বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

আগে অনিয়ম বন্ধ করতে হবে

ইকবাল হাবিব

শামীম আহমেদ

আগে অনিয়ম বন্ধ করতে হবে

নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেছেন, আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কর্মকা-  রাজউকের ভূমি পরিকল্পনায় পরিষ্কারভাবে নিষেধ করা আছে, যার বরখেলাপ রাজউক নিজেই করছে। গুলশান-বনানী এলাকাজুড়ে আবাসিক ভবনগুলোকে বাণিজ্যিক ভবনে রূপান্তর করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারি সংস্থাগুলো অন্যায় কর্মকা  চালিয়ে যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের ভোগান্তি কমবে না। নদী পরিষ্কার করবেন, পাশাপাশি দূষণ চালিয়ে যাবেন- তাতে লাভ কী? আগে অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে গতকাল মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইকবাল হাবিব বলেন, যার আয় ৫০ হাজার টাকা তিনি যত পরিকল্পনা করে সংসার চালাবেন, যার আয় ৫ লাখ তিনি তত পরিকল্পনা করে চালাবেন না। ঠিক তেমনি যেখানে অনেক জমি পড়ে আছে সেখানে পরিকল্পনা জরুরি নয়। ঢাকায় সবচেয়ে জরুরি। ঢাকার জনসংখ্যা ঘনত্ব শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। এমন শহরে পরিকল্পিত নগরায়ণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঢাকাই সবচেয়ে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে। এর দুর্বিষহ পরিণতি ও কষ্ট সবাইকে ভোগ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মানুষ বাস করছে। সেখানে আমরা ঢাকা শহরের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে অপরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছি। নগরের জমি ব্যবহার, পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণ বা বায়ুদূষণ-জলদূষণ-জনদূষণ প্রতিবিধান- কোনো ক্ষেত্রে পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নেই। আমরা নিজেরাই নিজেদের পরিণতি ভয়ঙ্কর জায়গায় ঠেলে দিচ্ছি। ক্রমেই ঢাকা বসবাস অযোগ্য হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, বসবাসযোগ্য পরিকল্পিত ঢাকা গড়তে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। যেসব অনিয়ম হয়েছে সেগুলো অপসারণ করতে হবে। যেগুলো হওয়ার পথে সেগুলো বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে শিল্প-কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের জন্য অন্য কোথাও সুব্যবস্থা করতে হবে। এই নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, যেভাবে নদী দখলকে অপসারণের মাধ্যমে নদী রক্ষার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, একইভাবে সমস্ত অপশাসনগুলো সরাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর