রাজধানীর মতিঝিলে মোহামেডান ক্লাবে ক্যাসিনো থেকে অবৈধভাবে দিনের আয় ছিল ৩০ লাখ টাকা। আর এ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে যেত ৬ জায়গায়। এমনকি প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন নেতা-কর্মীদের কাছেও যেত কিছু ভাগ। প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও দলীয় বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ পৌঁছানোর দায়িত্ব ছিল বহিষ্কৃত কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ ওরফে ক্যাসিনো সাঈদের অন্যতম সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামালের। আর মোহামেডান ক্লাবের সদস্য সচিব লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ক্যাশিয়ার ছিলেন ছালাউদ্দিন ও ক্লাবের মসজিদের ইমাম আওলাদ হোসেন। ছালাউদ্দিন ও আওলাদ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানার একটি মামলায় গ্রেফতারের পর তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নেয় সিআইডি। বৃহস্পতিবার তাদের রিমান্ড শেষ হয়। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। সিআইডি সূত্র জানায়, ছালাউদ্দিন ও আওলাদ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য সচিব লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার দুই সহযোগী। এর আগে লোকমান পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন- তারা সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম সদস্য ছালাউদ্দিন। অপরাধের মাধ্যমে করা টাকা সংগ্রহ ও বণ্টনের দায়িত্ব ছিল তার। আওলাদ হোসেন ও ছালাউদ্দিনের সার্বক্ষণিক সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। মোহামেডান ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো ব্যবসা স্থাপন ও পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে আসছিলেন। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, কাশেম ওই ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন। ক্যাসিনো থেকে দৈনিক আয়ের টাকা ভাগ হয়ে লোকমান তার সহযোগী ছালাউদ্দিনের কাছে জমা রাখতেন ৪ লাখ টাকা। ক্লাবকেই দিতে হতো ৫ লাখ টাকা। প্রশাসনের বিভিন্ন লোকের জন্য বরাদ্দ থাকত ১০ লাখ টাকা। আর বাকি টাকার একটা অংশ নিয়ে যেতেন লোকমান এবং আরেক অংশ যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো। প্রশাসন ও দলীয় লোকদের টাকা পৌঁছানোর দায়িত্বে ছিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল উদ্দিন। তিনি নিজের এবং তার অনুসারীদের জন্য রাখতেন কিছু টাকা। বহিষ্কৃত কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদকে মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছে দিতেন। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, মোহামেডান ক্লাব থেকে ছালাউদ্দিন চাঁদা আদায় করতেন। লোকমানসহ কয়েকজনের কাছে ওই চাঁদার টাকা পৌঁছে দিতেন। আর ক্যাসিনো ব্যবসায় অবৈধভাবে আয়ে জড়িত প্রত্যেককেই গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তেজগাঁও থানার মাদক মামলায় লোকমানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর গত বছরের ১৯ নভেম্বর অর্থ পাচার আইনে লোকমানের বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডি। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮-১৯ সালে ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেন লোকমান। আর অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেন ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৬৪ টাকা। সর্বমোট ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮ টাকা অর্জন করেন। লোকমান মোহামেডান ক্লাবের কক্ষ ভাড়া দিয়ে জুয়া ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে আয় করা অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে তারা জানতে পেরেছে।
শিরোনাম
- ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
- সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
- অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
- ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
- বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
- সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী
- মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন
- ‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’
- আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল
- বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক
- ‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
- দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
- সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক
- ২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি
- নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে : তৃপ্তি
- দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
- ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, দায়ী পাকিস্তান: তালেবান
- ইলেকশন অবজারভার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ
মোহামেডানের ক্যাসিনোর দিনে আয় ৩০ লাখ, ৬ ভাগে বাটোয়ারা
মাহবুব মমতাজী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর