পৃথিবীর অনেকগুলো প্রাচীন আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের মাওরি অন্যতম। মিথ অনুযায়ী, ১২টি ক্যানুর (নৌকা) প্রত্যেকটিতে ভিন্ন ভিন্ন গোত্রের আদিবাসীরা একটা সময় সাগরে পাড়ি জমায়। ওই ১২টি ভিন্ন ভিন্ন আদিবাসী গোত্রের সম্মিলনে পরবর্তীতে তৈরি হয় মাওরি আদিবাসী গোষ্ঠী।
মাওরি সমাজের প্রত্যেক সদস্যেরই সমাজের প্রতি নিজস্ব কিছু দায়বদ্ধতা থাকে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে তারা অনেক দায়িত্বও পালন করে। যাকে সাধারণত সামাজিক নিয়মকানুন হিসেবে ধরা হয়। আর বিশেষ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের চেনা যায় তাদের পরিহিত পোশাক এবং শরীরে অঙ্কিত ট্যাটু দেখে। সমাজে যাদের অবস্থান উঁচু তাদের শরীরে বিশেষ কিছু ট্যাটু লাগানো থাকে। তবে গোত্রপতিদের শরীরে ট্যাটু থাকে না। আর এই ট্যাটু না থাকার কারণে তাদের সহজেই আলাদা করা যায় অন্য সবার থেকে।
মাওরিরা মূলত কাঠ খোদাই শিল্পে খুবই পারদর্শী। বিশেষত তারা কাঠের নৌকা এবং নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদিতে খোদাই করে থাকে। কাঠ খোদাই শিল্পে মাওরিরা দারুণ শিল্পী একেকজন।
সংস্কৃতির দিক দিয়ে মাওরিরা খুব উন্নত এবং সচেতন। আর এই সচেতনতার নিদর্শন পাওয়া যায় তাদের সৃষ্ট বিভিন্ন হস্তশিল্পে। কাঠের খোদাইয়ের মাধ্যমে তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গোত্রের বংশানুক্রম ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে রাখে তারা। ট্যাটু, সমবেত নৃত্য, বুনন ইত্যাদির কারণেও মাওরিরা বিখ্যাত।