গরু, ছাগল, ভেড়া, উট- যাই কোরবানী দেওয়া হোক না কেন দা, বটি ও ছুরি, চাকু তো লাগবেই। আর তাই বসে নেই কামাররা। ঈদকে সামনে রেখে তারা এখন ব্যস্ত দিন পার করছেন। দম ফেলার সময় নেই তাদের। মানুষও আগে ভাগে এগুলো জোগাড় করে রাখতে ভীড় জমাচ্ছে কামারের দোকানে।
পবিত্র ঈদ উল আযহা বা কুরবানী ঈদের আর মাত্র ক'দিন বাকি। কুরবানীর পশু কাটতে চাই ধারালো দা, বটি, ছুরি-চাকু। এদিকে ধাতব সরঞ্জামাদী শান দিতে শানদানগুলোতেও ভিড় ক্রমশঃ বাড়ছে। ভ্রাম্যমান শানদানিরা চষে বেড়াচ্ছেন বাড়ি বাড়ি, পাড়া মহল্লায়।
দিনাজপুরের কামার রঞ্জন, সুনিল, দিলিপসহ আরো কয়েকজন কামার জানান, ঈদে পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য দা-বটি, ছুরি, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ারের চাহিদা হয় বিপুল। তাই আগে থেকেই কাজে নেমে পড়ে কামাররা।
কামার পল্লীতে নতুন দা-ছুরি বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার বিরল হুসনা গ্রামের হিরা। তিনি জানান, ৭০ বছর বয়সেও এই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
একই ধরনের কথা বললেন শহরের বালুবাড়ী মহারাজা স্কুল মোড় এলাকার খোকন, দয়ারাম ও সুবল। যেন নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। ঈদের আর পাঁচদিন বাকি থাকলেও পাইকারী দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক মালামাল সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, ঈদের আগ পর্যন্ত ঠিকমত নাওয়া-খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না।
কারিগররা জানান, কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরী করা হয় ধাতব যন্ত্রপাতি। তবে পাকা লোহার দা-ছুরির চাহিদা সবসময়ই বেশী থাকে এবং বেশী দামে বিক্রি হয়।
বিক্রেতারা জানান, আকৃতি ও লোহা ভেদে প্রতিটি দা ১৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, ছুরি ৫০ থেকে ৩০০ টাকা, চাকু প্রতিটি সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি প্রতিটি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং ধার করার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বেঁচাকেনা হচ্ছে। পুরানো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা ধার দিতে ১০-১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে কামাররা এখন ব্যস্ত দিন পার করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০১ অক্টোবর ২০১৪/আহমেদ