শনিবার, ১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাঁচ এমপির লোভ ছিল বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঁচ এমপির লোভ ছিল বেশি

জাতীয় সংসদে শপথ নেওয়া পাঁচ এমপিকে দলের ‘অবাধ্য’ ব্যক্তি বলে সম্বোধন করলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এখন এই পাঁচজন যদি দল ছেড়ে চলে যেতেন। তারা যেতেনই। সে কারণেই বর্তমান প্রেক্ষাপটটা বুঝতে হবে। এদের (পাঁচ এমপি)  লোভ আছে, চাপও ছিল। চাপের চেয়ে       

লোভ বেশি ছিল। পার্লামেন্টে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল, আবার গেলাম। এটা থেকে বুঝতে হবে, আমাদের প্রতিশ্রুতির অভাব আছে। আমরা অবাধ্যকে বাধ্য করতে পারিনি। কারণ তাদের দলের প্রতি, রাজনীতির প্রতি কমিটমেন্ট  নেই।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, তাঁতী দলের বাহাউদ্দিন বাহার প্রমুখ বক্তব্য দেন। পাঁচ এমপির শপথ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এই পাঁচটা লোককে যদি আমরা বাধ্য করতে পারতাম তাহলে আজকে আমাদের এই দুঃখ থাকত না। মানুষের কাছে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হতো না। এ বিষয়টা আপনাদের বুঝতে হবে। কারণ ঘরের বউ যদি রাতের অন্ধকারে চলে যায়, সমাজে তো বদনাম হয়। সামাজিক কারণেও তো অনেক সময়ে বউয়ের অন্যায় আবদার মেনে নিতে হয় মানসম্মানের ভয়ে। তারা একটা দিন বলেছে কি যে খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে আমরা পার্লামেন্টে যাব না। কেউ বলেছে? বলেনি। কাজেই তাদের পার্লামেন্ট যাওয়াটা জরুরি, খালেদা জিয়ার মুক্তি জরুরি নয়।’ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে আইন আছে, আইনের প্রয়োগ নেই। বিচার বিভাগ যদি স্বাধীন হতো এবং বিবেকতাড়িত হতে পারত আর বিবেক তাড়িত হলে বেগম খালেদা জিয়ার ১৪ মাস নয়, ১৪ দিন জেলে থাকার কথা নয়। আমি ধরে নিলাম বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। এ রকম সাজাপ্রাপ্তের সংখ্যা শত শত না হাজার হাজার- তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর