সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইনটি কার্যকর করতে আরও এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিধি প্রণয়নের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আইনে শাস্তির পরিমাণ কী তা সবাইকে জানানো দরকার। একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আরও এক সপ্তাহ সময় নেবে সরকার। এই আইনে ১৪ নভেম্বরের আগে সড়কে কোনো মামলা হবে না। গতকাল সড়ক ভবনে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনটি কার্যকর করতে গণমাধ্যমকেও ভূমিকা পালন করতে হবে। আইন কার্যকর করতে এক সপ্তাহ পর আটঘাট বেঁধে নামব। এ আইনের বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং জব। এখানে বাধা আছে চ্যালেঞ্জ আছে। সাহসের দরকার, সততার দরকার ও কমিটমেন্টের দরকার। তিনি বলেন, আইন যেমন আছে, তেমনই আইনের বিধিও দরকার। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হলে শাস্তি থাকতে হবে। এ কারণেই কয়েক দিন ধরে বিআরটিএতে লাইসেন্স নবায়নের হিড়িক পড়েছে।
সড়ক মন্ত্রী বলেন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি নিয়ে প্রায়শই আমি দুশ্চিন্তায় থাকি। প্রায়ই এই দুটি প্রতিষ্ঠান খারাপ খবরের শিরোনাম হয়। তিনি বলেন, বিআরটিএ অপকর্মকারী কর্মকর্তাদের এখানে ওখানে বদলি করেও শোধরানো যায় না; চুরি-চামারি, দুর্নীতি তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এদের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে, এদের বের করে দিতে হবে। নানা জায়গায় কাজ করে অপকর্মের ব্যাপারে পাকা হয়ে গেছে অনেক কর্মকর্তা, তাদের বাদ দিতে হবে। এই ছিঁচকে চোর বদলি করেও পরিবর্তন হয় না।
