পৃথিবী এবং জীবন বাঁচাতে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সোমবার অনুষ্ঠিত ইকোসকের উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এফএফডি) ফোরামে কান্ট্রি স্টেটমেন্ট প্রদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা না থাকলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের শিকার, যা এর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।’ খবর এনআরবি নিউজের। অনুষ্ঠানে এলডিসি থেকে উত্তরণকারী দেশগুলোর টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক পর্যায়ে নীতিগত বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করে সহযোগিতার পদক্ষেপগুলো অবারিত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী। ‘টেকসই উত্তরণ’ অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ আমাদের জাতীয় আকাক্সক্ষার একটি। বাংলাদেশ দ্রুততার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ গ্রহণ করেছি। এই দুই রূপকল্পে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছি।’ আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০১৪ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৫ ভাগ, যা বেড়ে ২০১৮ সালে ৮.১৩ ভাগে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় ২০০৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ২৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। সমন্বিত ও সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করে আমরা দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪০% থেকে ২০১৮ সালে ২১.৪%-এ নামিয়ে এনেছি।’ মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের উন্নয়ন পদক্ষেপে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতি, সদস্য দেশগুলো থেকে আসা মন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, জাতিসংঘ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি প্রমুখ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত চতুর্থ এফএফডির এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইকোসকের এই চতুর্থ উন্নয়নের জন্য এ অর্থায়ন ফোরাম আগামীকাল শেষ হবে।