শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি দিল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার ও পরদিন রবিবার দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং রবিবার সারা দেশে জেলা সদরে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। আজ বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, রাজধানীতে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ন্যক্কারজনক। এ ধরনের ঘটনা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। একটি টিভি চ্যানেলেও খবর প্রকাশ হয়েছে, সরকারি দলের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বলেছে, তাকে টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে। যে উপনির্বাচনটা হলো, এটাকে নির্বাচন বলা যাবে না। এটা একটা পাতানো ও জালিয়াতির নির্বাচন হয়েছে। জনগণের দৃষ্টিকে দূরে রাখার জন্য এই বাস পোড়ানোর ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। এটা সরকারেরই একটা পরিকল্পনা। নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করা এবং দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার নমুনা দেখতে পাচ্ছি। ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীরের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী নিজে এবং তার প্রধান এজেন্ট আবদুস সালাম গেছেন, সেখানে তারা দেখেছেন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল না। ভোটারদের বের করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে। আমাদের প্রার্থীদের সেন্টারে ঢুকতে  দেওয়া হয়নি। এটা আমরা মিডিয়াতে দেখেছি। এটা  কোনো নির্বাচন হয়নি, এটা একটা তামাশার নির্বাচন হয়েছে। সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী  সেলিম রেজার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির ভোটার কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন, তাকে প্রথম ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে বলা হয়েছে, তারপর বলা হয়েছে আপনি চলে যান। অর্থাৎ বাটন চাপ দেবে নৌকা প্রতীকে। সেই ভোট চলে যাবে নৌকায়। এভাবে তারা ভোট ডাকাতি ও ছিনতাই করেছে। এটা এবার নতুন স্টাইল চালু করেছে। এসব নির্বাচন থেকে আবারও প্রমাণিত হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। ওই রকম সরকার ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর