পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, কিছু লোক যারা শান্তি-শৃঙ্খলা পছন্দ করে না, যারা সন্ত্রাস পছন্দ করে কিংবা ড্রাগ পছন্দ করে তারাই র্যাবকে পছন্দ করে না। কারণ র্যাবের ড্রাগ, মানব পাচারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান। পাশাপাশি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান। ওরা এটা পছন্দ করে না। তারা দেশে অঘটন ঘটাতে চায়। যে কারণে র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার শুরু করেছে। আমরা বিষয়গুলো তাদের (যুক্তরাষ্ট্রকে) জানাব। হয়তো আমরা ঠিকমতো তাদের জানাইনি। যে কারণে তারা একতরফা তথ্য পেয়ে র্যাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদীপুরে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে এসে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী ভিজয় দারিয়ানানি, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট প্রমুখ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব দেশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কয়েকটি হয়েছে। আগে বেশি ছিল, এখন খুব কম। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেজে সেটির তদন্ত হয়। দুটি ক্ষেত্রে র্যাব অন্যায় করেছিল সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেজে বিচার হয়েছে। ওদের শাস্তিও হয়। আর এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা। তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আমেরিকা তাদের শিখিয়েছে রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট। কীভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ ডু ইন্টারগেশন। এগুলো শিখিয়েছে আমেরিকা। তাদের যদি রুলস অব এনগেজমেন্টে কোনো দুর্বলতা থাকে, এই রুলস অব এনগেজমেন্টে যদি কোনো হিউম্যান রাইট ভায়োলেট হয়, অবশ্যই আমরা সেখানে নতুন করে ট্রেইন্ড করব। মন্ত্রী আরও বলেন, ওরা বলেছে যে গত ১০ বছরে ৬০০ জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতিবছর ১ লাখ মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয় পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। আর এসব তথ্য যাচাই-বাছাই না করে বড় বড় বিদেশি লোক অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহ্বান করি- বলি আসেন, দেখেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, সৎ ঘটনা উদঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।