বারবার চেয়েও কারও কাছ থেকে কানাডার বেগমপাড়ায় সম্পদ গড়া প্রবাসী বাংলাদেশির তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। কানাডার বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদের টাকায় গড়ে উঠেছে অভিজাত পল্লী। যা বেগমপাড়া নামেই পরিচিত। অর্থ পাচারকারীদের বেশির ভাগই আমলা, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী। অর্থ পাচারকারীদের তালিকা ও তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে স্বপ্রণোদিত হয়ে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর রুল জারি করেছিল উচ্চ আদালত। সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, কারা কানাডায় সম্পদ গড়েছেন তাদের কাছে তালিকা আছে। সে বছরই বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার করে সম্পদ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দুদক। তালিকার বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কানাডার বেগমপাড়ার দুর্নীতিবাজদের লিস্ট আমরা পাইনি, পাওয়ার কোনো মেকানিজম আমাদের নেই। বেগমপাড়ায় কার কার বাড়ি আছে ওই তালিকা পাওয়ার মেকানিজম আমাদের নেই। মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, উনার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) কাছে তালিকা আছে, বারবার চাওয়ার পরও তো পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে এগোব। যেগুলো পেয়েছি সেগুলোর ওপর কাজ করছি। তিনি বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের তথ্য কোনো দেশ দিতে চায় না। কারণ টাকা সেই দেশে যাচ্ছে আর টাকাগুলো রাখার জন্যই তারা তথ্য দিচ্ছে না। বলছে, মামলা হলে তথ্য দেবে, কিন্তু মামলা করার জন্যই তথ্য দরকার। কোনো দেশই দিচ্ছে না। এ প্রতিকূলতা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেছেন, আজকে ঘুমাতে যাবেন, কাল দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে, এমনটা সম্ভব না। দুর্নীতি দমনে দুদক ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে। বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী এ সংস্থার প্রকাশ করা দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২১-এ এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। প্রতিবেদনের তথ্য দুদক আমলে নেবে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এটা দেখব যাচাই করে। যদি আমাদের কাজের কোনো সুপারিশ থাকে, সেগুলো বাস্তবসম্মত হলে ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেব। দুর্নীতি বন্ধে ২২টা মন্ত্রণালয়ে আমরা সুপারিশ করেছি। সেগুলো মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে কি না সে এক্সিকিউটিভ ক্ষমতা আমাদের নেই। সেটা তাদের বিষয়। দুর্নীতির ব্যাপারে নমনীয় বা জিরো টলারেন্স এটা দেখানোয় দুদকের কোনো সুযোগ নেই। এটার একমাত্র কাজ দুর্নীতি দমন। পৃথিবীর সব দেশেই দুর্নীতি আছে। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির ধারণাই পাল্টে যাচ্ছে। এ জন্য আমাদের প্রশিক্ষিত লোকবল দরকার।
শিরোনাম
- ডিজিটাল লেনদেনে দুর্নীতি-অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব : গভর্নর
- ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
- লন্ডনে বর্ণবাদী হামলার শিকার বাংলাদেশি তরুণ
- শিবচরে হত্যা মামলার আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
- এখন কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রচেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে : মির্জা ফখরুল
- নেপালে নতুন তিন মন্ত্রীর শপথ
- দীর্ঘ ৯ বছর পর শিবচর বিএনপির ১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
- পিরোজপুরে গৃহবধূ হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- নরসিংদীতে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
- কবরস্থানে পুঁতে রাখা ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্কে স্থানীয়রা
- বরগুনায় ডেঙ্গুতে আরও এক নারীর মৃত্যু
- নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
- ৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
- রাকসু নির্বাচন : হল সংসদের ৩৯ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, ৪ পদ ফাঁকা
- বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : রুমিন ফারহানা
- অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের মৌলিক রদবদল করার ম্যান্ডেট রাখে না : জিল্লুর রহমান
- হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
- ‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
- অসুস্থতার ছুটি চেয়ে বার্তা, ১০ মিনিট পরেই হারালেন প্রাণ
বেগমপাড়ার বাড়ির মালিকদের তালিকা পাচ্ছি না
দুদক চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর