বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ফেসবুক-টুইটার সব দেশে বন্ধ করা উচিত

প্রতিদিন ডেস্ক

ফেসবুক-টুইটার সব দেশে বন্ধ করা উচিত

ফেসবুক ও টুইটার কর্তৃপক্ষ থেকে নিজেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার পাল্টা আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সব দেশের উচিত টুইটার ও ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া। সূত্র : এএফপি। গত মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প টুইটার ও ফেসবুক বন্ধ করে দিতে বিভিন্ন দেশের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন। খবরে বলা হয়, এরই মধ্যে নাইজেরিয়া সরকার টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে। দেশটির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর উচিত নাইজেরিয়াকে অনুসরণ করা। নাইজেরিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, দেশটির  প্রেসিডেন্টের টুইট মুছে দেওয়ার পর তারা সে দেশে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটিকে নিষিদ্ধ করেছে। অন্য সব দেশেরও উচিত টুইটারের পাশাপাশি ফেসবুককে নিষিদ্ধ করা। উল্লেখ্য, এক সময় ফেসবুক-টুইটারে ঘন ঘন পোস্ট দিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতেন ট্রাম্প। গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের উসকানিতে ক্যাপিটল হিলে হামলার অভিযোগ ওঠে। রক্তক্ষয়ী এই হামলার জেরে সামাজিক যোগাযোগের প্রধান প্রধান মাধ্যমে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হয়। টুইটারে ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফেসবুকে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হয়ে ট্রাম্প বেশ ক্ষুব্ধ। কারণ তিনি আগের মতো আর তার ভক্ত-অনুরাগী-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেন না। ফলে তাকে নানা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এখন বিবৃতি দেওয়ার ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার ট্রাম্প তার বিবৃতিতে বলেন, এসব মাধ্যমে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সামাজিক মাধ্যমে সব ধরনের বক্তব্য প্রকাশের অবাধ সুযোগ থাকার পক্ষে মতপ্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, এসব মাধ্যম আপাতত বন্ধ রাখলে অন্যরা এগিয়ে আসবে। নতুন সব যোগাযোগের মাধ্যম প্রতিযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে পারবে। ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, এসব প্রযুক্তি কোম্পানি নিজেরাই অশুভ কাজে লিপ্ত। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কোন বক্তব্য অশুভ, তা নির্ধারণ করার তারা কে? সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনই ফেসবুক-টুইটার নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। কারণ, ফেসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গ তাঁকে নিয়মিত ফোন করতেন। তিনি হোয়াইট হাউসে আসতেন। তার প্রশংসা করতেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর