গ্রেফতার হওয়ার দুই মাসের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা ধরব আর ছাড়া পেয়ে তারা আমাদের সামনে দিয়ে হাসতে হাসতে চলে যায় এটি দুঃখজনক। মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, মাদক পাচার রোধে বিজিবির আন্তরিকতার কমতি নেই। গতকাল দুপুরে পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলনকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক চলতি বছরে বিজিবির সার্বিক কর্মকাণ্ড ও সফলতা তুলে ধরেন। এ সময় বিজিবির অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজের উদ্বোধন করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্বেগের বিষয় হলো ইয়াবা ও ফেনসিডিল। এখন মাছের পেটে, মরিচের মধ্যে, ফুলের মধ্যে এমনকি সবজির মধ্যে করে ইয়াবা আসছে। আমাদের একার পক্ষে এটি আটকানো সম্ভব নয়। প্রতিবেশী দেশ, গণমাধ্যমসহ সমাজের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। দেশে মাদকের ব্যবহার কমাতে পারলে আমদানিও কমে যাবে। টেকনাফে ইয়াবার সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত বলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারও জিম্মায় মাদকদ্রব্য না পাওয়া গেলে তাকে ধরতে পারি না। এটুকু বলতে পারি, কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের পক্ষ থেকে বাধা নেই। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেকে এলাকাছাড়া হয়েছে। সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। এরপরও হত্যাকাণ্ড চলছে বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজ আহমেদ বলেন, এ জন্য গরু চোরাচালান বন্ধ করতে হবে। ভারতের গরুর দিকে তাকানো যাবে না। ২০১৫ সালে সীমান্তে ৪৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ জন ভারতের সিভিলিয়ানদের হাতে। আমাদের সীমান্তগুলো এ রকম যে একজনের রান্নাঘর ভারতে আর ঘুমানোর ঘর বাংলাদেশের মাটিতে। আবার ভারতে অনেকের আত্মীয়স্বজন থাকে। দেখা গেছে, প্রেম করতে ওপারে গিয়ে প্রেমিকার আরেক প্রেমিকের হাতে নিহত হয়েছে, এমন ঘটনাও ঘটেছে। সীমান্ত ব্যাংকের বিষয়ে তিনি জানান, জুলাই মাস থেকে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৭ থেকে ১০টি শাখা হবে। বিজিবির এয়ার উইং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী রবিবার চট্টগ্রামের বাইতুল ইজ্জতে ইউংয়ের সদর দফতরের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি হেলিকপ্টর নিয়ে উইংয়ের যাত্রা শুরু হবে। ডিজি বলেন, পাঁচ মাসে এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৩৪ বোতল ফেনসিডিল, ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৪৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও ১৬৪ জন ইয়াবা পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাঁচ মাসে ১৪টি পিস্তল, ৮টি বন্দুক, ৯টি ম্যাগাজিন ও ১৩৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া ১৭১ জন নারী শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। আর ৪৯ জন ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে। মিয়ানমারের ২ হাজার ২৯৭ জন নাগরিকের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।
শিরোনাম
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
- ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
- জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
- লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র্যালি
- জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেলে প্রবেশ নিষেধ
- দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন, বর্জন যুক্তরাষ্ট্রের
- চাপের মুখে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করতে যাচ্ছে ইইউ
- সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের
- পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধে বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়া, চীনের আকাশ ব্যবহারে লবিং
- ফিলিপাইনে বিক্ষোভের মুখে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ
- ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি
- রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭
- অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ
- রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
- নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা
- একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া পাওয়ায় হতাশা
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়