দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ সুসংহত আর্থিক চুক্তি নিয়ে এই প্রথম আলোচনা শুরু হচ্ছে ২ মার্চ। চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। এ ছাড়া আগামীকাল পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে দিল্লিতে। তার পরই প্রথমে দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্তরে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের চতুর্দশতম বৈঠক চলবে দুই দিন। ৪ মার্চ বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও ভারতের বাণিজ্য সচিব বিভিআর সুব্রামনিয়ামের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। এ বৈঠকের সময়ই ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য চুক্তি খতিয়ে দেখার সমীক্ষক দলের বৈঠক শুরু হবে। সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল গত বছর মার্চে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য সার্ক দেশগুলোর মধ্যকার মুক্তবাণিজ্য চুক্তির উন্নয়ন প্রয়োজন। এ কারণেই সুসংহত নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা। বাণিজ্য সচিব স্তরে আলোচনায় প্রধানত গুরুত্ব পাবে নতুন সীমান্তহাট খোলা এবং ভারত থেকে পিঁয়াজ রপ্তানি বিষয়ে স্থিতিশীল সরবরাহ বজায় রাখা নিয়ে। রমজানে বাংলাদেশে পিঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। সূত্র জানান, সে সময় যাতে পিঁয়াজ রপ্তানিতে কোনো বাধা না তৈরি হয় সে কারণেই স্থায়ী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
ভারতের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের চুক্তি বাস্তবায়নের সময় স্থির করার বিষয়ে দাবি উঠবে এবং আগরতলা-আখাউড়া স্থলবন্দরে বর্তমানে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা প্রত্যাহার করার জন্য বলা হবে। ভারতে নতুন শুল্কনীতি চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্য উৎপাদন রপ্তানি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর জন্য বাংলাদেশ যেসব পণ্যে ছাড়পত্র শংসাপত্র দেবে সেগুলো যাতে ভারত গ্রহণ করে সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্যের ক্ষেত্রে ভারত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক চাপিয়েছে। এ শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছর এর পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে। তপন কান্তি ঘোষ ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।