রবিবার, ৩১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় চাকরি নেই ৭০ হাজার পোশাক শ্রমিকের

রুহুল আমিন রাসেল

মহামারী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ আঘাত পড়েছে দেশের প্রধান রপ্তানিখাত তৈরি পোশাকশিল্পে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন- এর প্রভাবে প্রায় ৪০ শতাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গত তিন মাসে অর্থাৎ করোনাকালে বন্ধ হয়েছে ৩৪৮ কারখানা। আবার কিছু কারখানা ৭/৮ মাস আগেও বন্ধ হয়েছে। আর এ কারণে চাকরি হারিয়েছে প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক। সামনে আরও শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি- বিজিএমইএ সূত্র জানায়- সংগঠনটির ১ হাজার ১৫০ সদস্য কারখানার ৩ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক পণ্যের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। এ কারণেই অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়েছে। তবে ২০১৮ সালে মজুরি বৃদ্ধির পর থেকে অনেক কারখানা টিকে থাকার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন- আমি জানি না এখন কি হবে পোশাক শ্রমিকদের। কি হবে মালিকদের। কারণ- করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জুনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পোশাক পণ্যের অর্ডার কমে যাবে। ইতিমধ্যে করোনাকালের গত তিন মাসেই অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। সামনে আরও বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজিএমইএ সদস্য ২২৭৪টি কারখানার মধ্যে এখন সচল আছে ১৯২৬টি কারখানা। বাকি ৩৪৮টি পোশাক কারখানা করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রকৃত অর্থে কতগুলো পোশাক কারখানা বন্ধ হবে, তা নির্ভর করছে ক্রেতাদের রপ্তানি আদেশের ওপর। ক্রেতাদের রপ্তানি আদেশই পারে কারখানা সচল রাখতে। জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি জানান, পোশাক কারখানাগুলোতে গণহারে শ্রমিক ছাঁটাই চলছে। কোন ধরনের নিয়ন- কানুন মানছেন না মালিকরা। সরাসরি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। পুলিশ মামলাও নিচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর