শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ চায় না বিদেশিরা ভোট দেখুক

আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ জয় পেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পর্যবেক্ষকদের দিয়ে সবকিছু করতে চায়। বাইরের (বিদেশি) কেউ ভোট দেখবে তারা তা চায় না। নিয়ন্ত্রণের নির্বাচনের মাধ্যমে ফল পেতে চায় তারা। গতকাল নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিইসি কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি শুধু জিতবে না, বহু ভোটে জিতবে। তাই ভোট নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। সবাই মিলে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের পর্যায় নিয়ে গেছে। এখনো আশায় আছি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন চাইলে পরিবর্তন সম্ভব। চাইলেই জনগণের ভোট ফিরিয়ে দিতে পারেন তারা। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশীয় দলীয় পর্যবেক্ষকদের ২২টির মধ্যে ১৮টির ওয়েবসাইট নেই। আবার দুটির একই ব্যক্তি চেয়ারম্যান ও আরেকটিতে চিফ এক্সিকিউটিভ। সেই প্রতিষ্ঠানের স্পন্সর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগ অবজারভারদের দিয়ে সবকিছু করতে চায়, বাইরের কেউ দেখবে, তারা চায় না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশ নির্বাচনের বিধির সরাসরি লঙ্ঘন। নির্বাচনের দুই দিন আগে এটা করা যায় না। নির্বাচন কমিশন বলছে তারা কিছু জানেন না, আমরা মনে করি তারা ওয়াচ ডগ হিসেবে সব পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু সমাবেশ করছে এটা তারা জানেনই না। এটা আমাদের তাদের কাছে বলতে হয়। আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত দৃশ্যমান অপরাধ না হলে গ্রেফতার হবে না বলে জানিয়েছিল, কিন্তু গ্রেফতার চলছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করা হবে না বলেছিল, কিন্তু সেটিও শুরু হয়ে গেছে। গ্রেফতারও হচ্ছে নতুনভাবে। আমাদের প্রার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে তারা নাকি কিছু পায়নি। নির্বাচনের যে পরিবেশের কথা বলে আসছি, আওয়ামী লীগের দক্ষিণের প্রার্থীর একজন এমপি, সিনিয়র নেতা সেখানে বসে ছিলেন; এটা ক্লিয়ারলি ভায়োলেশন। ঢাবিতে বসে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, কেন্দ্রের ভিতরে-বাইরে আশেপাশে দখলের জন্য। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নাকি বলেছেন, বিএনপি নাকি বাইরে থেকে লোক এনে কেন্দ্র দখল করবে, দেশের একটি মানুষও কি তা বিশ্বাস করবে, উনি নিজে কি বিশ্বাস করবেন। তিনি বলেন, ইসি সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোট নিশ্চিত ও সুরক্ষার জন্য। কিন্তু এখন ইসি হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের ভোট সুরক্ষার জন্য।

সর্বশেষ খবর