শুধু নার্সারি করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে তিনি এখন সাবলম্বী। তার সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার অনেকেই নার্সারি ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। এ বৃক্ষপ্রেমিক নামে পরিচিত বোচাগঞ্জের আবুল কাশেম যার নিজ হাতে এ পর্যন্ত উৎপাদিত ১ কোটি চারা রোপিত হয়েছে।
কাশেম নার্সারির ৪টি অঙ্গনে বর্তমানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৪০ জন। এসব শ্রমিকরা নার্সারিতে কাজ করে পরিবারের ভরণ-পোষণ করছেন। এছাড়াও গাছের চারা রোপন মৌসুমে প্রতিদিনি প্রায় ৫০ জন শ্রমিক দিন হাজিরার মাধ্যমে কাজ করেন। তার নেশা দেশের বিভিন্ন এলাকায় আবিষ্কৃত ও নতুন প্রজাতির নতুন চারা উৎপাদন করে এলাকায় বিস্তার ঘটানো।
দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগর ইউপির সেতাবগঞ্জ-পীরগঞ্জ সড়কের বড়ু সুলতানপুর পাকা সড়ক সংলগ্ন রাস্তার পাশে আবুল কাশেম ১৯৮৬ সালে মাত্র ১ বিঘা জমির উপর কাশেম নার্সারি গড়ে তোলেন। বর্তমানে সেনীহারি গ্রামে ২টি উৎপাদন কেন্দ্র, বড় সুলতানপুর পাকা সড়ক সংলগ্ন এলাকায় প্রজাতি ভেদে আলাদা আলাদা বেডে একটি বিক্রয় কেন্দ্র রনগাঁও ইউপির ভাণ্ডারখণ্ড গ্রামে আরও একটি উৎপাদন কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির মাদার প্ল্যান্ট নিয়ে বর্তমানে তার নার্সারি আয়তন ১৬ একর।
আবুল কাশেম জানান, পাম, স্টবেরি, বিলুপ্তপ্রায় পেরাল এলাকায় নতুন গাছ হিসাবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে কাশেম নার্সারির মাধ্যমে। প্রতিবছর গড়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধিসহ প্রায় ৫/৬ লাখ চারা উৎপাদন করে থাকেন তিনি যার শতকরা ৮০ ভাগই বিক্রি হয়ে যায়।
আবুল কাশেম ব্যক্তিগত উদ্যোগেও গোরস্থান, ঈদগাঁ ময়দান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারা রোপন করে থাকেন।