তক্ষক একটি গিরগিটি প্রজাতি প্রাণী। পিঠের দিক ধূসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলি পাশাপাশি ৭-৮টি সরু সারিতে বিন্যস্ত। কমবয়সী তক্ষকের লেজে পরপর গাঢ-নীল ও প্রায় সাদা রঙের বলয় রয়েছে। তক্ষকের ডাক চড়া, স্পষ্ট ও অনেক দূর থেকে শোনা যায়। ডাকের জন্যই এই নাম। কক্কক্ আওয়াজ দিয়ে ডাক শুরু হয়, অতঃপর ‘তক্-ক্কা’ ডাকে কয়েক বার ও স্পষ্টস্বরে। ব্যাপক নিধনে বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে এ প্রজাতিটি।
অনেকে ভুলক্রমে তক্ষককে বিষাক্ত সরীসৃপ হিসেবে চিহ্নিত করে। দেশী চিকিৎসায় এদের তেল ব্যবহূত হয়। ভারত ও বাংলাদেশসহ মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্পুচিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬০০ প্রজাতির তক্ষক বাস করে।
গতকাল শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সাত দিন বয়সের তক্ষকের একটি বাচ্চা ও ২টি ডিম উদ্ধার করে বিকালে মাধবকুন্ড পর্যটন এলাকার বনাঞ্চলে অবমুক্ত করেছে স্থানীয় বনবিভাগের লোকজন।
পৌর শহরের পাখিয়ালা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির পিছনে গর্ত খুঁড়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর কায়ছার পারভেজ ও বনবিভাগের বড়লেখা সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস।
এরপর বিকাল ৩টায় তক্ষকের বাচ্চা ও ডিমগুলো মাধবকুন্ড পর্যটন এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়। বনবিভাগের বড়লেখা সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস পৌর শহরের পাখিয়ালা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে তক্ষকের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার ও অবমুক্তের সত্যতা নিশ্চিত করেন।