মাদকাসক্তিকে সমাজের ত্রুটি বলে মনে করেন অনেকে। এখন কিন্তু প্রমাণ পাওয়া গেছে যে প্রাচীন ক্রেটেশাস যুগে ডায়নোসরেরাও মাদক হিসেবে কাজ করা এক ধরণের ফাঙ্গাস খেতে অভ্যস্ত ছিলো। এযাবতকালে খুঁজে পাওয়া পৃথিবীর “প্রাচীনতম ঘাস” নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বের হয়ে আসে এই তথ্য। এই ঘাস পাওয়া যায় মিয়ানমারে, অ্যাম্বারের মাঝে আটকে থাকা অবস্থায়।
ফসিলে পরিণত হওয়া ১০০ মিলিয়ন বছর পুরনো ঘাসের মাঝে বসতি স্থাপন করতো Palaeoclaviceps parasiticus নামের এক ফাঙ্গাস। এই ফাঙ্গাস বর্তমান সময়ে ফাঙ্গাস আরগট এর সাথে সম্পর্কিত, যা কিনা খাওয়ার পর মাদকের মতো লক্ষণ তৈরি করে। গবেষকেরা দেখেন, যে সময় থেকে ঘাস জাতীয় গাছ পৃথিবীতে রয়েছে, সে সময় থেকেই এ ধরণের ফাঙ্গাস বেঁচে আছে। এ সময়ে নিঃসন্দেহে সরোপড ডায়নোসরেরা একে খেতো কিন্তু খাওয়ার ফলে তাদের মাঝে কি প্রতিক্রিয়া হতো তার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না।
মানুষের ইতিহাসে আরগট ফাঙ্গাসের স্থান অনেক পুরনো। মধ্যযুগীয় ইউরোপে হাজার হাজার মানুষ মারা যায় আরগটিজম রোগ থেকে। আরগট আক্রান্ত শস্য খেয়ে তাদের এই রোগ দেখা দেয়। বিভিন্ন রকমের মাদক তৈরিতে এখন এই আরগট ব্যবহৃত হয়। আরগট খাওয়ার ফলে ডায়নোসরদের কি অবস্থা হতো তা জানতে গেলে ডায়নোসরদের উত্তরসূরি পাখি ও সরীসৃপদের দিকে তাকাতে হয়। আরগট খাওয়ার ফলে ভয়ংকর খিঁচুনি দেখা দিতে পারে সরীসৃপদের মাঝে।
আবার মুরগীর শরীর বিকলাঙ্গ করে দিতেও এটি সক্ষম। কিন্তু এটা খাওয়ার ফলে কি ডায়নোসরেরা মাতাল হয়ে যেত? গবেষকেরা বলেন বর্তমান সময়ের আরগটের সাথে ওই প্রাচীন আরগটের মিল থাকলে ডায়নোসরের মানসিক অবস্থার ওপর তার প্রভাব থাকাটা যথেষ্টই সম্ভব।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৫/নাবিল