শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ আপডেট:

আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসে ৭৩ বছর

আমির হোসেন আমু
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসে ৭৩ বছর

জনগণের সংগ্রামই ইতিহাস নির্মাণ করে, সে ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। জনগণের চিন্তা-চেতনা, আকাক্সক্ষা এবং স্বপ্ন দিয়ে তৈরি যে রাজনৈতিক দল তার ভাষা আপামর জনসাধারণেরই কণ্ঠের ভাষা। আমরা ভাগ্যবান, আমরা তেমনই একটি রাজনৈতিক সংগঠনের উত্তরাধিকার এবং আলোকিত তেমনই জননেতার আলোকবর্তিকায়। আমাদের দল আওয়ামী লীগ, আমাদরে নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবোধ সব একাকার এ মাটির ঐতিহ্যে, সংস্কৃতিতে, কৃষ্টিতে এবং স্বাধীনতায়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আওয়ামী লীগ একটি সংগ্রামী রাজনৈতিক গণসংগঠন। আর তাই এ দলটি জন্মলগ্ন থেকেই জনগণনির্ভর জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক, নির্ভীক, ত্যাগী, উদার অসাম্প্রদায়িক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে ধাবমান। সাতচল্লিশের দেশ বিভাগের আগের অনেক বিষয়ই গুরুত্বপূর্র্ণ এবং উল্লেখ্য, কিন্তু আমি আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের কথাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চেষ্টা করব এ কারণে যে, এ দেশের মানুষের জন্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে প্রথমে এই একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয় যা বাংলার মূল শেকড়কে আশ্রয় করেই ক্রমে মহিরুহ আকার ধারণ করেছে। এখানে বিশেষ বিশ্লেষণে গিয়ে ইতিহাসের ইভেন্টগুলো তুলে ধরলেই দেশের রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থা স্পষ্টভাবেই প্রতিভাত হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই শুধু তথ্যগুলোই এখানে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক উত্থান এবং এ দেশের সংগ্রামী জনগণের মূল চেহারাটা আমরা দেখতে পাব।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন সকাল ১০টায় কে এম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজগার্ডেনের বাসভবনে মুসলিম লীগ কর্মী, নেতা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ মুজিবুর রহমান (একজনই) এর যুগ্মসম্পাদক নির্বাচিত হন। পরদিন ২৪ জুন আরমানিটোলা ময়দানে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম জনসভা হয়।

বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেয়েছিলেন ১৯৪৯ সালের ১৭ জুলাই। জেল থেকে বেরিয়ে জেলায় জেলায় প্রথম যে কমিটিগুলো তিনি করেছিলেন বস্তুত সে কমিটিগুলোই হয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সাংগঠনিক স্তম্ভ।

এ দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের জন্ম এবং উত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দেশে তখন খাদ্য সংকট, চালের দাম হুহু করে বাড়ছে। ১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবর আওয়ামী লীগ জনসভা করে এবং জনসভা শেষে একটি ভুখামিছিল বের হয়। মিছিলটি নবাবপুর রেল ক্রসিংয়ে পৌঁছলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ভাসানী, শামসুল হকসহ অনেকে গ্রেফতার হন। ভাসানীর পরামর্শে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার এড়িয়ে পাকিস্তানে যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা করতে। কয়েক সপ্তাহ পকিস্তানে থেকে সোহরাওয়ার্দীসহ মামদতের নবাব, মানকি শরিফের পীর সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করে ডিসম্বরে ঢাকায় ফেরেন এবং ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন। একটানা ২৬ মাস কারাভোগ করেন। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারির আন্দোলন সংগঠিত করার কারণে এবং তার সমর্থনে অনশন করায় তাঁকে ফরিদপুর জেলে পঠিয়ে দেওয়া হলো। বঙ্গবন্ধু এবার মুক্তি পেলেন ’৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, তা-ও ফরিদপুর জেল থেকে। ওখানে তাঁর বিরুদ্ধে একটা মামলা ছিল। তাঁকে ঢাকা জেল থেকে ফরিদপুর জেলে পাঠানো হয়েছিল ’৫২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

১৯৫৩ সালে পূর্ববঙ্গের গভর্নর হয়ে আসেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৭ এপ্রিল ঢাকার পল্টনে এক সভায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের কথা বললেন। এ জনসভায় আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বের লড়াইয়ের জন্য বড় রকমের আত্মত্যাগের জন্য আহ্বান জানান। ’৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর ঢাকার মুকুল সিনেমা হলে আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশন হয়। এ অধিবেশনে মওলানা ভাসানী সভাপতি ও শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

’৫৩ সালে অনেক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। যুক্তফ্রন্টে যে দলগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সেগুলো হলো- আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি (’৫৩ সালের অক্টোবরে গঠিত), গণতন্ত্রী পার্টি, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফতে রব্বানী পার্টি ও কমিউনিস্ট পার্টি। এ বছরের ১৪-১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের কনফারেন্সে ৪২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার গ্রহণ করে পরে সেটাকেই ছোট করে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

’৫৪ সালের নির্বাচনে ৩০৯ আসনের মধ্যে মুসলিম আসন ছিল ২৩৭টি। যুক্তফ্রন্ট পেয়েছিল ২২৩টি, মুসলিম লীগ ৯টি এবং স্বতন্ত্র ৫টি। অন্যদিকে সংখ্যালঘু আসনে জাতীয় কংগ্রেস ২৫টি, কাস্ট ফেডারেশন ২৭টি, সংখ্যালঘু যুক্তফ্রন্ট ১৩টি, কমিউনিস্ট পার্টি ৪টি ও গণতন্ত্রী দল ৩টি আসন। বাংলার জনগণের রায় থেকে এটাই বোঝা গিয়েছিল যে মুসলিম লীগকে তারা মনপ্রাণ থেকেই বর্জন করেছে।

১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ মতিঝিলের হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। সভাপতি মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ অনুপস্থিত থাকেন। ওই কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা বিপুল সমর্থনে অনুমোদিত হয়। ১৯ মার্চ কাউন্সিল অধিবেশনে ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিনই সন্ধ্যা নাগাদ কমিটিও অনুমোদন করেন কাউন্সিলররা। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ।

ছয় দফাই পূর্ব পকিস্তানের একমাত্র রাজনৈতিক বিষয় হয়ে ওঠে। পত্রপত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ছয় দফার প্রথম জনসভাটি হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ। পূর্ব পাকিস্তানে ছয় দফার আন্দোলনই একমাত্র আন্দোলনে পরিগণিত হয়। বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে ছয় দফাকেই মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচনা করে।

১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে সরকারি প্রেসনোটে উল্লেখ করা হলো, ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মি. ওঝার সঙ্গে যোগসাজশে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল সরকার তার বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এযাবৎ বিভিন্ন বিভাগের ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিহাসে এটাই ‘আগরতলা’ মামলা নামে পরিচিত, যদিও মামলার শিরোনাম ছিল ‘শেখ মুজিবুর রহমান গং বনাম পাকিস্তান’। ’৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা জেলে বন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে জানানো হয়েছিল যে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটা ছিল গভীর রাতের ঘটনা। জেলগেটেই শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হলো।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী আগরতালা মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট ফজলুল হক ও সার্জেন্ট জহুরুল হকের ওপর গুলি চালায়। সার্জেন্ট জহুরুল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। কেউ কেউ এটা আইয়ুব খানবিরোধী সামরিক চক্রের ষড়যন্ত্র বললেও খবরটি ঢাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। পল্টনে সার্জেন্ট জহুরুল হকের লাশ নিয়ে আসা হলো। এখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হলো। কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে ছাত্র-জনতা মিলিটারি প্রতিরোধ করে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে প্রায় বিনা উসকানিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শামসুজ্জোহাকে বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করা হয়। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ প্রজ্বালিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামল দেওয়া সেনাবাহিনীর পক্ষেও অসম্ভব হয়ে ওঠে। সারা দেশ থেকে মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। আগরতলা মামলার বিচারকের অস্থায়ী বাসভবনসহ আইয়ুব খানের ১০ মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ঢাকা সেনানিবাস যে কোনো সময় জনগণ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, এ ধরনের আশঙ্কার কথাও ক্ষমতাসীন মহল চিন্তা করতে থাকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি কঠোর কারফিউ বলবৎ করা হয়। ছাত্র-জনতা শহরের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ ভেঙে রাজপথে নেমে আসে।

’৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান এক বেতার ভাষণে ঘোষণা করলেন, তিনি আর কখনো প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াবেন না। আগরতলা মামলা খারিজ করা হলো এবং তিনি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বসে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা চান। আনন্দে উল্লসিত জনতার ঢল নামে রাজপথে। পরদিন শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ লাখো মানুষের অনুমোদনক্রমে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধায় ভূষিত করেন। এখানেই বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ছয় দফা বাঙালির মুক্তিসনদ। ছয় দফার ব্যাপারে কোনো আপস নেই। যেখানে যার সঙ্গেই সংলাপ হোক না কেন।

১৯৬৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে গোলটেবিল বৈঠক বসে। আইয়ুব খানের পক্ষ থেকে ১৫ জন, নির্দলীয় দুজন এবং ১৬ জন রাজনীতিক আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা সফল হয় না, ১০ মার্চ পর্যন্ত আলোচনা মুলতবি রাখা হয়। ১০ মার্চ আবার গোলটেবিল বৈঠক বসে। ছয় দফাই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। বঙ্গবন্ধুকে ছয় দফার একটি দফা প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানানো হয়, কিন্তু তিনি তা নাকচ করেন। ফলে আলোচনা ভেঙে যায়। অবশেষে ’৬৯ সালের ২৪ মার্চ ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান সামরিক আইন জারি করে জেনারেল ইয়াহিয়ার হাতে সবকিছু ন্যস্ত করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান।

১৯৭০-এর ৩১ মার্চ লিগ্যাল ফ্রেম ওয়ার্ক (এলএফও) আইনি মাধ্যমে ঘোষণা করেন ইয়াহিয়া খান। ’৭০-এর ৭ জুন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় ছয় দফাকে রেফারেন্ডাম ঘোষণা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৭ আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

ইয়াহিয়া খান হঠাৎ করে ৩ মার্চের সংসদ অধিবেশন ১ মার্চ স্থগিত ঘোষণা করলে সারা দেশ দাবানলের মতো জ্বলে ওঠে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে একদিকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন, ট্যাক্স-খাজনা বন্ধ করে দিতে বললেন, পাশাপাশি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন। যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বললেন। বললেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

পাক হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ আক্রমণ করলে, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন- শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে শত্রুদের মোকাবিলার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ লোকের আত্মাহুতির বিনিময়ে, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করি।

জাতির জনক পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারি তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায় আসেন। এসে দেখলেন পুরো দেশ ধ্বংসস্তূপ, সাড়ে ৩ কোটি লোক গৃহহারা, ১ কোটি লোক বিদেশের মাটিতে আশ্রিত, ৩০ লাখ শহীদ পরিবার, ২ লাখ বীরাঙ্গনা, রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট-রেললাইন সব ধ্বংসপ্রাপ্ত। ব্যাংকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই, খাদ্যের গুদামে খাদ্য নেই, পোর্ট-বিমানবন্দর ধ্বংসপ্রাপ্ত। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবকিছু সচল করে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে, রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিলেন সেই মুহূর্তে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হলো।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে এবং ২৩ জুন বঙ্গবন্ধুর হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার একক উদ্যোগে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অঞ্চলে দীর্ঘ ২৫ বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাত নিরসনের জন্য শেখ হাসিনা UNESCO শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করা হয়।

২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি UNESCO কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে মহান ২১ ফেব্রুয়ারি স্বীকৃত হয়। ২০০০ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়। ২০০১ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম একটি সরকার মেয়াদ উত্তীর্ণ করে শান্তিপূর্ণভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিএনপির সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লার রহমতে তিনি বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে ১ কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার, পছন্দমতো দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করার জন্য বিচারপতির চাকরির বয়স বাড়ানো ও পছন্দমতো নির্বাচন কমিশন সাজানো এবং তারপর সব অপশন বাদ দিয়ে দলীয় রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচন ঘোষণার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোট ছাড়া সব দল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তীব্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীন সরকার ক্ষমতায় আসে।

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন এবং আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের ১৬ জুন তাঁকে চিকিৎসার জন্য প্যারোল দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে এসে আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র বানচাল করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, চার মূলনীতি সংবিধানে পুনরন্তর্ভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং যুদ্বাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পাপমুক্ত করেছেন। আজ শেখ হাসিনা নির্ভীক, তেজস্বী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের এবং সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত ও পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তব প্রতিফলন দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাতা ও উন্নয়নের কাণ্ডারি, উন্নত-সমৃদ্ধ, মর্যাদাশীল বাংলাদেশ নির্মাণের রূপকার। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে এবং দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।

শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে পদ্না বহুমুখী সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্প, দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা সমুদ্রবন্দর, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।

সফল রাষ্ট্র পরিচালনার মধ্য দিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, শিক্ষানীতি প্রণয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র, শান্তি প্রতিষ্ঠা, জঙ্গি দমন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে তিনি বহু মর্যাদাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার নতুন মাত্রা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে একজন নন্দিত সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় স্থানের অধিকারী হয়েছেন। বর্তমানে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং পাশাপাশি উপর্যুপরি বন্যার মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। আজ তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। তাঁর ঘোষিত ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে বাংলাদেশ। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।

লেখক : সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র।

এই বিভাগের আরও খবর
গলাচিপায় বিএনপি গণঅধিকার পরিষদ সংঘর্ষ, আহত ১৫
গলাচিপায় বিএনপি গণঅধিকার পরিষদ সংঘর্ষ, আহত ১৫
সংঘর্ষের প্রস্তুতিকালে সেনা অভিযান, আটক ৪
সংঘর্ষের প্রস্তুতিকালে সেনা অভিযান, আটক ৪
আজ থেকে ফের আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
আজ থেকে ফের আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
ভোট কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার তথ্য চাইল ইসি
ভোট কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার তথ্য চাইল ইসি
নোট অব ডিসেন্ট রাখার সুযোগ নেই
নোট অব ডিসেন্ট রাখার সুযোগ নেই
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
ফেব্রুয়ারির প্রথমেই নির্বাচন সম্ভব
ফেব্রুয়ারির প্রথমেই নির্বাচন সম্ভব
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই
নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই
তরুণরাই দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে
তরুণরাই দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে
জাতির প্রকৃত সম্পদ জনগণের জ্ঞান ও দক্ষতা
জাতির প্রকৃত সম্পদ জনগণের জ্ঞান ও দক্ষতা
সন্ত্রাসী সাজ্জাদসহ মামলা ২২ জনের বিরুদ্ধে
সন্ত্রাসী সাজ্জাদসহ মামলা ২২ জনের বিরুদ্ধে
সর্বশেষ খবর
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

২ মিনিট আগে | জাতীয়

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘কালমেগির’ পর ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’
‘কালমেগির’ পর ফিলিপাইনে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেয়েরা দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : আসিফ নজরুল
কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেয়েরা দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : আসিফ নজরুল

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক আহত
ছিনতাইকারীদের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক আহত

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘শুভসংঘের ছোলগুল্যাই হামাঘরে আত্মীয়-স্বজন’
‘শুভসংঘের ছোলগুল্যাই হামাঘরে আত্মীয়-স্বজন’

৩৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ভাটারা থানা শাখার আয়োজনে ক্যারম প্রতিযোগিতা
বসুন্ধরা শুভসংঘ ভাটারা থানা শাখার আয়োজনে ক্যারম প্রতিযোগিতা

৪১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জামালপুরে ৬শ দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
জামালপুরে ৬শ দৌড়বিদের অংশগ্রহণে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উদ্বেগ জানিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উদ্বেগ জানিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, ৪৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নগরকান্দার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
নগরকান্দার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে ইসির সভা রবিবার
এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে ইসির সভা রবিবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইদহে মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাদারীপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেফতার
মাদারীপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না ক্যাটরিনা কাইফ
এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না ক্যাটরিনা কাইফ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কানাডার ক্যালগেরিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
কানাডার ক্যালগেরিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যালোভেরার যত গুণ
অ্যালোভেরার যত গুণ

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নিজ বাড়ির সামনে ব‍্যবসায়ীকে দা-চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা
নিজ বাড়ির সামনে ব‍্যবসায়ীকে দা-চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা স্থগিত, পাল্টাপাল্টি হামলার শঙ্কা
আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা স্থগিত, পাল্টাপাল্টি হামলার শঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল তিন বন্ধুর
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল তিন বন্ধুর

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম