বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানী বাজারের আশপাশে রয়েছে দুর্লভ পাখি বামুনী কাঠ শালিক। ২০১০ সালে ডাব্লিউইএসটির তালিকা তৈরির সময় ডেমাজানী বাজার থেকে শুরু করে আড়িয়া বাজার ও মানিকদিপা এলাকায় প্রথম দেখা মেলে খয়রাপাখ পাপিয়ার। এ পাখি বাংলাদেশে একেবারেই দুর্লভ। এরা ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর মে-আগস্ট মাস পর্যন্ত এ এলাকায় অবস্থান করে এবং চুপিসারে অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে। নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে এদের পাওয়া যায় না। ২০০৬ সালে মানিকদিপা গ্রামের ক্যান্টনমেন্টের ফায়ারিং রেঞ্জে বন সুন্দরী পাখির সন্ধান পাওয়া যায়। তিন-চার জোড়া পাখি ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকায় প্রতি এপ্রিলে আসে। প্রজনন শেষে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে চলে যায়।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পশ্চিমে এক পুকুরে মেঘহও মাছরাঙার সন্ধান পাওয়া যায়। এ পাখিও বাংলাদেশে দুর্লভ। এ মাছরাঙা পাখি ডাকে 'কে-এ-কে-কে-কে' বলে। এদের ডাক শুনে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। মনে হবে, কেউ যেন বলছে, কে-কে-কে। মাছরাঙার মধ্যে এ পাখি দেখতে খুবই সুন্দর ও আকারে বেশ বড়। এ ছাড়া মানিকদিপা গ্রামের পশ্চিম এলাকায় সন্ধান মিলেছে দাগি ছাতারের। এটিও বাংলাদেশের দুর্লভ পাখি। দেখতে অনেকটা ছাতারে পাখির মতো। ভালোভাবে খেয়াল না করলে ছাতারে থেকে এদের সহজে আলাদা করা যাবে না। এদের ডাক শুনে মনে হবে, মুরগির বাচ্চা মা হারিয়ে ডাকছে টিউ-টিউ-টিউ।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ এপ্রিল ২০১৫/শরীফ