বিছানাকান্দি। নামটা যেমন অদ্ভুত, জায়গাটা তেমনই অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাটি ভারতের সীমান্তের কাছঘেঁষা। এখানেই অবস্থিত বিছানাকান্দি যা সম্প্রতি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
'বিছনাকান্দি' শব্দের অর্থ পাথরের অাঁটি বা গুচ্ছবদ্ধ পাথর। এই পাথর রাজ্যে ধীরে ধীরে বাড়ছে পর্যটক। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণেই এখানকার পর্যটন কেন্দ্রের বিকাশ ঘটছে না। জায়গাটির এখানে-ওখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পাথর আর পাথর। দেখলে মনে হয়, কেউ হয়তো বিছিয়ে রেখেছে পাথরের বিছানা। এই পাথরের গা ছুঁয়ে জলরাশি ছুটে চলেছে পিয়াইন নদীতে। অনেক কষ্ট করে বিছনাকান্দিতে পৌঁছানোর পর এর স্বর্গীয় সৌন্দর্য দেখে নিমিষে পথের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। দূরের চেরাপুঞ্জি আর কাছের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার পানি ও পাথুরে বিছানাতে পা ফেলে পর্যটকরা বিস্মিত হয়ে যান।
শুকনো মৌসুমে বিছানাকান্দির আসল সৌন্দর্য ধরা পড়ে না। বর্ষাকালেই এই অঞ্চলটি মোহনীয় রূপে নিজেকে মেলে ধরে। অবশ্য শুকনো মৌসুমেও এই এলাকার ছড়িয়ে থাকা পাথরের রূপে মোহিত হতেই হয়।
বিছনাকান্দির ওপারে ভারত অংশে উঁচু-নিচু পাহাড়ের সারি। সবুজ পোশাকের পাহাড়গুলি যেন দাঁড়িয়ে থাকে একে অপরের গায়ে হেলান দিয়ে। নজরকাড়া এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন যাতায়তের সমস্যাকে জয় করেই সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন শত শত পর্যটক। দীর্ঘদিন বিছনাকান্দির পরিচিতি ছিল শুধু পাথর-কোয়ারি হিসেবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হতেই বিছানাকান্দি পর্যটকের পিয় জায়গা হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।