বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়েবপোর্টাল হচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ গভ ডট বিডি (www.bangladesh.gov.bd) নামের এই ওয়েবসাইট আগামীকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ২৫ হাজার ওয়েবসাইটের সমন্বয়ে গঠিত এই ওয়েবপোর্টালটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন’।
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প এ উপলক্ষে আজ রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যমের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করে। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকেরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। আগামীকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ওয়েবপোর্টালের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের পরিচালক কবির বিন আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি—এই ওয়েবপোর্টালটি বিশ্বে সর্ববৃহৎ। কারণ, এখানে ৬১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ৩৪৫টি অধিদপ্তর, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নসহ মোট ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে গঠিত।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই ওয়েবপোর্টালের তথ্য সংগ্রহ করতে আড়াই বছর লেগেছে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতি কমিয়ে জনসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ ধরনের ওয়েবপোর্টাল করা হয়েছে। এ জন্য সরকারের শীর্ষ জায়গা থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের মনোভাব পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, বর্তমানে চালুকৃত এই ওয়েবসাইটে দেখা গেছে অসংখ্য বানান ভুল ও তথ্য আপডেট নেই। তাই ওয়েবপোর্টালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিয়মিত আপডেট করা। এটা নিয়মিত আপডেট ও বানান সংশোধন করা না হলে কেউ এখানে ঢুকবে না। তখন এটি উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে। সঠিক তথ্যের জন্য আমরা যদি এই ওয়েবপোর্টালের ওপর নির্ভর করতে না পারি, তাহলে এখানে কেউ ঢুকবে না। অনেকে এই ওয়েবপোর্টালে বিভিন্ন গ্রন্থাগার, নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তাদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের পরিচালক কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘আমরা খোলা মনে কাজ করছি। শুরুটা করেছি, যথাসাধ্য চেষ্টা করব সবকিছু ঠিকঠাক চালাতে।’