চলতি মৌসুমে পঞ্চগড় জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভুট্টার সঠিক মূল্য পেলে জেলার ৮০ ভাগ কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার জেলার প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে সিংহভাগ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।
আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর এলাকার কৃষক মো. আবুল ফজল এ বছর ৩ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি এনকে ৪০ ও ডিকাল ৯১২০ জাতের বীজ রোপন করেন। বীজ রোপনের পূর্বে প্রতি এক একর জমিতে টিএসপি-৪০কেজি, এমওপি-৬০কেজি, ইউরিয়া-১২০কেজি ও একশ ভার গোবর সার প্রয়োগ করে জমি তৈরি করেন।
আবুল ফজল জানান, চারা রোপনের ১০দিন পর সম্ভাব্য ক্ষতিকারক পোকা এড়াতে কীটনাশক সাইফার মেথ্রিন ও কার্টাব স্প্রে করেন। রোপনের ২৫ দিন পর সালফার, পিজিআর ও ৪৫ দিন পর জিবেলিক এসিড নামক ভিটামিন স্প্রে করেছেন। চার মাস মেয়াদী এই আবাদে পর্যায়ক্রমে ৫ বার সেচ দিয়েছেন তিনি। এ বছর ভুট্টা আবাদ করতে তার প্রতি একরে ১৬-১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সময়মত সার, সেচ ও ফসলের নিয়মিত পরিচর্যা করায় ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান তিনি। উপযুক্ত দাম পেলে সকল কৃষকই লাভবান হবে। বর্তমান গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচা ভুট্টা ৪শ' ও শুকনা ভুট্টা ৬শ' টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মেৌসুমে ভুট্টার লড়্গ্যমাত্রার চেয়ে ৪শত হেক&টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। জেলায় এ বছর ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ২০১ হেক্টর ও অর্জন হয়েছে ১৪ হাজার ৬২০ হেক্টর। এ বছর এনকে ৪০, পাওনিয়ার, পেসিফিক ৯৮৮, ১০০ এসপি, স্রাট ও ফরচুন জাতের ভুট্টা বেশী আবাদ হয়েছে বলে জানায় জেলা কৃষি অফিস।
জেলা কৃষিকর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ভুট্টা চাষে পঞ্চগড়ের কৃষকরা অনেক এগিয়ে। খরার কবলে পড়েছিল বলে সঠিক সময়ে পরাগায়ন না হওয়ায় ফলন একটু কম হয়েছে।