মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

জাদুঘরের নিদর্শন নষ্ট করলে ১০ বছরের কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাদুঘরের নিদর্শন নষ্ট করলে ১০ বছর কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আইন-২০২১ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া নিদর্শন চুরি, পাচার বা ক্ষতি করলে পাঁচ বছর কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা আইন-২০২১’, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১’-এর খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।

জাতীয় জাদুঘর আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশগুলোকে আইনে রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা থাকায় এটিকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগের অধ্যাদেশকে বদলে এ আইন করা হচ্ছে। এককালীন চাঁদা দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের এই ট্রাস্টের সদস্য হতে হয়। এরপর শিক্ষকদের পাশাপাশি তাদের পোষ্যরা এখান থেকে সুবিধা পাবেন। জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রতি বছর ৬ অক্টোবরকে ‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস’ এর পরিবর্তে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস’ ঘোষণা করছে সরকার। আমাদের এসডিজির একটা লক্ষ্যমাত্রা আছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে। একবার নিবন্ধন হলে তা আর নকল করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ধরা আছে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ করে ফেলব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানাবে। ছাত্রদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে তারপর দেখা যাবে। বিনোদন কেন্দ্র এবং গ্যাদারিংয়ের পারমিশন দেওয়া হয়নি। অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে সাজেশন দেওয়া হয়েছে অন্তত কিছু দিন আপনারা এটা করে দেন। আমরা জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে নিজেরা ঠিক করে দেব যতগুলো বাস আছে তার অর্ধেক আজ চলবে, পরদিন বাকি অর্ধেক চলবে। এটা মেইনলি আন্তজেলা বাসের জন্য। বাইরে থেকে কম সংখ্যক বাস যাতে আসে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক ইউনিয়নের মালিক-শ্রমিক যারা আছেন তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সর্বশেষ খবর