শিরোনাম
- শিশুদের মাঝে বেঁচে থাকতে চান নাসির
- রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে বিভাজনে সুযোগ পাবে ফ্যাসিস্ট শক্তি : আমান
- শনিবার মধ্যরাত থেকে উঠছে নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ শিকারে নামবেন জেলেরা
- রিজওয়ানের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন অস্ট্রিয়ার করণবীর
- কিছু উপদেষ্টার আচরণ মানুষকে আশ্বস্ত করছে না: হুমায়ূন কবির
- ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ
- চলতি মাসেই বিএনপির ২০০ আসনে প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি
- জেমিনি থেকে প্রম্পটিং, বিনামূল্যে ৫ কোর্সে এআই শেখার সুযোগ
- অ্যালগরিদম বদলে গেছে, তাই পথও বদলাচ্ছেন ইউটিউবাররা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৪৬৮
- সুরমা নদীর ভাঙন ঠেকাতে সুনামগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
- ‘দেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমানের ৩১ দফার বিকল্প নেই’
- দুবলার চরে শুরু শুটকি মৌসুম, সাগরে নামছেন ১০ হাজার জেলে
- বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত–আহতদের পরিবারে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭২৬
- ইউক্রেনকে তহবিল দিতে ইইউ’র রুশ সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ ব্যর্থ
- বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত তিন হাজার কর্মী নেবে জাপান
- দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প ও শি জিন পিং
- ইসরায়েলি পার্লামেন্টে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসের তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
- এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী
গরুর আবাসিক হোটেল!
অনলাইন ডেস্ক:
অনলাইন ভার্সন
মানুষের জন্য আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা শুধু বড় বড় শহরেই নয়, এখন মফস্বল শহরগুলোতেও ভুরি ভুরি। তাই বলে গরুর জন্য হোটেল! শুনতে অবাক লাগলেও টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী এলাকায় এমন হোটেল পাওয়া যাবে শত শত। যমুনার তীর ঘেঁষা গোবিন্দাসী গরুর হাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আড়াই শতাধিক পশুর হোটেল। কোরবানীর পশুর সুবাদে এ ক'দিন হোটেলগুলো ছিল রমরমা। তবে শুধু কোরবানীর ঈদের আগেই নয়, সারাবছরই এ হোটেলগুলো চালু থাকে। হোটেলে গরুর যাবতীয় দেখভালের পাশাপাশি গরুকে গোসল করানো, খাওয়ানো এমনকি 'রুম সার্ভিস'-এর ব্যবস্থাও আছে। আর এই হোটেলগুলোর সুবাদে এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম পশুর হাট।
জানা যায়, গোবিন্দাসী গরুর হাট প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার বসে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট বেচাকেনা। শুরুর দিকে পাইকাররা ট্রাক ও নৌকায় গরু এনে হাটের আশপাশের মানুষের বাড়ির সামনে এনে জড়ো করে রাখতেন। ঝড়বৃষ্টির সময় স্থানীয়দের বাড়ির গোয়ালঘরেই গরুগুলো রাখতে হতো। পাইকাররা এর বিনিময়ে বাড়ির মালিককে কিছু টাকা দিতেন।
আর এ থেকেই আসে গরুর হোটেলের ধারণাটি স্থানীয়দের মাথায় আসে। পাইকারদের চাহিদার কারণে স্থানীয় দরিদ্রদের সামনে খুলে যায় সম্ভাবনার দুয়ার। হাটে আসা পশু রাখার জন্য বাড়ির মালিকরা তাদের খোলা জায়গায় টিনের ছাপড়া দিয়ে ঘর তুলতে শুরু করেন। এক সময় ওই ঘরগুলোকেই গরুর আবাসিক হোটেল বলতে শুরু করে সবাই।
হাট শুরুর প্রায় ২/৩দিন অাগেই হাটে এসে এসব হোটেলগুলোতে গরু রাখেন পাইকাররা। আর এজন্য হোটেলে গরুপ্রতি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ টাকা করে ভাড়া দিতে হয়।
গরুর হোটেল চালিয়ে মালিকদের আয় মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। একেকটি আবাসিক হোটেলে ৩০-৪০টি গরু-মহিষ থাকতে পারে। হোটেলগুলোতে রয়েছে খড়সহ পর্যাপ্ত পশু খাদ্যের মজুদ। বেশিরভাগ হোটেলের পাশেই রয়েছে গোসলের পুকুর।
দিনে দিনে বাড়তে থাকে এ ধরনের হোটেলের সংখ্যা। আইডিয়া ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের খানুরবাড়ি, ভালকুটিয়া, কুকাদাইর, রাউৎবাড়ি, জিগাতলা, বাগবাড়ি, স্থলকাশি, মাটিকাটা ও চিতুলিয়াপাড়াসহ আরও অন্তত ১০-১২টি গ্রামে।
গরুর এক পাইকার জানান, গরু রাখা ও পাইকারদের থাকা খাওয়ার এতো সুন্দর ব্যবস্থা দেশের অন্য কোনও হাটে নেই। গরু অবিক্রিত থাকলে সেগুলো হোটেলে রেখে তারা নিশ্চিন্তে চলে যেতে পারেন। হোটেল মালিক নিজ দায়িত্বে সেগুলোর দেখাশোনা করেন। পরের হাটবারে আবার নতুন করে আনা গরুর সঙ্গে সেগুলো বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন বলেন, অভিনব এ হোটেল ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের যদি কিছু করার থাকে তাহলে অবশ্যই করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ অক্টোবর ২০১৪/আহমেদ
এই বিভাগের আরও খবর