শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০ আপডেট:

বিদেশি রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
বিদেশি রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা

বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্বনেতা

পৃথিবীর ইতিহাস পরিবর্তনে যে কজন মহান নেতা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’। কিন্তু যারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে জানেন, তাদের সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর পরিচিতি একজন ‘বিশ্বনেতা’ হিসেবে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসন আর জীবনভর জাতির জন্য সংগ্রামের কারণে তিনি সারা বিশ্বে এক অনুকরণীয় নেতায় পরিণত হন। হয়তোবা তার এই সাফল্যকে মেনে নিতে পারেনি সেই পরাশক্তি, যারা বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ ত্যাগ, আপসহীন মনোভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার কারণে শত চেষ্টা করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রুখতে পারেনি। হয়তো সে কারণেই কোনো কোনো দেশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কুচক্রের নির্মম শিকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

অন্যদিকে দেখা যায়, সত্তরের দশকে দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকার সম্পর্ক ছিল বিপরীতমুখী। ফলে রাশিয়া ও ভারতের সহায়তা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম এবং বঙ্গবন্ধুর সাফল্যকে মেনে নিতে পারেনি উভয় দেশের তৎকালীন শত্রু আমেরিকা ও পাকিস্তান। ফলে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভুল প্রমাণিত করা, বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা, সর্বোপরি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। সময় এসেছে আজ সেসব দেশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানবার।

কিসিঞ্জারের কূটচাল : স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আমেরিকান রিপাবলিকান দলের তৎকালীন নেতা এবং মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হেনরি কিসিঞ্জারের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। ১৯৬৯ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ (ঢাকায় জেলখানা হত্যা দিবস) পর্যন্ত হেনরি কিসিঞ্জার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা প্রেসিডেন্ট নিক্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ছিলেন কট্টর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী। কেবল বাংলাদেশই নয়, ভিয়েতনাম, চিলি, আর্জেন্টিনা ও কিউবাসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়ন-সর্বোপরি রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের পেছনে দায় করা হয় ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ থেকে ২০ জানুয়ারি ১৯৭৭ পর্যন্ত আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (সেক্রেটারি অব স্টেট) দায়িত্বে থাকা হেনরি কিসিঞ্জারকে। মূলত নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কিসিঞ্জারের পরামর্শেই আমেরিকা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে আমেরিকান সপ্তম নৌবহর প্রেরণের নেপথ্যে কারিগরও হেনরি কিসিঞ্জিররা। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, ইন্দিরা গান্ধীকে বোকা ও ডায়নি এবং ভারতীয় জনগণকে জারজ সন্তান বলে চরম ঔদ্ধত্য ও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের পরিচয় দেন এই কূটনীতিক।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম হোতা খন্দকার মোশতাক আহামেদ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই আমেরিকা তথা কিসিঞ্জারের সঙ্গে হাত মিলান। মোশতাক মার্কিন পরামর্শে আরও কয়েকজন বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বদলে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি কনফেডারেশন তৈরি করতে। তবে জাতির জনকের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও দিক-নির্দেশনা, মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধ ও ভারত-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থনের কারণে মার্কিন সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে কিসিঞ্জার তা মেনে নেয়নি। ফলে খন্দকার মোশতাক ও বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যকে কাজে লাগিয়ে মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করে হেনরি কিসিঞ্জার। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়।

বঙ্গবন্ধু  হত্যার নেপথ্যে সিআইএর ভূমিকা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার নেপথ্যে প্রকৃত কারণ  অনুসন্ধানে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন সাংবাদিক লরেন্স লিফস্কুলজ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিশেষত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও রাজনীতির ওপর অসংখ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছেন। লরেন্সের লেখা এসব প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ হংকংভিত্তিক ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ, লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান, ভারতের দ্য ইকোনমিক ও পলিটিক্যাল উইকলি এবং নিউইয়র্কের দ্য ন্যাশন পত্রিকার মতো নামিদামি পত্রিকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখা একাধিক প্রবন্ধ এবং বহুল আলোচিত, সমালোচিত এবং বিক্রিত  বই ‘বাংলাদেশ : দ্য আনফিনিসড রেভুলুশন’ (বাংলাদেশ : অসমাপ্ত বিপ্লব) বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ঘটনার এক প্রামাণ্য দলিল। এ বইটি লেখার জন্য তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন, বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং মার্কিন সরকার ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে গোপন সংবাদ সংগ্রহের ঝুঁকি নিয়েছেন। লরেন্সের বিভিন্ন লেখায় দুটি চরিত্রের কথা বারবার উঠে এসেছে মুজিব হত্যাকে কেন্দ্র করে। প্রথম দিকের লেখায় তাদের একজনকে ১৯৭৫ সালে ঢাকা নিযুক্ত একজন উচ্চপদস্থ কূটনীতিক বলা হলে পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি হলে তৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এগোনি বুস্টার। লরেন্সের সঙ্গে বুস্টারের দীর্ঘ ৩০ বছর যোগাযোগ ছিল। অপর একজন ছিলেন সিআইএর তৎকালীন স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরি। বুস্টারের বরাতে লরেন্সের লেখা তথ্যমতে, ১৯৭৪ সাণের নভেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই তিন মাসের মধ্যে মুজিব সরকারকে উৎখাতের জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে বেশ কিছু মিটিং হয়। ঠিক এ সময়ে খোদ আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে সিআইএ কর্তৃক বিভিন্ন দেশে সরকার উৎখাত কিংবা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সংসদীয় তদন্ত এবং আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকাস্থ তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হওয়ার পক্ষে ছিলেন বলে লরেন্সের কাছে দাবি করেন। এ সময়ে সিআইএর ঢাকাস্থ স্টেশন চিফ চেরি ও তার অন্য এজেন্টরা মুজিব সরকার উৎখাতে তৎপর হয়ে ওঠে। যদিও চেরি লরেন্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য অস্বীকার করেন। তবুও স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, এ সময়ে অনেক রাজনৈতিক নেতা মার্কিন দূতাবাসে আসতেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা বা মির্টিং করতেন। এরমধ্যে দূতাবাস রাজনৈতিক কর্মকর্তা সরকারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে কোনো উপদেশ দিলেও তার সঙ্গে সরকার উৎখাত বা রাজনৈতিক হত্যার সম্পর্ক ছিল না বলে মত দেন চেরি। প্রতি উত্তরে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। যার একটি হলো-গোয়েন্দা নীতিমালা অনুসারে চেরি হয়তো সরাসরি কারও সঙ্গে এ বিষেয় কথা বলেননি। তবে যা কিছু নির্দেশনা তা এক মার্কিনি থেকে আরেক মার্কিনি হয়ে ঠিকই পৌঁছে গিয়েছিল ঘাতকদের কাছে। অন্যদিকে চিলিতে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে সিআইএ কর্তৃক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর বিষয়ে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের নির্দেশ ছিল-চিলিতে কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও যেন বিষয়টি না জানে। এভাবেই রাষ্ট্রদূত বুস্টার তার নিরপেক্ষতার বিষয়টি তুলে ধরলেও লরেন্সের কাছে তৎকালে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা স্বীকার করেন যে, রাষ্ট্রদূত বুস্টার ও সিআইএর স্টেশন চিফ চেরির মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বেশ শীতল। বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে অবশ্য এক মার্কিন সাংবাদিকের কাছে চেরি স্বীকার করেন, অভুত্থান বা হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলেও কিছু একটা যে ঘটতে যাচ্ছে, তা জানা ছিল তার।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। এই হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক তার দুই প্রিয়ভাজন আমলা ও মন্ত্রী মাহাবুব আলম চাষী ও তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য বেতার ভবনে যান। তখনই আলোচনায় উঠে আসে, ১৯৭১ সালের অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাহাবুব আলম চাষী ছিলেন মোশতাকের পররাষ্ট্র সচিব। আর তাহের উদ্দিন ঠাকুরও ছিলেন মোশতাকের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমলা। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্ব চলাকালে প্রশিক্ষণ শেষ করে সাফদার পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং পাকিস্তান সরকারের পক্ষে কাজ শুরু করেন। তার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেওয়া অপর পুলিশ অফিসার আবদুর রহিম সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতার কারণে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তা চাকরিতেও পুনর্বাসিত হন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরপরই তারা উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে মোশতাক সরকারকে সহায়তা করতে থাকেন। এভাবে দেখা যায়, এ দুইজনের বাইরেও এমন সব সরকারি সামরিক ও বেসামরিক আমলা মোশতাক সরকারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন, যারা কোনো না কোনোভাবে সিআইএ বা আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খুনি মোসলেম উদ্দিনও রয়েছে আমেরিকার মাটিতে। তাই সার্বিক বিবেচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডে সিআইএ এবং আমেরিকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল বলেই আজ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।

পাকিস্তানের প্রতি সন্দেহের তীর : মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফস্কুলজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। এ সময় তারই এক ভক্ত পূর্ব পরিচিত পাকিস্তানি সাংবাদিক এম বি নাকভী তার কাছে একটি চিঠি লিখেন। এই চিঠির বর্ণনা মতে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে রেডিও পাকিস্তানের অফিসে একটি মিটিং ডাকেন রেডিওর মহাপরিচালক ইজলাল হায়দার জায়েদি। এককালের তুখোড় এই আমলা পাকিস্তান সরকার পরিচালিত আফগান সেলের দায়িত্বে ছিলেন এবং আফগানিস্তানে পাকিস্তান ও তার মিত্রদের (যেমন আমেরিকা) স্বার্থ রক্ষার বিষয় দেখভাল করতেন। পরবর্তীতে পেশওয়ার থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গড়া আফগানিস্তান কেন্দ্রিক নীতি-নির্ধারণী সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এই জায়েদি। তার ডাকা সে দিনের মিটিংয়ে আরও উপস্থিতি ছিলেন বার্তা পরিচালক সরকার হোসেন আনসারী, রেডিওর কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের নিয়ন্ত্রক এম বি নাকভী স্বয়ং। এই মিটিংয়ে জাঁদরেল জায়েদি বারবারই বলছিলেন যে, সে দিনে সেন্ট্রাল নিউজ রুম থেকে একটি বিশেষ সংবাদ আসবে যা নিয়ে জোড়েশোরে সবাইকে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হালকা মেজাজে আলোচনা চলছিল। কিন্তু জায়েদি ছিলেন অস্থির। তিনি অন্তত তিন-চারবার আনসারিকে খোঁজ নিতে বলেন, কোনো খবর এসেছে কিনা। এরমধ্যে দুপুর ১২টার পরপরই টেলিফোন বেজে ওঠে এবং সেন্টাল নিউজ রুম থেকে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর প্রেরিত হয়। এই খবর শোনার পর জায়েদির কপাল থেকে যেন দুশ্চিন্তার ভাঁজ নেমে যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি সংবাদটি নিয়ে কাজ শুরু করতে বলেন এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর বাসভবনের দিকে ছুটতে থাকেন তাকে নিজমুখে এই সংবাদ প্রদানের জন্য। সার্বিক বিবেচনায় নাকভীর মন্তব্য পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট ঢাকায় যা কিছুই ঘটুক না কেন, ইসলামাবাদ তা আগেই জানত।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী তৎকালে ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেসের (ডিজিএফআই) ঢাকার ডিটাচমেন্টের প্রধান এবং বৃহত্তর সুন্দরবন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাত মেজর জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ। আদালতে দেওয়া তার সাক্ষ্যমতে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের সন্ধ্যায় তিনি বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির রুমে খন্দকর মোশতাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, জেনারেল সফিউল্যাহ, জেনারেল জিয়াউর রহমান, ব্রিগেডিয়া খালেদ মোশাররফ, নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম এইচ খান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার এবং ঘাতক দলের সদস্য মেজর ডালিম, মেজর শাহরিয়ার, মেজর রশীদ, মেজর ফারুক, মেজর নূর, মেজর মহিউদ্দিন, মেজর আজিজ পাশা প্রমুখ আলোচনারত ছিলেন।

ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা- নিয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ এবং ‘ইন্ডিয়া, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যান্ড পাকিস্তান (এ পলিটিক্যাল ট্রিটিজ) শিরোনামে একটি বই লিখেন, তার রচনায় স্পষ্টতই উঠে আসে যে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তি। বাংলাদেশের মাটিতে প্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী বলে অহংকার করা পাকিস্তানি বাহিনীর ন্যক্কারজনক পরাজয় ও অসহায় আত্মসমপর্ণ কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা। তাই পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থাকে (আইএসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে রিচতরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ সেই নকশার বাস্তবায়ন দেখেছে সারা বিশ্ব।

বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানত ভারত : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (‘র’) বিভিন্ন কার্যক্রমের খন্ডচিত্র ফুটে উঠেছে  ‘ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিভিউ’ পত্রিকার ০১ মে ২০১৬ সালের সংখ্যায় বি জেড খসরুর লেখা একটি প্রবন্ধে। এই প্রবন্ধ মতে, স্বাধীনতার কিছু দিন পর বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারত বাংলাদেশের মাটি থেকে ‘র’ এর সব গোয়েন্দাকে প্রত্যাহার করে নেয়। তাই বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার বিষয়টি অজানা থাকলেও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা, খাদ্যাভাব ও দুর্নীতির কারণে মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, যা ১৯৭৪ সালের শেষ ভাগেই টের পায় ভারত। ১৯৮১ সালের ১২ জুলাই ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমসের শিরোনামে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের আগে ‘র’-এর দেওয়া সতর্কবাণী উপেক্ষা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। পত্রিকার দাবি এই হত্যাকান্ডের সাত মাস আগেই ‘র’-এর শীর্ষ স্থানীয় এক কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে সতর্ক করেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুমোদন নিয়ে শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা রামেশ্বর নাথ কাও ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানান। প্রতি উত্তরে এই মহান নেতা বলেন, ‘ওরা আমার সন্তান। ওরা আমার কোনো ক্ষতি করবে না।’ ভারতের ভিকাস পাবলিশার্স কর্তৃক প্রকাশিত অশোকা রাইনার লেখা ‘ইন সাইড র : দ্য স্টোরি অব ইন্ডিয়ান’স সিক্রেট সার্ভিস গ্রন্থেও ‘র’ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করার তথ্য পাওয়া যায়। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে ‘র’-এর আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে তাকে আবারও সতর্ক করেন। কিন্তু তখনো বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতে পারেননি যাদের তিনি সন্তানের মতো ভালোবাসেন যাদের জন্য তিনি জীবনের সব সুখ-আনন্দ, সহায়-সম্পদ ব্যয় করেছেন, তারা কোনো দিন, তার বিপক্ষে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
এনসিপিসহ দুই দলকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন
এনসিপিসহ দুই দলকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মুশফিকের ১০০তম টেস্ট আজ
মুশফিকের ১০০তম টেস্ট আজ
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের বৈঠক
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের বৈঠক
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
সর্বশেষ খবর
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

এই মাত্র | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ
এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!
মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা
বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন
ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন

নগর জীবন

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

হিতে বিপরীত
হিতে বিপরীত

রকমারি রম্য

জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি
জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

ইচ্ছা হলে হাসুন
ইচ্ছা হলে হাসুন

রকমারি রম্য

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

গরম খাবার
গরম খাবার

রকমারি রম্য

মূল্যবৃদ্ধি
মূল্যবৃদ্ধি

রকমারি রম্য

ভিসেরা প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘসূত্রতায় রমেক
ভিসেরা প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘসূত্রতায় রমেক

নগর জীবন

রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড
রাজধানীতে ১০ মাসে ১৯৮ হত্যাকাণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়
কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

নগর জীবন

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল
৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

নগর জীবন