছে। অনেকে বাগানে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানির ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা আম, লিচুর জন্য উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। উপযোগী আবহাওয়ার কারণে দিন দিন আম, লিচুর বাগান বেড়ে চলেছে। দেশে লিচুর চাহিদা পুরণ করে বিদেশে রপ্তানি করার আশা করছে দিনাজপুরবাসী।
এ বছর অধিক লাভের আশা করলেও বৈশাখের শেষ প্রান্তে এসে পানির দেখা না পাওয়ায় বোরো, আম ও লিচু চাষীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
বিরলের আম-লিচু ব্যবসায়ী সফিকুল জানান, ফল টেকানোর জন্য বাড়তি সেচ, কীটনাশক, প্রতিষেধক ঔষধ দেয়া হচ্ছে। লাভের আশা করে নিরাশ হচ্ছি বৃষ্টি না হওয়ার কারণে। বৃষ্টি না হওয়ায় পোকার আক্রমণ ও ফলের গায়ে দাগ ধরার ভয়ে আতঙ্কিত আছেন বলে জানান।
কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রেজাউল করিম জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কৃষি বিভাগের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে কৃষক লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।