রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিমানবন্দর বিড়ম্বনা

আলী রীয়াজ

বিমানবন্দর বিড়ম্বনা

বাংলাদেশ থেকে চব্বিশ ঘণ্টার বেশি পথ পেরিয়ে বাড়ি ফেরার আনন্দের এক-তৃতীয়াংশ মাটি হলো সুটকেস  খোলার পর; শিকাগো এয়ারপোর্টেই লাগেজের চেহারা বিশেষত তালার দিকে তাকিয়ে আশঙ্কা হয়েছিল -  সেটাই সত্য হলো বাড়ি ফিরে। সুটকেসটা খোলা হয়েছে এবং তাড়াহুড়ো করে সব কাপড়গুলো ফেরত রাখতে গিয়ে জোর করে ঠেলে দেওয়া হয়েছে- পরিণতি হচ্ছে স্যুটগুলো হয়েছে কাপড়ের দলা - কিন্তু শুধু তাই নয় সেখান  থেকে উধাও হয়েছে একটা মূল্যবান জিনিস; অর্থমূল্যে তা বেশি নয়, কিন্তু দরকারি জিনিস।

এমন ঘটনা ঢাকা বিমানবন্দরে এই নিয়ে দুবার ঘটলো গত ছয় মাসে। আমার উদ্বেগটা চুরি করে নেওয়ায় যতটা তার চেয়ে বেশি নিরাপত্তা নিয়ে - আপনার ব্যাগ থেকে চুরি সম্ভব হলে সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত এমনকি নিষিদ্ধ জিনিস ঢুকিয়ে দেওয়াও সম্ভব। সেটা আবিষ্কৃত হবে ভিন্ন দেশে, বাকিটা কল্পনা করতে পারেন- যাত্রীর কী হবে!  সেটা বাংলাদেশের কর্তাব্যক্তিরা না ভাবতে পারেন, কিন্তু বিমানবন্দর হিসেবে ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল, দ্বিতীয় বার উঠলে তার পরিণতি দেশের জন্যে ইতিবাচক হবে না। ঘটনা ঘটার পর এই নিয়ে আলোচনার ঝড় না তুলে এখনই পদক্ষেপ নিন। আমার কত ক্ষতি হলো সেটা খুব সামান্য বিষয়, বাংলাদেশের কত ক্ষতির আশঙ্কা সেই ভেবেই এই কথাগুলো। (লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক পরিচিতি: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার এবং রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর