প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, কভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেট-৩ আসনের ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসতে হবে ভোটারদের। আইনি ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। গতকাল সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনের সব কার্যক্রম লকডাউন-বহির্ভূত থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। এ ছাড়া সিলেট-৩ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গ্রহণের জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান নুরুল হুদা।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.)। এ ছাড়া সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ, মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলামসহ অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে সবকিছুই করছে কমিশন। এতে কারও কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই। প্রসঙ্গত, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। আসনটিতে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার। আগামী ২৮ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বিরতিহীনভাবে এ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ সামাদ চৌধুরী ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
