কানাডার কুইবেক প্রদেশের একটি কারাগার থেকে হেলিকপ্টারে করে দুঃসাহসিকভাবে পালিয়েও নিজেদেরকে শেষ রক্ষা করতে পারেনি তিন কয়েদি। পুলিশ গতকাল এ তিন কয়েদিকে মন্ট্রিয়ল থেকে আটক করেছে। চলতি মাসের গোড়ার দিকে ৩৫ বছর বয়সী ইয়েভস ডেনিস, ৫৩ বছর বয়সী ডেনিস লিফভার এবং ৪৯ বছরের সের্গেই পোমারলিউ কারাগার থেকে পালিয়েছিল।
২০১০ সালে পশ্চিম কুইবেকে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় মাদক পাচার চক্রের নেতা হিসেবে এ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে ওরসাইনভিল কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। দু’সপ্তাহ আগে কারাগারের ভেতরে একটি হেলিকপ্টার নামার পর তাতে চেপে পালিয়ে যায় এ তিন কয়েদি। এ ঘটনার পরপরই নিরাপত্তাবাহিনী এ তিন বন্দিকে ‘মারাত্মক বিপদজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছিল এবং কয়েক ব্যক্তির যোগসাজশে তারা পালাতে পেরেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আরো কয়েকজনকে আটক করা হতে পারে।
বিশ্বের কারাগারগুলো থেকে হেলিকপ্টারে করে পালানোর ঘটনা বিরল হলেও অভূতপূর্ব নয়। ছিনতাই করা হেলিকপ্টার দিয়ে ২০১৩ সালে মন্ট্রিয়লের এক কারাগার থেকে দু'বন্দিকে তুলে নেয়া হয়েছিল। ২০০৬ সালে গ্রীসের এক বন্দি হেলিকপ্টার দিয়ে কারাগার থেকে ভেগে গিয়েছিল। একই ধরনের ঘটনা দেশটিতে আবার ঘটেছিল ২০০৯ সালে। অবশ্য গত বছর গ্রীসে একইভাবে ভাগার চেষ্টা করতে গিয়ে গুলি খেয়েছে আরেক কয়েদি।
এর আগে ১৯৭১ সালের ১৯ আগস্টে ‘ম্যান ফ্যান’ হিসেবে পরিচিত জোয়েল ডেভিড কাপলান নামের এক কুখ্যাত কয়েদি মেক্সিকোর কারাগার থেকে হেলিকপ্টার যোগে পালিয়ে গিয়েছিল। তার এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘দ্য টেন সেকেন্ড জেলব্রেক’ নামের একটি বই লেখা হয়েছিল এবং একটি সিনেমাও নির্মাণ হয়েছিল।
অবশ্য হেলিকপ্টার যোগে কারাগার থেকে পালানোর ঘটনায় রেকর্ড করেছে ফ্রান্স। দেশটি থেকে অন্তত ১১ জন কয়েদি এ পর্যন্ত অালাদা আলাদাভাবে একইভাবে পালাতে সক্ষম হয়েছে।