পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ফ্রি-স্টাইলে সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল পেতে নানা প্রজাতির পোনা মাছ নিধনের মহা উৎসব চলছে। স্থানীয় এক শ্রেণির জেলেরা বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন রামনাবাদ নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর একাধিক পয়েন্টে এ ঘন ফাঁসের জাল দিয়ে প্রতিদিন ছোট ছোট মাছের পোনা মেরে ফেলছে। এর ফলে উপকূলীয় বিশাল এ মৎস্য ভাণ্ডার এক সময় শূন্য হয়ে পরবে বলে বিজ্ঞমহল ধারণা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিন-রাত সমান তালে এ সূক্ষ্ম ফাঁসের জাল দিয়ে পোয়া, ফালিশা, তাপসি, বাইলা, গাগড়া, চিংড়ি, চাপলী ও ইলিশের পোনাসহ শত শত মাছের রেনু পোনা নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। এসব মাছ স্থানীয় হাট-বাজার থেকে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে ১৫/২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া শুঁটকি ব্যবসায়ীরা ওইসব মাছ অল্প দামে ক্রয় করে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি প্রক্রিজাতকরণ করছে।
এসব সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন বন্ধের লক্ষে মাঝে মধ্যে মৎস্য বিভাগসহ নৌবাহিনী- কোস্টগার্ডের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালায়। ওই সময় এ পোনা মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও এক শ্রেণির জেলেরা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাগর মোহনায় বেন্ধি জাল পেতে ছেঁকে পোনা নিধন করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামে রামনাবাদ নদীর পাড়ে সরেজমিনে ঘুড়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ ছোট ছোট মাছগুলো নৌকায় থাকা অবস্থায়ই বিক্রির জন্য প্রক্রিয়া করছে।
স্থানীয় জেলে মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'মোরা নদীতে মাছ ধরিয়া খাই। কয়দিন আগে মোগো জাল নৌ-বাহিনীতে লইয়া গেছে।'
নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিজেন কমান্ডার মো. নজরুল ইসলাম জানান, সামুদ্রিক ওইসব ছোট ছোট মাছগুলো বাঁচানোর জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রতিদিনই আমাদের টহল অব্যহত রয়েছে। এরপরও আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ মাছ মেরে ফেলছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুনল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তাদের লোকবল সংকটের কারণে মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় ব্যাহত হচ্ছে। তবে পোন মাছ নিধনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।