জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ভারত যেখানে তাদের সুন্দরবনের ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেয়নি, সেখানে আমাদের সরকার সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়ে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ এই বনকে ধ্বংস করছে। ইউনেস্কোসহ বিশ্বের পরিবেশবিদরা রামপাল বিদুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সরকার এই রামপাল বিদুৎকেন্দ্র বাতিল না করে ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে নেমেছে। তিনি বলেন, পুলিশবাহিনী দিয়ে আমাদের নির্ধারিত স্থানে পূর্বঘোষিত সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, এই বিদুৎকেন্দ্র বাতিল না করা হলে এই সরকারের পতন ঘটবে। বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট সার্কিট হাউসের সামনে রামপাল অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এসময় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কেন্দ্রীয় নেতা এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, সিরাজ মিয়া, তানিয়া ফেরদৌসী, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, লোকমান হাকিম, বাগেরহাট জেলা সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম প্রমুখ। বাগেরহাটে সমাবেশ করতে না পারার ক্ষোভ জানিয়ে আ স ম রব বলেন, দেড় মাস আগে বাগেরহাট সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনে সভা আহ্বান করার পরও সরকারি দলের লোকজন দিয়ে উসকানিমূলকভাবে জেএসডির নির্ধারিত কর্মসূচি ভণ্ডুল করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেন আ স ম আবদুর রব।
বাগেরহাট সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন চত্বরে রামপাল বিদুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে জাসদের পূর্ব-নির্ধারিত সমাবেশস্থলে জেলা তাঁতিলীগ বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণের দাবিতে পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ওই স্থানে কাউকে সমাবেশ করতে দেয়নি।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, দুপক্ষ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় কাউকেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে সার্কিট হাউসে জেএসডির কর্মসূচিতে আমরা বাধা দিইনি।