অনেকদিন ধরেই এমন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে যার মাধ্যমে মহাকাশযান বার বার ব্যবহার করা যাবে। সেই চেষ্টা সফলতার মুখ দেখলো 'স্পেস-এক্স'-এর নতুন উদ্ভাবন ড্রাগন ভি২ এর মাধ্যমে। বর্তমান ড্রাগন স্পেসশিপের সকল সুবিধাসহ এতে যুক্ত করা হয়েছে নতুন ফিচার। তার মধ্যে অন্যতম পৃথিবীতে সফট ল্যান্ড করতে পারার ক্ষমতা।
এতোদিন মহাকাশ যাত্রার প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল একটি মহাকাশ যান একবারই ব্যবহার করা যেত। কোন মহাকাশ যান পৃথিবীতে ল্যান্ড করার সময় সফট ল্যান্ডিং করতে পারতো না। প্যারাশুটের সাহায্য নিয়ে মহাকাশ যান ল্যান্ড করতো। এই অসুবিধার কারণে ফলে আগেকার মহাকাশ যানগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য ছিল না। ফলে মহাকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থা সব সময়ই ব্যয়বহুল এবং সাধারণ মানুষের আওতার বাইরে ছিল।
নতুন ড্রাগন ভি২ এর কারণে এই অসুবিধাগুলো দূর করা সম্ভব হয়েছে। এখন এই স্পেসশিপের মাধ্যমে মহাকাশ যাত্রায় মহাকাশ যানটি একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে। বলা হয়ে থাকে, ড্রাগন ভি২ দশ বারেরও অধিক ফ্লাইট দিতে সক্ষম। এর জন্য প্রতি বার প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ এবং জ্বালানি সরবরাহ করা প্রয়োজন হবে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সহ অন্যান্য স্টেশনগুলোতে প্রায়ই মহাকাশচারীদের যাওয়ার প্রয়োজন হয়। আবার অনেকে মহাকাশ স্টেশনে যেতে চান নিজের কৌতুহল মেটাতে। এর সবই সম্ভব হবে ড্রাগন ভি২ এর মাধ্যমে। আগের সময়কার যে কোন সময়ের মহাকাশ যাত্রার খরচের তুলনায় ড্রাগন ভি২ এর খরচ কম হবে।