সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মিতু হত্যার তদন্ত আটকে গেল মুছায়, সবাই চুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মিতু হত্যার তদন্ত আটকে গেল মুছায়, সবাই চুপ

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনের তিন মাস পূর্ণ হলো আজ। কিন্তু এখনো পুলিশ নিশ্চিত করছে না—কী কারণে খুন হয়েছেন মিতু। জানাতে পারছে না খুনের হোতা, নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী কে বা কারা। পুলিশ কিলার ভাড়া করা কামরুল ইসলাম ওরফে মুছা সিকদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলেই থেমে আছে। যদিও পুলিশের দাবি, মুছাকে গ্রেফতার করা গেলেই উন্মোচিত হবে হত্যারহস্য। কিন্তু মুছার পরিবার বলছে, মুছাকে পুলিশই আটকে রেখেছে। অথচ এ কথা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করছে না। এ অবস্থায় রহস্য উন্মোচন হওয়ার বদলে কেবলই জট পাকাচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার গতকালও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ মামলার তদন্ত মুছাতে আটকে আছে। তাকে গ্রেফতার করা গেলেই অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে। তাই মুছাকে গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চলছে।’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘মামলার তদন্ত থমকে গেছে, এমনটা বলা যাবে না। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই এ মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চলছে।’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিতু খুনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে খুনের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের দুজন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সর্বশেষ ১ জুলাই চট্টগ্রাম নগরী থেকে শাহজাহান ও রাঙ্গুনিয়া থেকে মুছার ভাই সাইদুল আলম সিকদার ওরফে সাকু মাইজ্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন মুছাকে ধরা গেলেই রহস্য উন্মোচন হবে। অন্যদিকে মুছা সিকদারের স্ত্রী পান্না আকতার বলেছেন, ২২ জুন মুছাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ নেই। পান্না বলেন, ‘পুলিশ পরিচয়ে মুছাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর আড়াই মাস ধরে তার কোনো হদিস পাচ্ছি না। মুছা যদি অপরাধ করে থাকে, প্রচলিত আইনে তার বিচার করা হোক। শুনছি তাকে গুম করা হয়েছে। কিন্তু আমরা এ কথা বিশ্বাস করতে চাই না।’ প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া গত ৫ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রাশেদ ও নবী। কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া মুছা ও কালু এখনো পুলিশি খাতায় ‘পলাতক’।

সর্বশেষ খবর