বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এ পরিস্থিতিতে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তবে স্থগিত নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকদের কয়েকজন আহত হন। পরে তারা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করেন। বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা উপাচার্যের কক্ষের বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে গালিগালাজ করতে থাকেন। তাদের সঙ্গে উপাচার্যের বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএসএমএমইউর গেট, গেটের ভিতর ও মূল ভবনের ভিতরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমি সবকিছু নিয়ম মতো চালাতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু উ™ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার চলমান মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করতে হচ্ছে। সিন্ডিকেট মিটিং করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আন্দোলনের বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সদস্য ডাক্তার বিজয় কুমার পাল বলেন, এর আগে পুলিশ দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে, আজও আমাদের পুলিশ দিয়ে আহত করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর বিচার করতে হবে। অনিয়মে ভরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে ডা. চয়ন বলেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করলে চলবে না। প্রক্রিয়া বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। এরপর আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে মিছিল করেন। এ ব্যাপারে রমনা থানার এডিসি আজিম বলেন, সকাল থেকে মৌখিক পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আন্দোলনকারীদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া উপাচার্যের নিষেধ ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সবাইকে চেক করে যেতে দিচ্ছিলাম। ডাক্তাররা তাদের পরিচয় দিলে আমরা যেতে দিয়েছি। তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে গেছেন। তবে তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গত ২০ মার্চ বিএসএমএমইউতে ২০০ ডাক্তারের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন ডেন্টাল চিকিৎসক পদে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আট হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় এক পদের জন্য চারজন পাস করেন। এ হিসাবে ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। চূড়ান্ত নিয়োগের লক্ষ্যে তাদের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। এই অবস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হলো।
শিরোনাম
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
- টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
- নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
- মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
- তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
- সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
- ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
- শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
- মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
- জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
- পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
- পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
- প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
- নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
- বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
- চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
- উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
- বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভিসি অফিস ভাঙচুর নিয়োগ স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর