২ মার্চ, ২০২০ ২২:০৮

শিক্ষা অফিসের ছাদে ফলের বাগান

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর:

শিক্ষা অফিসের ছাদে ফলের বাগান

দৃষ্টিনন্দন শিক্ষা অফিসের ছাদে ফলের বাগান। শহরে বসবাসরত মানুষ তাদের ভবনের ছাদে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন বিষমুক্ত ফল-সবজি খেতে পারেন। এতে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখার পাশাপাশি নিজেদের চাহিদাও মিটবে। এ অভিপ্রায়কে উৎসাহিত করছে এই চিরিরবন্দর শিক্ষা অফিসের ছাদের ফলের বাগান। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এম.জি.এম সরোয়ার হোসেন চিরিরবন্দর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দ্বিতল ছাদে গড়ে তুলেছেন ছাদ কৃষি বাগান। শখের বসে নিজের কর্মস্থলেই প্রকৃতিকে ভালোবেসে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন এই ছাদ কৃষি। 

ওই ছাদে টবে শোভা পাচ্ছে, নাগপুরি কমলা, ভুটানী আপেল, বারি-১ জাতের মাল্টা, আমেরিকাশ জাতীয় আম, কামরাঙ্গা, আঙ্গুর, থাই আমড়া, সফেদা, কদবেল, থাইল্যান্ডের মিষ্টি তেতুল, বেদানা, চেরীফল, থাই সেভেন পেয়ারা, ডালিম, ড্রাগন, লটকন, পুদিনা, আপেল কুল, হাইব্রিড নারিকেল, সাদা এলাচ, আঙুর, নাশপাতি, লেবুসহ ২৮ প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মতিউর রহমান নিউটন জানান, ছাদের ওপরে সারিবদ্ধভাবে বড় ফুলের টবে মাটি ভরাট করে প্রতিটি টপে একটি করে ফলদ গাছ রয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এম.জি.এম সরোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব অর্থায়নে এবং পরিচর্যায় এ ফলদ বাগান গড়ে তুলেছেন। অবসর সময়ে বাগানে সময় কাটান তিনি। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন অফিসের সহকর্মীরা।

২ বছর পূর্বে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এম.জি.এম সরোয়ার হোসেন উপজেলা কমপ্লেক্সে শিক্ষা অফিসে দ্বিতীয় তলায় ছাদে সখের বশে কৃষি বাগানটি গড়ে তুলেছেন। তিনি জানান, প্রথম দিকে মাল্টা, কমলা ও আমের চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন। বছর শেষে বাগান থেকে মিষ্টি ও সুস্বাদু মাল্টার ও আম পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তিনি কামরাঙা, ডালিম, সফেদা, লেবু, জলপাই, পেয়ারা, বরই, আমড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রোপণ করেন। 

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, শহরে বসবাসরত মানুষ তাদের ভবনের ছাদে স্বল্প পরিসরে ফল ও সবজি উৎপাদন করে প্রতিদিন বিষমুক্ত ফল-সবজি খেতে পারেন। নিজেদের চাহিদাও মিটবে পাশাপাশি বিক্রিও করতে পারবে। ছাদ কৃষিতে যে ধরনের সহযোগিতা লাগবে তা কৃষি বিভাগ সহযোগিতা দিবে। 
  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর