পেট্রোলিয়াম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে শ্যাওলা ব্যবহার করা যেতে পারে অচিরেই। শুধু পেট্রোলিয়াম তেল নয়, পাম তেলের বিকল্প হিসেবেও একে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাম তেলের চাইতে ৭ থেকে ৩১ গুণ বেশি জ্বালানী উৎপাদন করার ক্ষমতা আছে শ্যাওলার। আর স্মিথসোনিয়াম সম্প্রতি জানিয়েছে যে, এক ঘণ্টারও কম সময়ে একে ব্যবহারযোগ্য জ্বালানী (ক্রুড অয়েল) এ রূপান্তরিত করা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে পাম অয়েলকে পেট্রোলিয়ামের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কথা চিন্তা করা হচ্ছিলো। কিন্তু এর উৎপাদনে প্রয়োজন হয় একরের পর একর এলাকা। সে তুলনায় শ্যাওলা অনেক বেশি সাশ্রয়ী। আর এর বিভিন্ন ধরণের উপকারিতার কথা তো বলাই হয়েছে।
কিছুদিন আগে যদিও শ্যাওলা জ্বালানীতে চলতে সক্ষম মার্সিডিজ-বেঞ্জ বায়োডিজেল E320 উপস্থাপন করা হয়েছিলো, এর মাইলেজ বা এমিশন কোনোটাই পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। আর শ্যাওলা ব্যবহারের কিছু বাধা তো আছেই। একে জন্মাতে দরকার হয় বেশ স্যাঁতস্যাঁতে, নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া আর ফসফরাস যার পরিমান দিন দিন কমে আসছে।
আর অনেক গবেষক আবার জেনেটিক্যালি মডিফাইড শ্যাওলা ব্যবহারের চিন্তা করছেন যা অন্য দিক দিয়ে পরিবেশের জন্য বিপর্যয় টেনে আনতে পারে। কিন্তু সব দিক বিবেচনা করে আসলে শ্যাওলা জ্বালানীর বেশ ভালোই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।