শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০ আপডেট:

বিদেশি রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
বিদেশি রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা

বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্বনেতা

পৃথিবীর ইতিহাস পরিবর্তনে যে কজন মহান নেতা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’। কিন্তু যারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে জানেন, তাদের সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর পরিচিতি একজন ‘বিশ্বনেতা’ হিসেবে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসন আর জীবনভর জাতির জন্য সংগ্রামের কারণে তিনি সারা বিশ্বে এক অনুকরণীয় নেতায় পরিণত হন। হয়তোবা তার এই সাফল্যকে মেনে নিতে পারেনি সেই পরাশক্তি, যারা বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ ত্যাগ, আপসহীন মনোভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার কারণে শত চেষ্টা করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রুখতে পারেনি। হয়তো সে কারণেই কোনো কোনো দেশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কুচক্রের নির্মম শিকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

অন্যদিকে দেখা যায়, সত্তরের দশকে দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকার সম্পর্ক ছিল বিপরীতমুখী। ফলে রাশিয়া ও ভারতের সহায়তা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম এবং বঙ্গবন্ধুর সাফল্যকে মেনে নিতে পারেনি উভয় দেশের তৎকালীন শত্রু আমেরিকা ও পাকিস্তান। ফলে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভুল প্রমাণিত করা, বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা, সর্বোপরি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। সময় এসেছে আজ সেসব দেশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানবার।

কিসিঞ্জারের কূটচাল : স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আমেরিকান রিপাবলিকান দলের তৎকালীন নেতা এবং মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হেনরি কিসিঞ্জারের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। ১৯৬৯ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ (ঢাকায় জেলখানা হত্যা দিবস) পর্যন্ত হেনরি কিসিঞ্জার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা প্রেসিডেন্ট নিক্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ছিলেন কট্টর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী। কেবল বাংলাদেশই নয়, ভিয়েতনাম, চিলি, আর্জেন্টিনা ও কিউবাসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়ন-সর্বোপরি রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের পেছনে দায় করা হয় ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ থেকে ২০ জানুয়ারি ১৯৭৭ পর্যন্ত আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (সেক্রেটারি অব স্টেট) দায়িত্বে থাকা হেনরি কিসিঞ্জারকে। মূলত নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কিসিঞ্জারের পরামর্শেই আমেরিকা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে আমেরিকান সপ্তম নৌবহর প্রেরণের নেপথ্যে কারিগরও হেনরি কিসিঞ্জিররা। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, ইন্দিরা গান্ধীকে বোকা ও ডায়নি এবং ভারতীয় জনগণকে জারজ সন্তান বলে চরম ঔদ্ধত্য ও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের পরিচয় দেন এই কূটনীতিক।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম হোতা খন্দকার মোশতাক আহামেদ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই আমেরিকা তথা কিসিঞ্জারের সঙ্গে হাত মিলান। মোশতাক মার্কিন পরামর্শে আরও কয়েকজন বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বদলে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি কনফেডারেশন তৈরি করতে। তবে জাতির জনকের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও দিক-নির্দেশনা, মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধ ও ভারত-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থনের কারণে মার্কিন সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে কিসিঞ্জার তা মেনে নেয়নি। ফলে খন্দকার মোশতাক ও বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যকে কাজে লাগিয়ে মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করে হেনরি কিসিঞ্জার। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়।

বঙ্গবন্ধু  হত্যার নেপথ্যে সিআইএর ভূমিকা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার নেপথ্যে প্রকৃত কারণ  অনুসন্ধানে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন সাংবাদিক লরেন্স লিফস্কুলজ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিশেষত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও রাজনীতির ওপর অসংখ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছেন। লরেন্সের লেখা এসব প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ হংকংভিত্তিক ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ, লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান, ভারতের দ্য ইকোনমিক ও পলিটিক্যাল উইকলি এবং নিউইয়র্কের দ্য ন্যাশন পত্রিকার মতো নামিদামি পত্রিকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখা একাধিক প্রবন্ধ এবং বহুল আলোচিত, সমালোচিত এবং বিক্রিত  বই ‘বাংলাদেশ : দ্য আনফিনিসড রেভুলুশন’ (বাংলাদেশ : অসমাপ্ত বিপ্লব) বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ঘটনার এক প্রামাণ্য দলিল। এ বইটি লেখার জন্য তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন, বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং মার্কিন সরকার ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে গোপন সংবাদ সংগ্রহের ঝুঁকি নিয়েছেন। লরেন্সের বিভিন্ন লেখায় দুটি চরিত্রের কথা বারবার উঠে এসেছে মুজিব হত্যাকে কেন্দ্র করে। প্রথম দিকের লেখায় তাদের একজনকে ১৯৭৫ সালে ঢাকা নিযুক্ত একজন উচ্চপদস্থ কূটনীতিক বলা হলে পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি হলে তৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এগোনি বুস্টার। লরেন্সের সঙ্গে বুস্টারের দীর্ঘ ৩০ বছর যোগাযোগ ছিল। অপর একজন ছিলেন সিআইএর তৎকালীন স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরি। বুস্টারের বরাতে লরেন্সের লেখা তথ্যমতে, ১৯৭৪ সাণের নভেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই তিন মাসের মধ্যে মুজিব সরকারকে উৎখাতের জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে বেশ কিছু মিটিং হয়। ঠিক এ সময়ে খোদ আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে সিআইএ কর্তৃক বিভিন্ন দেশে সরকার উৎখাত কিংবা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সংসদীয় তদন্ত এবং আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকাস্থ তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হওয়ার পক্ষে ছিলেন বলে লরেন্সের কাছে দাবি করেন। এ সময়ে সিআইএর ঢাকাস্থ স্টেশন চিফ চেরি ও তার অন্য এজেন্টরা মুজিব সরকার উৎখাতে তৎপর হয়ে ওঠে। যদিও চেরি লরেন্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য অস্বীকার করেন। তবুও স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, এ সময়ে অনেক রাজনৈতিক নেতা মার্কিন দূতাবাসে আসতেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা বা মির্টিং করতেন। এরমধ্যে দূতাবাস রাজনৈতিক কর্মকর্তা সরকারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে কোনো উপদেশ দিলেও তার সঙ্গে সরকার উৎখাত বা রাজনৈতিক হত্যার সম্পর্ক ছিল না বলে মত দেন চেরি। প্রতি উত্তরে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। যার একটি হলো-গোয়েন্দা নীতিমালা অনুসারে চেরি হয়তো সরাসরি কারও সঙ্গে এ বিষেয় কথা বলেননি। তবে যা কিছু নির্দেশনা তা এক মার্কিনি থেকে আরেক মার্কিনি হয়ে ঠিকই পৌঁছে গিয়েছিল ঘাতকদের কাছে। অন্যদিকে চিলিতে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে সিআইএ কর্তৃক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর বিষয়ে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের নির্দেশ ছিল-চিলিতে কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও যেন বিষয়টি না জানে। এভাবেই রাষ্ট্রদূত বুস্টার তার নিরপেক্ষতার বিষয়টি তুলে ধরলেও লরেন্সের কাছে তৎকালে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা স্বীকার করেন যে, রাষ্ট্রদূত বুস্টার ও সিআইএর স্টেশন চিফ চেরির মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বেশ শীতল। বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে অবশ্য এক মার্কিন সাংবাদিকের কাছে চেরি স্বীকার করেন, অভুত্থান বা হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলেও কিছু একটা যে ঘটতে যাচ্ছে, তা জানা ছিল তার।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। এই হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক তার দুই প্রিয়ভাজন আমলা ও মন্ত্রী মাহাবুব আলম চাষী ও তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য বেতার ভবনে যান। তখনই আলোচনায় উঠে আসে, ১৯৭১ সালের অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাহাবুব আলম চাষী ছিলেন মোশতাকের পররাষ্ট্র সচিব। আর তাহের উদ্দিন ঠাকুরও ছিলেন মোশতাকের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমলা। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্ব চলাকালে প্রশিক্ষণ শেষ করে সাফদার পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং পাকিস্তান সরকারের পক্ষে কাজ শুরু করেন। তার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেওয়া অপর পুলিশ অফিসার আবদুর রহিম সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতার কারণে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তা চাকরিতেও পুনর্বাসিত হন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরপরই তারা উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে মোশতাক সরকারকে সহায়তা করতে থাকেন। এভাবে দেখা যায়, এ দুইজনের বাইরেও এমন সব সরকারি সামরিক ও বেসামরিক আমলা মোশতাক সরকারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন, যারা কোনো না কোনোভাবে সিআইএ বা আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খুনি মোসলেম উদ্দিনও রয়েছে আমেরিকার মাটিতে। তাই সার্বিক বিবেচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডে সিআইএ এবং আমেরিকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল বলেই আজ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।

পাকিস্তানের প্রতি সন্দেহের তীর : মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফস্কুলজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। এ সময় তারই এক ভক্ত পূর্ব পরিচিত পাকিস্তানি সাংবাদিক এম বি নাকভী তার কাছে একটি চিঠি লিখেন। এই চিঠির বর্ণনা মতে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে রেডিও পাকিস্তানের অফিসে একটি মিটিং ডাকেন রেডিওর মহাপরিচালক ইজলাল হায়দার জায়েদি। এককালের তুখোড় এই আমলা পাকিস্তান সরকার পরিচালিত আফগান সেলের দায়িত্বে ছিলেন এবং আফগানিস্তানে পাকিস্তান ও তার মিত্রদের (যেমন আমেরিকা) স্বার্থ রক্ষার বিষয় দেখভাল করতেন। পরবর্তীতে পেশওয়ার থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গড়া আফগানিস্তান কেন্দ্রিক নীতি-নির্ধারণী সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এই জায়েদি। তার ডাকা সে দিনের মিটিংয়ে আরও উপস্থিতি ছিলেন বার্তা পরিচালক সরকার হোসেন আনসারী, রেডিওর কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের নিয়ন্ত্রক এম বি নাকভী স্বয়ং। এই মিটিংয়ে জাঁদরেল জায়েদি বারবারই বলছিলেন যে, সে দিনে সেন্ট্রাল নিউজ রুম থেকে একটি বিশেষ সংবাদ আসবে যা নিয়ে জোড়েশোরে সবাইকে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হালকা মেজাজে আলোচনা চলছিল। কিন্তু জায়েদি ছিলেন অস্থির। তিনি অন্তত তিন-চারবার আনসারিকে খোঁজ নিতে বলেন, কোনো খবর এসেছে কিনা। এরমধ্যে দুপুর ১২টার পরপরই টেলিফোন বেজে ওঠে এবং সেন্টাল নিউজ রুম থেকে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর প্রেরিত হয়। এই খবর শোনার পর জায়েদির কপাল থেকে যেন দুশ্চিন্তার ভাঁজ নেমে যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি সংবাদটি নিয়ে কাজ শুরু করতে বলেন এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর বাসভবনের দিকে ছুটতে থাকেন তাকে নিজমুখে এই সংবাদ প্রদানের জন্য। সার্বিক বিবেচনায় নাকভীর মন্তব্য পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট ঢাকায় যা কিছুই ঘটুক না কেন, ইসলামাবাদ তা আগেই জানত।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী তৎকালে ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেসের (ডিজিএফআই) ঢাকার ডিটাচমেন্টের প্রধান এবং বৃহত্তর সুন্দরবন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাত মেজর জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ। আদালতে দেওয়া তার সাক্ষ্যমতে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের সন্ধ্যায় তিনি বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির রুমে খন্দকর মোশতাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, জেনারেল সফিউল্যাহ, জেনারেল জিয়াউর রহমান, ব্রিগেডিয়া খালেদ মোশাররফ, নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম এইচ খান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার এবং ঘাতক দলের সদস্য মেজর ডালিম, মেজর শাহরিয়ার, মেজর রশীদ, মেজর ফারুক, মেজর নূর, মেজর মহিউদ্দিন, মেজর আজিজ পাশা প্রমুখ আলোচনারত ছিলেন।

ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা- নিয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ এবং ‘ইন্ডিয়া, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যান্ড পাকিস্তান (এ পলিটিক্যাল ট্রিটিজ) শিরোনামে একটি বই লিখেন, তার রচনায় স্পষ্টতই উঠে আসে যে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তি। বাংলাদেশের মাটিতে প্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী বলে অহংকার করা পাকিস্তানি বাহিনীর ন্যক্কারজনক পরাজয় ও অসহায় আত্মসমপর্ণ কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা। তাই পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থাকে (আইএসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে রিচতরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ সেই নকশার বাস্তবায়ন দেখেছে সারা বিশ্ব।

বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানত ভারত : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (‘র’) বিভিন্ন কার্যক্রমের খন্ডচিত্র ফুটে উঠেছে  ‘ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিভিউ’ পত্রিকার ০১ মে ২০১৬ সালের সংখ্যায় বি জেড খসরুর লেখা একটি প্রবন্ধে। এই প্রবন্ধ মতে, স্বাধীনতার কিছু দিন পর বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারত বাংলাদেশের মাটি থেকে ‘র’ এর সব গোয়েন্দাকে প্রত্যাহার করে নেয়। তাই বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার বিষয়টি অজানা থাকলেও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা, খাদ্যাভাব ও দুর্নীতির কারণে মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, যা ১৯৭৪ সালের শেষ ভাগেই টের পায় ভারত। ১৯৮১ সালের ১২ জুলাই ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমসের শিরোনামে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের আগে ‘র’-এর দেওয়া সতর্কবাণী উপেক্ষা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। পত্রিকার দাবি এই হত্যাকান্ডের সাত মাস আগেই ‘র’-এর শীর্ষ স্থানীয় এক কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে সতর্ক করেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুমোদন নিয়ে শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা রামেশ্বর নাথ কাও ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানান। প্রতি উত্তরে এই মহান নেতা বলেন, ‘ওরা আমার সন্তান। ওরা আমার কোনো ক্ষতি করবে না।’ ভারতের ভিকাস পাবলিশার্স কর্তৃক প্রকাশিত অশোকা রাইনার লেখা ‘ইন সাইড র : দ্য স্টোরি অব ইন্ডিয়ান’স সিক্রেট সার্ভিস গ্রন্থেও ‘র’ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করার তথ্য পাওয়া যায়। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে ‘র’-এর আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে তাকে আবারও সতর্ক করেন। কিন্তু তখনো বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতে পারেননি যাদের তিনি সন্তানের মতো ভালোবাসেন যাদের জন্য তিনি জীবনের সব সুখ-আনন্দ, সহায়-সম্পদ ব্যয় করেছেন, তারা কোনো দিন, তার বিপক্ষে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর
ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা
পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই
পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা
সর্বশেষ খবর
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৪৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

৫৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

৫৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা