শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০ আপডেট:

বিদেশি রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
বিদেশি রাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা

বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্বনেতা

পৃথিবীর ইতিহাস পরিবর্তনে যে কজন মহান নেতা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ‘বঙ্গবন্ধু’। কিন্তু যারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে জানেন, তাদের সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর পরিচিতি একজন ‘বিশ্বনেতা’ হিসেবে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসন আর জীবনভর জাতির জন্য সংগ্রামের কারণে তিনি সারা বিশ্বে এক অনুকরণীয় নেতায় পরিণত হন। হয়তোবা তার এই সাফল্যকে মেনে নিতে পারেনি সেই পরাশক্তি, যারা বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ ত্যাগ, আপসহীন মনোভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনার কারণে শত চেষ্টা করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রুখতে পারেনি। হয়তো সে কারণেই কোনো কোনো দেশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কুচক্রের নির্মম শিকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

অন্যদিকে দেখা যায়, সত্তরের দশকে দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকার সম্পর্ক ছিল বিপরীতমুখী। ফলে রাশিয়া ও ভারতের সহায়তা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম এবং বঙ্গবন্ধুর সাফল্যকে মেনে নিতে পারেনি উভয় দেশের তৎকালীন শত্রু আমেরিকা ও পাকিস্তান। ফলে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভুল প্রমাণিত করা, বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা, সর্বোপরি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। সময় এসেছে আজ সেসব দেশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানবার।

কিসিঞ্জারের কূটচাল : স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আমেরিকান রিপাবলিকান দলের তৎকালীন নেতা এবং মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হেনরি কিসিঞ্জারের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। ১৯৬৯ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ (ঢাকায় জেলখানা হত্যা দিবস) পর্যন্ত হেনরি কিসিঞ্জার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা প্রেসিডেন্ট নিক্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ছিলেন কট্টর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী। কেবল বাংলাদেশই নয়, ভিয়েতনাম, চিলি, আর্জেন্টিনা ও কিউবাসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়ন-সর্বোপরি রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের পেছনে দায় করা হয় ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ থেকে ২০ জানুয়ারি ১৯৭৭ পর্যন্ত আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর (সেক্রেটারি অব স্টেট) দায়িত্বে থাকা হেনরি কিসিঞ্জারকে। মূলত নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কিসিঞ্জারের পরামর্শেই আমেরিকা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে আমেরিকান সপ্তম নৌবহর প্রেরণের নেপথ্যে কারিগরও হেনরি কিসিঞ্জিররা। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, ইন্দিরা গান্ধীকে বোকা ও ডায়নি এবং ভারতীয় জনগণকে জারজ সন্তান বলে চরম ঔদ্ধত্য ও সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের পরিচয় দেন এই কূটনীতিক।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম হোতা খন্দকার মোশতাক আহামেদ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই আমেরিকা তথা কিসিঞ্জারের সঙ্গে হাত মিলান। মোশতাক মার্কিন পরামর্শে আরও কয়েকজন বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বদলে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি কনফেডারেশন তৈরি করতে। তবে জাতির জনকের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও দিক-নির্দেশনা, মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধ ও ভারত-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থনের কারণে মার্কিন সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে কিসিঞ্জার তা মেনে নেয়নি। ফলে খন্দকার মোশতাক ও বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যকে কাজে লাগিয়ে মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করে হেনরি কিসিঞ্জার। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়।

বঙ্গবন্ধু  হত্যার নেপথ্যে সিআইএর ভূমিকা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার নেপথ্যে প্রকৃত কারণ  অনুসন্ধানে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন সাংবাদিক লরেন্স লিফস্কুলজ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিশেষত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও রাজনীতির ওপর অসংখ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছেন। লরেন্সের লেখা এসব প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ হংকংভিত্তিক ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ, লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান, ভারতের দ্য ইকোনমিক ও পলিটিক্যাল উইকলি এবং নিউইয়র্কের দ্য ন্যাশন পত্রিকার মতো নামিদামি পত্রিকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখা একাধিক প্রবন্ধ এবং বহুল আলোচিত, সমালোচিত এবং বিক্রিত  বই ‘বাংলাদেশ : দ্য আনফিনিসড রেভুলুশন’ (বাংলাদেশ : অসমাপ্ত বিপ্লব) বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ঘটনার এক প্রামাণ্য দলিল। এ বইটি লেখার জন্য তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন, বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং মার্কিন সরকার ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে গোপন সংবাদ সংগ্রহের ঝুঁকি নিয়েছেন। লরেন্সের বিভিন্ন লেখায় দুটি চরিত্রের কথা বারবার উঠে এসেছে মুজিব হত্যাকে কেন্দ্র করে। প্রথম দিকের লেখায় তাদের একজনকে ১৯৭৫ সালে ঢাকা নিযুক্ত একজন উচ্চপদস্থ কূটনীতিক বলা হলে পরবর্তীতে জানা যায়, তিনি হলে তৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এগোনি বুস্টার। লরেন্সের সঙ্গে বুস্টারের দীর্ঘ ৩০ বছর যোগাযোগ ছিল। অপর একজন ছিলেন সিআইএর তৎকালীন স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরি। বুস্টারের বরাতে লরেন্সের লেখা তথ্যমতে, ১৯৭৪ সাণের নভেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই তিন মাসের মধ্যে মুজিব সরকারকে উৎখাতের জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে বেশ কিছু মিটিং হয়। ঠিক এ সময়ে খোদ আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে সিআইএ কর্তৃক বিভিন্ন দেশে সরকার উৎখাত কিংবা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বা সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সংসদীয় তদন্ত এবং আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকাস্থ তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হওয়ার পক্ষে ছিলেন বলে লরেন্সের কাছে দাবি করেন। এ সময়ে সিআইএর ঢাকাস্থ স্টেশন চিফ চেরি ও তার অন্য এজেন্টরা মুজিব সরকার উৎখাতে তৎপর হয়ে ওঠে। যদিও চেরি লরেন্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য অস্বীকার করেন। তবুও স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, এ সময়ে অনেক রাজনৈতিক নেতা মার্কিন দূতাবাসে আসতেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা বা মির্টিং করতেন। এরমধ্যে দূতাবাস রাজনৈতিক কর্মকর্তা সরকারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে কোনো উপদেশ দিলেও তার সঙ্গে সরকার উৎখাত বা রাজনৈতিক হত্যার সম্পর্ক ছিল না বলে মত দেন চেরি। প্রতি উত্তরে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। যার একটি হলো-গোয়েন্দা নীতিমালা অনুসারে চেরি হয়তো সরাসরি কারও সঙ্গে এ বিষেয় কথা বলেননি। তবে যা কিছু নির্দেশনা তা এক মার্কিনি থেকে আরেক মার্কিনি হয়ে ঠিকই পৌঁছে গিয়েছিল ঘাতকদের কাছে। অন্যদিকে চিলিতে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে সিআইএ কর্তৃক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর বিষয়ে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের নির্দেশ ছিল-চিলিতে কর্মরত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও যেন বিষয়টি না জানে। এভাবেই রাষ্ট্রদূত বুস্টার তার নিরপেক্ষতার বিষয়টি তুলে ধরলেও লরেন্সের কাছে তৎকালে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা স্বীকার করেন যে, রাষ্ট্রদূত বুস্টার ও সিআইএর স্টেশন চিফ চেরির মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বেশ শীতল। বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে অবশ্য এক মার্কিন সাংবাদিকের কাছে চেরি স্বীকার করেন, অভুত্থান বা হত্যাকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত না জানলেও কিছু একটা যে ঘটতে যাচ্ছে, তা জানা ছিল তার।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। এই হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক তার দুই প্রিয়ভাজন আমলা ও মন্ত্রী মাহাবুব আলম চাষী ও তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য বেতার ভবনে যান। তখনই আলোচনায় উঠে আসে, ১৯৭১ সালের অস্থায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাহাবুব আলম চাষী ছিলেন মোশতাকের পররাষ্ট্র সচিব। আর তাহের উদ্দিন ঠাকুরও ছিলেন মোশতাকের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমলা। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্ব চলাকালে প্রশিক্ষণ শেষ করে সাফদার পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং পাকিস্তান সরকারের পক্ষে কাজ শুরু করেন। তার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেওয়া অপর পুলিশ অফিসার আবদুর রহিম সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত হন। বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতার কারণে এ দুই পুলিশ কর্মকর্তা চাকরিতেও পুনর্বাসিত হন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরপরই তারা উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে মোশতাক সরকারকে সহায়তা করতে থাকেন। এভাবে দেখা যায়, এ দুইজনের বাইরেও এমন সব সরকারি সামরিক ও বেসামরিক আমলা মোশতাক সরকারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন, যারা কোনো না কোনোভাবে সিআইএ বা আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খুনি মোসলেম উদ্দিনও রয়েছে আমেরিকার মাটিতে। তাই সার্বিক বিবেচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডে সিআইএ এবং আমেরিকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল বলেই আজ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।

পাকিস্তানের প্রতি সন্দেহের তীর : মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফস্কুলজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। এ সময় তারই এক ভক্ত পূর্ব পরিচিত পাকিস্তানি সাংবাদিক এম বি নাকভী তার কাছে একটি চিঠি লিখেন। এই চিঠির বর্ণনা মতে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে রেডিও পাকিস্তানের অফিসে একটি মিটিং ডাকেন রেডিওর মহাপরিচালক ইজলাল হায়দার জায়েদি। এককালের তুখোড় এই আমলা পাকিস্তান সরকার পরিচালিত আফগান সেলের দায়িত্বে ছিলেন এবং আফগানিস্তানে পাকিস্তান ও তার মিত্রদের (যেমন আমেরিকা) স্বার্থ রক্ষার বিষয় দেখভাল করতেন। পরবর্তীতে পেশওয়ার থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গড়া আফগানিস্তান কেন্দ্রিক নীতি-নির্ধারণী সেলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এই জায়েদি। তার ডাকা সে দিনের মিটিংয়ে আরও উপস্থিতি ছিলেন বার্তা পরিচালক সরকার হোসেন আনসারী, রেডিওর কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের নিয়ন্ত্রক এম বি নাকভী স্বয়ং। এই মিটিংয়ে জাঁদরেল জায়েদি বারবারই বলছিলেন যে, সে দিনে সেন্ট্রাল নিউজ রুম থেকে একটি বিশেষ সংবাদ আসবে যা নিয়ে জোড়েশোরে সবাইকে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হালকা মেজাজে আলোচনা চলছিল। কিন্তু জায়েদি ছিলেন অস্থির। তিনি অন্তত তিন-চারবার আনসারিকে খোঁজ নিতে বলেন, কোনো খবর এসেছে কিনা। এরমধ্যে দুপুর ১২টার পরপরই টেলিফোন বেজে ওঠে এবং সেন্টাল নিউজ রুম থেকে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর প্রেরিত হয়। এই খবর শোনার পর জায়েদির কপাল থেকে যেন দুশ্চিন্তার ভাঁজ নেমে যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি সংবাদটি নিয়ে কাজ শুরু করতে বলেন এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর বাসভবনের দিকে ছুটতে থাকেন তাকে নিজমুখে এই সংবাদ প্রদানের জন্য। সার্বিক বিবেচনায় নাকভীর মন্তব্য পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট ঢাকায় যা কিছুই ঘটুক না কেন, ইসলামাবাদ তা আগেই জানত।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী তৎকালে ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেসের (ডিজিএফআই) ঢাকার ডিটাচমেন্টের প্রধান এবং বৃহত্তর সুন্দরবন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাত মেজর জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ। আদালতে দেওয়া তার সাক্ষ্যমতে, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের সন্ধ্যায় তিনি বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির রুমে খন্দকর মোশতাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, জেনারেল সফিউল্যাহ, জেনারেল জিয়াউর রহমান, ব্রিগেডিয়া খালেদ মোশাররফ, নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম এইচ খান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার এবং ঘাতক দলের সদস্য মেজর ডালিম, মেজর শাহরিয়ার, মেজর রশীদ, মেজর ফারুক, মেজর নূর, মেজর মহিউদ্দিন, মেজর আজিজ পাশা প্রমুখ আলোচনারত ছিলেন।

ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা- নিয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ এবং ‘ইন্ডিয়া, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যান্ড পাকিস্তান (এ পলিটিক্যাল ট্রিটিজ) শিরোনামে একটি বই লিখেন, তার রচনায় স্পষ্টতই উঠে আসে যে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তি। বাংলাদেশের মাটিতে প্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী বলে অহংকার করা পাকিস্তানি বাহিনীর ন্যক্কারজনক পরাজয় ও অসহায় আত্মসমপর্ণ কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা। তাই পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থাকে (আইএসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে রিচতরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ সেই নকশার বাস্তবায়ন দেখেছে সারা বিশ্ব।

বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানত ভারত : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (‘র’) বিভিন্ন কার্যক্রমের খন্ডচিত্র ফুটে উঠেছে  ‘ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিভিউ’ পত্রিকার ০১ মে ২০১৬ সালের সংখ্যায় বি জেড খসরুর লেখা একটি প্রবন্ধে। এই প্রবন্ধ মতে, স্বাধীনতার কিছু দিন পর বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারত বাংলাদেশের মাটি থেকে ‘র’ এর সব গোয়েন্দাকে প্রত্যাহার করে নেয়। তাই বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার বিষয়টি অজানা থাকলেও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা, খাদ্যাভাব ও দুর্নীতির কারণে মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, যা ১৯৭৪ সালের শেষ ভাগেই টের পায় ভারত। ১৯৮১ সালের ১২ জুলাই ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমসের শিরোনামে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের আগে ‘র’-এর দেওয়া সতর্কবাণী উপেক্ষা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। পত্রিকার দাবি এই হত্যাকান্ডের সাত মাস আগেই ‘র’-এর শীর্ষ স্থানীয় এক কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে সতর্ক করেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুমোদন নিয়ে শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা রামেশ্বর নাথ কাও ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানান। প্রতি উত্তরে এই মহান নেতা বলেন, ‘ওরা আমার সন্তান। ওরা আমার কোনো ক্ষতি করবে না।’ ভারতের ভিকাস পাবলিশার্স কর্তৃক প্রকাশিত অশোকা রাইনার লেখা ‘ইন সাইড র : দ্য স্টোরি অব ইন্ডিয়ান’স সিক্রেট সার্ভিস গ্রন্থেও ‘র’ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করার তথ্য পাওয়া যায়। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে ‘র’-এর আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে তাকে আবারও সতর্ক করেন। কিন্তু তখনো বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতে পারেননি যাদের তিনি সন্তানের মতো ভালোবাসেন যাদের জন্য তিনি জীবনের সব সুখ-আনন্দ, সহায়-সম্পদ ব্যয় করেছেন, তারা কোনো দিন, তার বিপক্ষে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছর জেল
রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছর জেল
বাংলাদেশে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না
ব্যাংক লুটের টাকায় নাশকতা
ব্যাংক লুটের টাকায় নাশকতা
আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ রাখবে ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ রাখবে ভারত
আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে
আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
সর্বশেষ খবর
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

৩২ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

৫২ মিনিট আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক
সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা
কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল
সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ
আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি
রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে
রাশিয়ার বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'
'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামায়াত পিআর চায় আর বিএনপি ফেয়ার ইলেকশন: মোশারফ হোসেন
জামায়াত পিআর চায় আর বিএনপি ফেয়ার ইলেকশন: মোশারফ হোসেন

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১
চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন কাল
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

প্রাঙ্গণেমোরের শেষের কবিতা
প্রাঙ্গণেমোরের শেষের কবিতা

শোবিজ

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ
মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

শিল্প বাণিজ্য

করপোরেট কর্নার
করপোরেট কর্নার

অর্থ-বাজার-বাণিজ্য

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স

পূর্ব-পশ্চিম

মাদুরোর সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত ট্রাম্পের
মাদুরোর সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত ট্রাম্পের

পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন

পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় সেনাপ্রধানের
পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতীয় সেনাপ্রধানের

পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং
ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং

পূর্ব-পশ্চিম

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয় : বিএনপি
অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয় : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত
আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন

সম্পাদকীয়

বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর

সম্পাদকীয়

ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়

সম্পাদকীয়

রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রথম পৃষ্ঠা

তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন

সম্পাদকীয়