প্রতিদিনি গুলির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। মনের মধ্যেও নেই কোন আতঙ্ক। মরছে মানুষ। তবুও থেমে নেই জীবন। এই হচ্ছে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির নিত্যকার চিত্র।
যখন-তখন গোলাগুলির মধ্যেও জীবনের প্রয়োজনে প্রতিদিন রাস্তায় বের হয় মানুষ। আফ্রিকার এই তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে গাদ্দাফি শাসনের অবসান হয়েছে চার বছর আগে। তখন থেকেই জঙ্গি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার জন্য লড়াই চলছে। শাখা বিস্তার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট)। সেখানকার বাসিন্দাদের যেন রক্তপাত, হামলা, সহিংসতা থেকে কোন মুক্তি নেই। এর মধ্যেই তারা নিজের মতো করে ভালো থাকার চেষ্টা করছে। শহরের রাস্তায় মানুষের ভিড় লেগেই আছে। আছে যানজট। রংবেরঙের পোশাকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নানা বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশু। কেনাকাটা করছে। চলছে আমদানি ও রপ্তানির কাজ। বেশিরভাগ পণ্য চীন থেকে আমদানি হয়। হোটেলগুলোতেও ব্যস্ত কর্মীরা। চলছে জমজমাট। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে সবার। রাতবিরেতে সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যায় না।
ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলে মিতিগা বিমানবন্দরের ব্যবসায়ী রাজা। তিনি বলেন, বছরখানেক আগে এক দোকানে কয়েকজন বন্দুকধারী হামলা চালায়। দোকানের মালিককে তারা অপহরণ করে। তিনি আরও বলেন, তখন আমাকে তারা হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। এরপর আমি দেশ ছেড়ে চলে যাই। তবে এক বছর পর রাজা আবার ফিরে আসেন। শুধু নিজের মাতভূমির টানে। তাঁর বিশ্বাস, দেশে আবার শান্তি ফিরে আসবে। আর সেই আশাতেই দিন কাটছে লিবিয়াবাসীর। এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ মার্চ, ২০১৫/ রোকেয়া।