শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ আপডেট:

আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসে ৭৩ বছর

আমির হোসেন আমু
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসে ৭৩ বছর

জনগণের সংগ্রামই ইতিহাস নির্মাণ করে, সে ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। জনগণের চিন্তা-চেতনা, আকাক্সক্ষা এবং স্বপ্ন দিয়ে তৈরি যে রাজনৈতিক দল তার ভাষা আপামর জনসাধারণেরই কণ্ঠের ভাষা। আমরা ভাগ্যবান, আমরা তেমনই একটি রাজনৈতিক সংগঠনের উত্তরাধিকার এবং আলোকিত তেমনই জননেতার আলোকবর্তিকায়। আমাদের দল আওয়ামী লীগ, আমাদরে নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবোধ সব একাকার এ মাটির ঐতিহ্যে, সংস্কৃতিতে, কৃষ্টিতে এবং স্বাধীনতায়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আওয়ামী লীগ একটি সংগ্রামী রাজনৈতিক গণসংগঠন। আর তাই এ দলটি জন্মলগ্ন থেকেই জনগণনির্ভর জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক, নির্ভীক, ত্যাগী, উদার অসাম্প্রদায়িক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে ধাবমান। সাতচল্লিশের দেশ বিভাগের আগের অনেক বিষয়ই গুরুত্বপূর্র্ণ এবং উল্লেখ্য, কিন্তু আমি আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের কথাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চেষ্টা করব এ কারণে যে, এ দেশের মানুষের জন্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে প্রথমে এই একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয় যা বাংলার মূল শেকড়কে আশ্রয় করেই ক্রমে মহিরুহ আকার ধারণ করেছে। এখানে বিশেষ বিশ্লেষণে গিয়ে ইতিহাসের ইভেন্টগুলো তুলে ধরলেই দেশের রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থা স্পষ্টভাবেই প্রতিভাত হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই শুধু তথ্যগুলোই এখানে তুলে ধরা হচ্ছে যাতে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক উত্থান এবং এ দেশের সংগ্রামী জনগণের মূল চেহারাটা আমরা দেখতে পাব।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন সকাল ১০টায় কে এম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজগার্ডেনের বাসভবনে মুসলিম লীগ কর্মী, নেতা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ মুজিবুর রহমান (একজনই) এর যুগ্মসম্পাদক নির্বাচিত হন। পরদিন ২৪ জুন আরমানিটোলা ময়দানে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম জনসভা হয়।

বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেয়েছিলেন ১৯৪৯ সালের ১৭ জুলাই। জেল থেকে বেরিয়ে জেলায় জেলায় প্রথম যে কমিটিগুলো তিনি করেছিলেন বস্তুত সে কমিটিগুলোই হয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সাংগঠনিক স্তম্ভ।

এ দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের জন্ম এবং উত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দেশে তখন খাদ্য সংকট, চালের দাম হুহু করে বাড়ছে। ১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবর আওয়ামী লীগ জনসভা করে এবং জনসভা শেষে একটি ভুখামিছিল বের হয়। মিছিলটি নবাবপুর রেল ক্রসিংয়ে পৌঁছলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ভাসানী, শামসুল হকসহ অনেকে গ্রেফতার হন। ভাসানীর পরামর্শে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার এড়িয়ে পাকিস্তানে যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা করতে। কয়েক সপ্তাহ পকিস্তানে থেকে সোহরাওয়ার্দীসহ মামদতের নবাব, মানকি শরিফের পীর সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করে ডিসম্বরে ঢাকায় ফেরেন এবং ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন। একটানা ২৬ মাস কারাভোগ করেন। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারির আন্দোলন সংগঠিত করার কারণে এবং তার সমর্থনে অনশন করায় তাঁকে ফরিদপুর জেলে পঠিয়ে দেওয়া হলো। বঙ্গবন্ধু এবার মুক্তি পেলেন ’৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, তা-ও ফরিদপুর জেল থেকে। ওখানে তাঁর বিরুদ্ধে একটা মামলা ছিল। তাঁকে ঢাকা জেল থেকে ফরিদপুর জেলে পাঠানো হয়েছিল ’৫২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

১৯৫৩ সালে পূর্ববঙ্গের গভর্নর হয়ে আসেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৭ এপ্রিল ঢাকার পল্টনে এক সভায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের কথা বললেন। এ জনসভায় আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বের লড়াইয়ের জন্য বড় রকমের আত্মত্যাগের জন্য আহ্বান জানান। ’৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর ঢাকার মুকুল সিনেমা হলে আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশন হয়। এ অধিবেশনে মওলানা ভাসানী সভাপতি ও শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

’৫৩ সালে অনেক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। যুক্তফ্রন্টে যে দলগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সেগুলো হলো- আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি (’৫৩ সালের অক্টোবরে গঠিত), গণতন্ত্রী পার্টি, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফতে রব্বানী পার্টি ও কমিউনিস্ট পার্টি। এ বছরের ১৪-১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের কনফারেন্সে ৪২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার গ্রহণ করে পরে সেটাকেই ছোট করে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

’৫৪ সালের নির্বাচনে ৩০৯ আসনের মধ্যে মুসলিম আসন ছিল ২৩৭টি। যুক্তফ্রন্ট পেয়েছিল ২২৩টি, মুসলিম লীগ ৯টি এবং স্বতন্ত্র ৫টি। অন্যদিকে সংখ্যালঘু আসনে জাতীয় কংগ্রেস ২৫টি, কাস্ট ফেডারেশন ২৭টি, সংখ্যালঘু যুক্তফ্রন্ট ১৩টি, কমিউনিস্ট পার্টি ৪টি ও গণতন্ত্রী দল ৩টি আসন। বাংলার জনগণের রায় থেকে এটাই বোঝা গিয়েছিল যে মুসলিম লীগকে তারা মনপ্রাণ থেকেই বর্জন করেছে।

১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ মতিঝিলের হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। সভাপতি মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ অনুপস্থিত থাকেন। ওই কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা বিপুল সমর্থনে অনুমোদিত হয়। ১৯ মার্চ কাউন্সিল অধিবেশনে ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিনই সন্ধ্যা নাগাদ কমিটিও অনুমোদন করেন কাউন্সিলররা। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ।

ছয় দফাই পূর্ব পকিস্তানের একমাত্র রাজনৈতিক বিষয় হয়ে ওঠে। পত্রপত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ছয় দফার প্রথম জনসভাটি হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ। পূর্ব পাকিস্তানে ছয় দফার আন্দোলনই একমাত্র আন্দোলনে পরিগণিত হয়। বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে ছয় দফাকেই মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচনা করে।

১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে সরকারি প্রেসনোটে উল্লেখ করা হলো, ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মি. ওঝার সঙ্গে যোগসাজশে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল সরকার তার বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এযাবৎ বিভিন্ন বিভাগের ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিহাসে এটাই ‘আগরতলা’ মামলা নামে পরিচিত, যদিও মামলার শিরোনাম ছিল ‘শেখ মুজিবুর রহমান গং বনাম পাকিস্তান’। ’৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা জেলে বন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে জানানো হয়েছিল যে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটা ছিল গভীর রাতের ঘটনা। জেলগেটেই শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হলো।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী আগরতালা মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট ফজলুল হক ও সার্জেন্ট জহুরুল হকের ওপর গুলি চালায়। সার্জেন্ট জহুরুল হক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। কেউ কেউ এটা আইয়ুব খানবিরোধী সামরিক চক্রের ষড়যন্ত্র বললেও খবরটি ঢাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। পল্টনে সার্জেন্ট জহুরুল হকের লাশ নিয়ে আসা হলো। এখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হলো। কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে ছাত্র-জনতা মিলিটারি প্রতিরোধ করে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে প্রায় বিনা উসকানিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শামসুজ্জোহাকে বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করা হয়। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ প্রজ্বালিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামল দেওয়া সেনাবাহিনীর পক্ষেও অসম্ভব হয়ে ওঠে। সারা দেশ থেকে মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। আগরতলা মামলার বিচারকের অস্থায়ী বাসভবনসহ আইয়ুব খানের ১০ মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ঢাকা সেনানিবাস যে কোনো সময় জনগণ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, এ ধরনের আশঙ্কার কথাও ক্ষমতাসীন মহল চিন্তা করতে থাকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি কঠোর কারফিউ বলবৎ করা হয়। ছাত্র-জনতা শহরের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ ভেঙে রাজপথে নেমে আসে।

’৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান এক বেতার ভাষণে ঘোষণা করলেন, তিনি আর কখনো প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াবেন না। আগরতলা মামলা খারিজ করা হলো এবং তিনি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বসে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা চান। আনন্দে উল্লসিত জনতার ঢল নামে রাজপথে। পরদিন শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ লাখো মানুষের অনুমোদনক্রমে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধায় ভূষিত করেন। এখানেই বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ছয় দফা বাঙালির মুক্তিসনদ। ছয় দফার ব্যাপারে কোনো আপস নেই। যেখানে যার সঙ্গেই সংলাপ হোক না কেন।

১৯৬৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে গোলটেবিল বৈঠক বসে। আইয়ুব খানের পক্ষ থেকে ১৫ জন, নির্দলীয় দুজন এবং ১৬ জন রাজনীতিক আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা সফল হয় না, ১০ মার্চ পর্যন্ত আলোচনা মুলতবি রাখা হয়। ১০ মার্চ আবার গোলটেবিল বৈঠক বসে। ছয় দফাই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। বঙ্গবন্ধুকে ছয় দফার একটি দফা প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানানো হয়, কিন্তু তিনি তা নাকচ করেন। ফলে আলোচনা ভেঙে যায়। অবশেষে ’৬৯ সালের ২৪ মার্চ ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান সামরিক আইন জারি করে জেনারেল ইয়াহিয়ার হাতে সবকিছু ন্যস্ত করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান।

১৯৭০-এর ৩১ মার্চ লিগ্যাল ফ্রেম ওয়ার্ক (এলএফও) আইনি মাধ্যমে ঘোষণা করেন ইয়াহিয়া খান। ’৭০-এর ৭ জুন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় ছয় দফাকে রেফারেন্ডাম ঘোষণা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৭ আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

ইয়াহিয়া খান হঠাৎ করে ৩ মার্চের সংসদ অধিবেশন ১ মার্চ স্থগিত ঘোষণা করলে সারা দেশ দাবানলের মতো জ্বলে ওঠে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে একদিকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন, ট্যাক্স-খাজনা বন্ধ করে দিতে বললেন, পাশাপাশি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন। যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বললেন। বললেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

পাক হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ আক্রমণ করলে, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন- শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে শত্রুদের মোকাবিলার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ লোকের আত্মাহুতির বিনিময়ে, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করি।

জাতির জনক পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারি তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায় আসেন। এসে দেখলেন পুরো দেশ ধ্বংসস্তূপ, সাড়ে ৩ কোটি লোক গৃহহারা, ১ কোটি লোক বিদেশের মাটিতে আশ্রিত, ৩০ লাখ শহীদ পরিবার, ২ লাখ বীরাঙ্গনা, রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট-রেললাইন সব ধ্বংসপ্রাপ্ত। ব্যাংকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই, খাদ্যের গুদামে খাদ্য নেই, পোর্ট-বিমানবন্দর ধ্বংসপ্রাপ্ত। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবকিছু সচল করে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে, রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিলেন সেই মুহূর্তে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করা হলো।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে এবং ২৩ জুন বঙ্গবন্ধুর হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার একক উদ্যোগে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অঞ্চলে দীর্ঘ ২৫ বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাত নিরসনের জন্য শেখ হাসিনা UNESCO শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করা হয়।

২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি UNESCO কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে মহান ২১ ফেব্রুয়ারি স্বীকৃত হয়। ২০০০ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়। ২০০১ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম একটি সরকার মেয়াদ উত্তীর্ণ করে শান্তিপূর্ণভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিএনপির সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লার রহমতে তিনি বেঁচে গেলেও আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে ১ কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার, পছন্দমতো দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করার জন্য বিচারপতির চাকরির বয়স বাড়ানো ও পছন্দমতো নির্বাচন কমিশন সাজানো এবং তারপর সব অপশন বাদ দিয়ে দলীয় রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচন ঘোষণার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোট ছাড়া সব দল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তীব্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীন সরকার ক্ষমতায় আসে।

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন এবং আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের ১৬ জুন তাঁকে চিকিৎসার জন্য প্যারোল দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে এসে আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র বানচাল করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, চার মূলনীতি সংবিধানে পুনরন্তর্ভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং যুদ্বাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পাপমুক্ত করেছেন। আজ শেখ হাসিনা নির্ভীক, তেজস্বী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের এবং সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত ও পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তব প্রতিফলন দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাতা ও উন্নয়নের কাণ্ডারি, উন্নত-সমৃদ্ধ, মর্যাদাশীল বাংলাদেশ নির্মাণের রূপকার। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে এবং দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।

শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে পদ্না বহুমুখী সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্প, দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা সমুদ্রবন্দর, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।

সফল রাষ্ট্র পরিচালনার মধ্য দিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, শিক্ষানীতি প্রণয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্র, শান্তি প্রতিষ্ঠা, জঙ্গি দমন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে তিনি বহু মর্যাদাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার নতুন মাত্রা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে একজন নন্দিত সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় স্থানের অধিকারী হয়েছেন। বর্তমানে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং পাশাপাশি উপর্যুপরি বন্যার মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। আজ তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। তাঁর ঘোষিত ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে বাংলাদেশ। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।

লেখক : সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র।

এই বিভাগের আরও খবর
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছর জেল
রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছর জেল
বাংলাদেশে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না
ব্যাংকলুটের টাকায় নাশকতা
ব্যাংকলুটের টাকায় নাশকতা
আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ রাখবে ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ রাখবে ভারত
আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে
আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
সর্বশেষ খবর
ভারতের বিপক্ষে একাদশে হামজা-সামিত, বেঞ্চে জামাল
ভারতের বিপক্ষে একাদশে হামজা-সামিত, বেঞ্চে জামাল

২৩ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুর সদর আসনে বিএনপির সামু’র নির্বাচনী প্রচারণা
রংপুর সদর আসনে বিএনপির সামু’র নির্বাচনী প্রচারণা

৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

কলাপাড়ায় কৃষকের বাড়ি থেকে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার
কলাপাড়ায় কৃষকের বাড়ি থেকে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার

৪ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বরিশালে সড়কের পাশে রাখা যাত্রীবাহী বাসে আগুন
বরিশালে সড়কের পাশে রাখা যাত্রীবাহী বাসে আগুন

৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে সাদুল্লাপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে সাদুল্লাপুরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফুলবাড়ীতে ৪১ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার
ফুলবাড়ীতে ৪১ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে এলেন চেয়ারম্যান, পাশে থাকতে নারাজ ইউপি সদস্যরা
দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে এলেন চেয়ারম্যান, পাশে থাকতে নারাজ ইউপি সদস্যরা

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দোকানের আয়ে চলতো সুভাষের সংসার, কয়েলের আগুনে পুড়ে ছাই
দোকানের আয়ে চলতো সুভাষের সংসার, কয়েলের আগুনে পুড়ে ছাই

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি, ভাইরাল ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিক নয়
সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি, ভাইরাল ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিক নয়

৩৮ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারণায় গফরগাঁওয়ে জনসমাবেশ
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারণায় গফরগাঁওয়ে জনসমাবেশ

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘৃণিত নাম শেখ হাসিনা’
‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘৃণিত নাম শেখ হাসিনা’

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

৫৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নবান্নের শাড়ি কিনে না দেওয়ায় স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
নবান্নের শাড়ি কিনে না দেওয়ায় স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ
বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি করা সেই যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি করা সেই যুবক গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিকের শততম টেস্ট বিনা টিকিটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা
মুশফিকের শততম টেস্ট বিনা টিকিটে দেখতে পারবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোদির প্রশংসা করে বিপাকে শশী থারুর
মোদির প্রশংসা করে বিপাকে শশী থারুর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবারও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেললো দুর্বৃত্তরা
আবারও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেললো দুর্বৃত্তরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে কোটি টাকার ভারতীয় জিরা জব্দ
হবিগঞ্জে কোটি টাকার ভারতীয় জিরা জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২
আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আলিয়ার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ, যা বললেন কাকা মুকেশ ভাট
আলিয়ার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ, যা বললেন কাকা মুকেশ ভাট

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
কারাবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শীতে সুন্দরবনে এক জেলের মৃত্যু
শীতে সুন্দরবনে এক জেলের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত
৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’
‘আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখে যেতে পারি’

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি
রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে