শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০ আপডেট:

বিদেশি রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
বিদেশি রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা

বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্বনেতা

পৃথিবীর ইতিহাস পরিবর্তনে যে কজন মহান নেতা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’। কিন্তু যারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে জানেন, তাদের সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর পরিচিতি একজন ‘বিশ্বনেতা’ হিসেবে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসন আর জীবনভর জাতির জন্য সংগ্রামের কারণে তিনি সারা বিশ্বে এক অনুকরণীয় নেতায় পরিণত হন। হয়তোবা তার এই সাফল্যকে মেনে নিতে পারেনি সেই পরাশক্তি, যারা বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ ত্যাগ, আপসহীন মনোভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার কারণে শত চেষ্টা করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রুখতে পারেনি। হয়তো সে কারণেই কোনো কোনো দেশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কুচক্রের নির্মম শিকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

অন্যদিকে দেখা যায়, সত্তরের দশকে দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকার সম্পর্ক ছিল বিপরীতমুখী। ফলে রাশিয়া ও ভারতের সহায়তা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম এবং বঙ্গবন্ধুর সাফল্যকে মেনে নিতে পারেনি উভয় দেশের তৎকালীন শত্রু আমেরিকা ও পাকিস্তান। ফলে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভুল প্রমাণিত করা, বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা, সর্বোপরি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। সময় এসেছে আজ সেসব দেশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানবার।

কিসিঞ্জারের কূটচাল : স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আমেরিকান রিপাবলিকান দলের তৎকালীন নেতা এবং মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হেনরি কিসিঞ্জারের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। ১৯৬৯ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ (ঢাকায় জেলখানা হত্যা দিবস) পর্যন্ত হেনরি কিসিঞ্জার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা প্রেসিডেন্ট নিক্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ছিলেন কট্টর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী। কেবল বাংলাদেশই নয়, ভিয়েতনাম, চিলি, আর্জেন্টিনা ও কিউবাসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়ন-সর্বোপরি রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের পেছনে দায় করা হয় ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ থেকে ২০ জানুয়ারি ১৯৭৭ পর্যন্ত আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (সেক্রেটারি অব স্টেট) দায়িত্বে থাকা হেনরি কিসিঞ্জারকে। মূলত নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কিসিঞ্জারের পরামর্শেই আমেরিকা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে আমেরিকান সপ্তম নৌবহর প্রেরণের নেপথ্যে কারিগরও হেনরি কিসিঞ্জিররা। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, ইন্দিরা গান্ধীকে বোকা ও ডায়নি এবং ভারতীয় জনগণকে জারজ সন্তান বলে চরম ঔদ্ধত্য ও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের পরিচয় দেন এই কূটনীতিক।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম হোতা খন্দকার মোশতাক আহামেদ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই আমেরিকা তথা কিসিঞ্জারের সঙ্গে হাত মিলান। মোশতাক মার্কিন পরামর্শে আরও কয়েকজন বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বদলে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি কনফেডারেশন তৈরি করতে। তবে জাতির জনকের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও দিক-নির্দেশনা, মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধ ও ভারত-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থনের কারণে মার্কিন সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে কিসিঞ্জার তা মেনে নেয়নি। ফলে খন্দকার মোশতাক ও বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যকে কাজে লাগিয়ে মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করে হেনরি কিসিঞ্জার। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়।

বঙ্গবন্ধু  হত্যার নেপথ্যে সিআইএর ভূমিকা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার নেপথ্যে প্রকৃত কারণ  অনুসন্ধানে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন সাংবাদিক লরেন্স লিফস্কুলজ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিশেষত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও রাজনীতির ওপর অসংখ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছেন। লরেন্সের লেখা এসব প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ হংকংভিত্তিক ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ, লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান, ভারতের দ্য ইকোনমিক ও পলিটিক্যাল উইকলি এবং নিউইয়র্কের দ্য ন্যাশন পত্রিকার মতো নামিদামি পত্রিকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখা একাধিক প্রবন্ধ এবং বহুল আলোচিত, সমালোচিত এবং বিক্রিত  বই ‘বাংলাদেশ : দ্য আনফিনিসড রেভুলুশন’ (বাংলাদেশ : অসমাপ্ত বিপ্লব) বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ঘটনার এক প্রামাণ্য দলিল। এ বইটি লেখার জন্য তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন, বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং মার্কিন সরকার ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে গোপন সংবাদ সংগ্রহের ঝুঁকি নিয়েছেন। লরেন্সের বিভিন্ন লেখায় দুটি চরিত্রের কথা বারবার উঠে এসেছে মুজিব হত্যাকে কেন্দ্র করে। প্রথম দিকের লেখায় তাদের একজনকে ১৯৭৫ সালে ঢাকা নিযুক্ত একজন উচ্চপদস্থ কূটনীতিক বলা হলে পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি হলে তৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এগোনি বুস্টার। লরেন্সের সঙ্গে বুস্টারের দীর্ঘ ৩০ বছর যোগাযোগ ছিল। অপর একজন ছিলেন সিআইএর তৎকালীন স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরি। বুস্টারের বরাতে লরেন্সের লেখা তথ্যমতে, ১৯৭৪ সাণের নভেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই তিন মাসের মধ্যে মুজিব সরকারকে উৎখাতের জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে বেশ কিছু মিটিং হয়। ঠিক এ সময়ে খোদ আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে সিআইএ কর্তৃক বিভিন্ন দেশে সরকার উৎখাত কিংবা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সংসদীয় তদন্ত এবং আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকাস্থ তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হওয়ার পক্ষে ছিলেন বলে লরেন্সের কাছে দাবি করেন। এ সময়ে সিআইএর ঢাকাস্থ স্টেশন চিফ চেরি ও তার অন্য এজেন্টরা মুজিব সরকার উৎখাতে তৎপর হয়ে ওঠে। যদিও চেরি লরেন্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য অস্বীকার করেন। তবুও স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, এ সময়ে অনেক রাজনৈতিক নেতা মার্কিন দূতাবাসে আসতেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা বা মির্টিং করতেন। এরমধ্যে দূতাবাস রাজনৈতিক কর্মকর্তা সরকারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে কোনো উপদেশ দিলেও তার সঙ্গে সরকার উৎখাত বা রাজনৈতিক হত্যার সম্পর্ক ছিল না বলে মত দেন চেরি। প্রতি উত্তরে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। যার একটি হলো-গোয়েন্দা নীতিমালা অনুসারে চেরি হয়তো সরাসরি কারও সঙ্গে এ বিষেয় কথা বলেননি। তবে যা কিছু নির্দেশনা তা এক মার্কিনি থেকে আরেক মার্কিনি হয়ে ঠিকই পৌঁছে গিয়েছিল ঘাতকদের কাছে। অন্যদিকে চিলিতে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে সিআইএ কর্তৃক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর বিষয়ে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের নির্দেশ ছিল-চিলিতে কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও যেন বিষয়টি না জানে। এভাবেই রাষ্ট্রদূত বুস্টার তার নিরপেক্ষতার বিষয়টি তুলে ধরলেও লরেন্সের কাছে তৎকালে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা স্বীকার করেন যে, রাষ্ট্রদূত বুস্টার ও সিআইএর স্টেশন চিফ চেরির মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বেশ শীতল। বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে অবশ্য এক মার্কিন সাংবাদিকের কাছে চেরি স্বীকার করেন, অভুত্থান বা হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলেও কিছু একটা যে ঘটতে যাচ্ছে, তা জানা ছিল তার।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। এই হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক তার দুই প্রিয়ভাজন আমলা ও মন্ত্রী মাহাবুব আলম চাষী ও তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য বেতার ভবনে যান। তখনই আলোচনায় উঠে আসে, ১৯৭১ সালের অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাহাবুব আলম চাষী ছিলেন মোশতাকের পররাষ্ট্র সচিব। আর তাহের উদ্দিন ঠাকুরও ছিলেন মোশতাকের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমলা। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্ব চলাকালে প্রশিক্ষণ শেষ করে সাফদার পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং পাকিস্তান সরকারের পক্ষে কাজ শুরু করেন। তার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেওয়া অপর পুলিশ অফিসার আবদুর রহিম সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতার কারণে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তা চাকরিতেও পুনর্বাসিত হন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরপরই তারা উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে মোশতাক সরকারকে সহায়তা করতে থাকেন। এভাবে দেখা যায়, এ দুইজনের বাইরেও এমন সব সরকারি সামরিক ও বেসামরিক আমলা মোশতাক সরকারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন, যারা কোনো না কোনোভাবে সিআইএ বা আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খুনি মোসলেম উদ্দিনও রয়েছে আমেরিকার মাটিতে। তাই সার্বিক বিবেচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডে সিআইএ এবং আমেরিকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল বলেই আজ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।

পাকিস্তানের প্রতি সন্দেহের তীর : মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফস্কুলজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। এ সময় তারই এক ভক্ত পূর্ব পরিচিত পাকিস্তানি সাংবাদিক এম বি নাকভী তার কাছে একটি চিঠি লিখেন। এই চিঠির বর্ণনা মতে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে রেডিও পাকিস্তানের অফিসে একটি মিটিং ডাকেন রেডিওর মহাপরিচালক ইজলাল হায়দার জায়েদি। এককালের তুখোড় এই আমলা পাকিস্তান সরকার পরিচালিত আফগান সেলের দায়িত্বে ছিলেন এবং আফগানিস্তানে পাকিস্তান ও তার মিত্রদের (যেমন আমেরিকা) স্বার্থ রক্ষার বিষয় দেখভাল করতেন। পরবর্তীতে পেশওয়ার থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গড়া আফগানিস্তান কেন্দ্রিক নীতি-নির্ধারণী সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এই জায়েদি। তার ডাকা সে দিনের মিটিংয়ে আরও উপস্থিতি ছিলেন বার্তা পরিচালক সরকার হোসেন আনসারী, রেডিওর কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের নিয়ন্ত্রক এম বি নাকভী স্বয়ং। এই মিটিংয়ে জাঁদরেল জায়েদি বারবারই বলছিলেন যে, সে দিনে সেন্ট্রাল নিউজ রুম থেকে একটি বিশেষ সংবাদ আসবে যা নিয়ে জোড়েশোরে সবাইকে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হালকা মেজাজে আলোচনা চলছিল। কিন্তু জায়েদি ছিলেন অস্থির। তিনি অন্তত তিন-চারবার আনসারিকে খোঁজ নিতে বলেন, কোনো খবর এসেছে কিনা। এরমধ্যে দুপুর ১২টার পরপরই টেলিফোন বেজে ওঠে এবং সেন্টাল নিউজ রুম থেকে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর প্রেরিত হয়। এই খবর শোনার পর জায়েদির কপাল থেকে যেন দুশ্চিন্তার ভাঁজ নেমে যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি সংবাদটি নিয়ে কাজ শুরু করতে বলেন এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর বাসভবনের দিকে ছুটতে থাকেন তাকে নিজমুখে এই সংবাদ প্রদানের জন্য। সার্বিক বিবেচনায় নাকভীর মন্তব্য পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট ঢাকায় যা কিছুই ঘটুক না কেন, ইসলামাবাদ তা আগেই জানত।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী তৎকালে ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেসের (ডিজিএফআই) ঢাকার ডিটাচমেন্টের প্রধান এবং বৃহত্তর সুন্দরবন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাত মেজর জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ। আদালতে দেওয়া তার সাক্ষ্যমতে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের সন্ধ্যায় তিনি বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির রুমে খন্দকর মোশতাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, জেনারেল সফিউল্যাহ, জেনারেল জিয়াউর রহমান, ব্রিগেডিয়া খালেদ মোশাররফ, নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম এইচ খান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার এবং ঘাতক দলের সদস্য মেজর ডালিম, মেজর শাহরিয়ার, মেজর রশীদ, মেজর ফারুক, মেজর নূর, মেজর মহিউদ্দিন, মেজর আজিজ পাশা প্রমুখ আলোচনারত ছিলেন।

ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা- নিয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ এবং ‘ইন্ডিয়া, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যান্ড পাকিস্তান (এ পলিটিক্যাল ট্রিটিজ) শিরোনামে একটি বই লিখেন, তার রচনায় স্পষ্টতই উঠে আসে যে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তি। বাংলাদেশের মাটিতে প্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী বলে অহংকার করা পাকিস্তানি বাহিনীর ন্যক্কারজনক পরাজয় ও অসহায় আত্মসমপর্ণ কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা। তাই পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থাকে (আইএসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে রিচতরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ সেই নকশার বাস্তবায়ন দেখেছে সারা বিশ্ব।

বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানত ভারত : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (‘র’) বিভিন্ন কার্যক্রমের খন্ডচিত্র ফুটে উঠেছে  ‘ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিভিউ’ পত্রিকার ০১ মে ২০১৬ সালের সংখ্যায় বি জেড খসরুর লেখা একটি প্রবন্ধে। এই প্রবন্ধ মতে, স্বাধীনতার কিছু দিন পর বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারত বাংলাদেশের মাটি থেকে ‘র’ এর সব গোয়েন্দাকে প্রত্যাহার করে নেয়। তাই বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার বিষয়টি অজানা থাকলেও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা, খাদ্যাভাব ও দুর্নীতির কারণে মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, যা ১৯৭৪ সালের শেষ ভাগেই টের পায় ভারত। ১৯৮১ সালের ১২ জুলাই ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমসের শিরোনামে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের আগে ‘র’-এর দেওয়া সতর্কবাণী উপেক্ষা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। পত্রিকার দাবি এই হত্যাকান্ডের সাত মাস আগেই ‘র’-এর শীর্ষ স্থানীয় এক কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে সতর্ক করেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুমোদন নিয়ে শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা রামেশ্বর নাথ কাও ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানান। প্রতি উত্তরে এই মহান নেতা বলেন, ‘ওরা আমার সন্তান। ওরা আমার কোনো ক্ষতি করবে না।’ ভারতের ভিকাস পাবলিশার্স কর্তৃক প্রকাশিত অশোকা রাইনার লেখা ‘ইন সাইড র : দ্য স্টোরি অব ইন্ডিয়ান’স সিক্রেট সার্ভিস গ্রন্থেও ‘র’ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করার তথ্য পাওয়া যায়। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে ‘র’-এর আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে তাকে আবারও সতর্ক করেন। কিন্তু তখনো বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতে পারেননি যাদের তিনি সন্তানের মতো ভালোবাসেন যাদের জন্য তিনি জীবনের সব সুখ-আনন্দ, সহায়-সম্পদ ব্যয় করেছেন, তারা কোনো দিন, তার বিপক্ষে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর
আইএলওর তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ
আইএলওর তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ভোটের মাঠের পরিবেশ জানতে চায় আইআরআই
ভোটের মাঠের পরিবেশ জানতে চায় আইআরআই
আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই
আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই
হাসিনা-কামালের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ
হাসিনা-কামালের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ
শিগগিরই চূড়ান্ত সুপারিশ
শিগগিরই চূড়ান্ত সুপারিশ
দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার
দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার
চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না
চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না
রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে
রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
সেনাবাহিনীর সহযোগিতা প্রশংসনীয়
সেনাবাহিনীর সহযোগিতা প্রশংসনীয়
আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা
আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা
সর্বশেষ খবর
অপহরণের আট দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্র রাকিবুল
অপহরণের আট দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্র রাকিবুল

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

এল ক্লাসিকো রিয়াল জিতবে, রামোসের ভবিষ্যদ্বাণী
এল ক্লাসিকো রিয়াল জিতবে, রামোসের ভবিষ্যদ্বাণী

১৩ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘ভালো সমঝোতা’ : জেলেনস্কি
ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘ভালো সমঝোতা’ : জেলেনস্কি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মাদক বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে যুবক আহত
রাজধানীতে মাদক বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে যুবক আহত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানে ভালুকের আক্রমণে রেকর্ড মৃত্যু
জাপানে ভালুকের আক্রমণে রেকর্ড মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না
নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাজধানীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাত, দুই কলেজ শিক্ষার্থী আহত
রাজধানীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাত, দুই কলেজ শিক্ষার্থী আহত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাবনায় ৪০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস
পাবনায় ৪০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৭২ বছর পুরনো লজ্জার সামনে লিভারপুল
৭২ বছর পুরনো লজ্জার সামনে লিভারপুল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে মদপানে পর্যটকের মৃত্যু, পুলিশ হেফাজতে চারজন
কক্সবাজারে মদপানে পর্যটকের মৃত্যু, পুলিশ হেফাজতে চারজন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ
শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার
দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরো ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর
আরো ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে বিএনপির মহিলা সমাবেশ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির মহিলা সমাবেশ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাটোরে সড়ক দিবসে মহাসড়ক সংস্কারের দাবি
নাটোরে সড়ক দিবসে মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫
নাটোরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পৃথক স্থান থেকে ২ লাশ উদ্ধার
সিলেটে পৃথক স্থান থেকে ২ লাশ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার অর্থ কি, ইউক্রেনের সামনে ঘোর বিপদ?
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার অর্থ কি, ইউক্রেনের সামনে ঘোর বিপদ?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুড়িগ্রামে টিকাদান ক্যাম্পেইনে সভা
কুড়িগ্রামে টিকাদান ক্যাম্পেইনে সভা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ
একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ইসিজি মেশিন হস্তান্তর
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ইসিজি মেশিন হস্তান্তর

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ
মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লালমনিরহাটে ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক
লালমনিরহাটে ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৫৮ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৫৮ মামলা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্দর অভিমুখে শ্রমিক-কর্মচারীর মিছিলে বাধা
বন্দর অভিমুখে শ্রমিক-কর্মচারীর মিছিলে বাধা

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুড়িগ্রামে জমি দখলের অভিযোগে যুবদ‌লের ২ নেতা ব‌হিষ্কার
কুড়িগ্রামে জমি দখলের অভিযোগে যুবদ‌লের ২ নেতা ব‌হিষ্কার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’
‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের
হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা
বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ
জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা
স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন
সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের
পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে
সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন
সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা
প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ড. ফাহমিদা খাতুন
দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ড. ফাহমিদা খাতুন

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ
নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বনাথে অসময়ে তরমুজ চাষ, লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক
বিশ্বনাথে অসময়ে তরমুজ চাষ, লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস
অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামতেই দেবে গেল হেলিপ্যাড (ভিডিও)
ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামতেই দেবে গেল হেলিপ্যাড (ভিডিও)

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৮ বছর বয়সে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড আসিফ আফ্রিদির
৩৮ বছর বয়সে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড আসিফ আফ্রিদির

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল
শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
জোট বাড়ছে বিএনপির
জোট বাড়ছে বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের

সম্পাদকীয়

ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক
ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না
ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না

নগর জীবন

মিঠামইনের অঘোষিত রাজা
মিঠামইনের অঘোষিত রাজা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব
প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব

মাঠে ময়দানে

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই

নগর জীবন

আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা
আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট
কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

এই চুরি রুধিবে কে?
এই চুরি রুধিবে কে?

নগর জীবন

রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে
রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক
এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না
চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

জীবন বাজি রেখে রাস্তা পার
জীবন বাজি রেখে রাস্তা পার

রকমারি নগর পরিক্রমা

কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা
কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী
অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী

নগর জীবন

দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট
দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট

রকমারি নগর পরিক্রমা

দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার
দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

অভুক্ত প্রাণীর পাশে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন
অভুক্ত প্রাণীর পাশে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন

নগর জীবন

বাদ পড়লেন শাকিব খান
বাদ পড়লেন শাকিব খান

শোবিজ

আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই
আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই

প্রথম পৃষ্ঠা

হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী
হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর

সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ
সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ

খবর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়ক সংস্কারের দাবি
মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

দেশগ্রাম

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামি দলের প্রার্থীরা
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামি দলের প্রার্থীরা

নগর জীবন