শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২ আপডেট:

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত ফেনীর আকাশ-বাতাস

কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত ফেনীর আকাশ-বাতাস

আজ ৬ ডিসেম্বর। এদিন মুক্ত স্বাধীন ফেনীতে আমরা বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করি। ফেনীর সড়ক ও জনপথে সর্বস্তরের আবালবৃদ্ধবনিতার ঢল নামে। ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ফেনীর আকাশ-বাতাস। সেদিন মা-বাবারা তাদের শিশুসন্তানদের কাঁধে নিয়ে রাজপথ প্রদক্ষিণ করতে থাকে। সবাই এক নজর দেখার জন্য, একটু স্পর্শ করার জন্য প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে আমাদের কাছে এগিয়ে আসে। অনেকে ফুল নিয়ে আমাদের অভ্যর্থনা জানায়। এক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় সমগ্র ফেনীতে। সেদিন আমি দেখেছি অনেকের চোখে বিজয়ের আনন্দ অশ্রু। কারও চোখে স্বজন হারানো বেদনার অশ্রু- সব যেন একাকার হয়ে গেছে। ফেনীবাসী সেদিন দলমত সবকিছু ভুলে মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এই প্রত্যাশায় এখন তারা নিজের দেশকে নিজের হাতে গড়ে তুলতে পারবেন, যেখানে থাকবে না কোনো হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, ভেদাভেদ। মুক্তিযুদ্ধের সেদিনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং উজ্জীবিত হয়ে আমরা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে এগিয়ে নেব দেশকে- এই ছিল সেদিন সবার প্রত্যাশা। উল্লেখ্য, এই ৬ ডিসেম্বরই ভারত বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করে।

রক্তক্ষয়ী ফেনী-বিলোনিয়া সম্মুখযুদ্ধ ছিল সামরিক রণকৌশল ও নৈপুণ্যের দিক থেকে উভয় পক্ষের জন্য একটি উত্তপ্ত রণাঙ্গন তথা জয়-পরাজয়ের এক বড় চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর বহু সামরিক কলেজ ও স্কুলে এই যুদ্ধের রণকৌশল পড়ানো হয়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে পৃথিবীর বিভিন্ন সামরিক কলেজ থেকে জেনারেল এবং পদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের একটি বড় প্রতিনিধি দল ফেনী-বিলোনিয়া যুদ্ধের রণকৌশল সম্পর্কে জানতে রণক্ষেত্রসমূহ পরিদর্শন করে। ফেনী-বিলোনিয়া যুদ্ধের সফলতা ছিল সারা দেশের সমগ্র স্বাধীনতা যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই সেদিন সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল এই তাৎপর্যপূর্ণ বিলোনিয়া যুদ্ধের ওপর।

ফেনীর বুক চিরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ও সড়কপথ প্রসারিত এবং চট্টগ্রামের দিক থেকে ফেনীই হলো সারা দেশের প্রবেশদ্বার (Feni is the gateway to Bangladesh from Chittagong side)। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভ থেকে পাকবাহিনী ‘সোয়াত’ জাহাজে বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ নিয়ে আসছিল এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সেগুলো খালাস হচ্ছিল। বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদসহ আরও জাহাজ ছিল নোঙর এবং খালাসের অপেক্ষায়। এই বাড়তি সৈন্য এবং গোলাবারুদ রেল এবং সড়কে ফেনীর ওপর দিয়ে সারা দেশে পাচার করে তাদের ঘাঁটি এবং অবস্থানগুলো আরও শক্তিশালী করা এবং যুদ্ধের গতিবেগ তাদের অনুকূলে নিয়ে আসার এক বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল তাদের। মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর নোয়াখালীর (ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও লাকসামের অংশবিশেষ) রাজনগর সাব-সেক্টরের অধিনায়ক এবং নিউক্লিয়াস দশম ইস্ট বেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতা-অধিনায়ক হিসেবে আমার ওপর দায়িত্ব ছিল ‘ফেনীর ওপর দিয়ে যেন একটি পিপীলিকাও যেতে না পারে।’ তারা এই বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ ফেনী হয়ে সারা দেশে নিতে পারলে যুদ্ধের গতিবেগ তাদের অনুকূলে হতো তীব্র থেকে তীব্রতর। তাই আমরা চট্টগ্রাম-ঢাকা রেল ও সড়কপথে ফেনী থেকে লাকসামের মধ্যবর্তী অংশে শর্শদী, গুণবতী রেলসেতু এবং ফেনী-চৌদ্দগ্রাম মহাসড়কে বাজংকরা সড়ক সেতুসহ বেশকিছু সেতু এবং কালভার্ট এবং ফেনী-বিলোনিয়া পথে আরও কিছু রেলসেতু উচ্চক্ষমতাশালী বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে সমগ্র যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত করে দিই। ফেনীর অদূরে কালীরবাজারে পাকবাহিনীর শক্ত ঘাঁটি থেকে আমরা মাত্র ১ হাজার গজের মধ্যে মুন্সীরহাটে তিন মাইল দীর্ঘ প্রতিরক্ষা ব্যূহ গড়ে তুলি। নিউক্লিয়াস-দশম ইস্ট বেঙ্গল ও রাজনগর সাব-সেক্টরের মুন্সীরহাট ডিফেন্স এবং কালীরবাজারে শত্রুর প্রতিরক্ষার মাঝে আমরা প্রায় ৬০০-৭০০ গজ ঘন অ্যান্টি-ট্যাংক ও অ্যান্টি-পারসোনাল মাইনক্ষেত্র স্থাপন করি। শত্রু বাহিনীর ছিল ট্যাংক, কামান, হেলিকপ্টার, ছত্রী সেনা, জঙ্গি বিমান, মুহুরী নদীতে ছিল নেভাল গানবোট এবং ফেনীতে ছিল তাদের এক ব্রিগেডের অধিক সৈন্য। তাদের এই ক্ষমতার বিপক্ষে আমাদের ছিল অসীম মনোবল এবং শত্রু নিধন করে দেশ স্বাধীন করার দৃঢ় সংকল্প ও শপথ। এই সম্মুখযুদ্ধে শত্রু বাহিনী মে মাস থেকে ২১ জুন পর্যন্ত আমাদের ওপর অনেক আক্রমণ চালায় এবং একটি ব্রিগেড-আক্রমণসহ আমরা তাদের সবকটি আক্রমণ সাফল্যের সঙ্গে প্রতিহত করি। জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি তার বই THE BETRAYAL OF EAST PAKISTAN (Page-207-209) এ স্বীকার করে বলেছেন, ‘A Brigade attack was launched which was repulsed by 10 East Bengal Regiment and Muktibahini jointly.’

শত্রু পক্ষের এই আক্রমণগুলোতে তারা যখন ৩০০-৪০০ গজ এগিয়ে আসত সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পেতে রাখা মাইনগুলো খইয়ের মতো ফুটতে থাকত। তুমুল ও রক্তক্ষয়ী ‘কুরুক্ষেত্র’ সদৃশ এই সম্মুখযুদ্ধে শত্রু পক্ষের প্রায় ৩০০ সৈন্য হতাহত হয়। অন্যদিকে আমাদের হাবিলদার নুরুল ইসলাম বীরবিক্রম ও নায়েক লোকমানসহ জাস্মুরা ডিফেন্সের সহযোদ্ধা ও প্রায় ২৫ জন হতাহত হন। এ ছাড়া আমাদের ‘পাইওনিয়ার প্লাটুন’ এর অনেক সহযোদ্ধা যুদ্ধাহত হন। প্রায় দেড় মাস স্থায়ী এই যুদ্ধে প্রত্যেক দিন দিবারাত্র উভয় পক্ষের মধ্যে অবিরাম কামানের গোলা বর্ষণ চলত। আমরা এতে এতই অভ্যস্ত হয়ে পড়ি যে, আমাদের কাছে মনে হতো এটি যুদ্ধ-সংগীত। শত্রু পক্ষের অবিরাম গোলাবর্ষণে আমাদের ডিফেন্সের আশপাশের গ্রামগুলোর ঘরবাড়ি, স্কুল, গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বহু গ্রামবাসী হতাহত হয়। এই যুদ্ধ চলাকালীন এবং আমরা ব্রিগেড-অ্যাটাকসহ তাদের সব হামলা প্রতিহত করার এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নির্দেশে পাকিস্তান আর্মির সিজিএস জেনারেল হামিদ ফেনী সার্কিট হাউস থেকে এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। সিজিএস জেনারেল হামিদের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণ, পাকিস্তানে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘আপনি বলছেন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) কোনো মুক্ত এলাকা নেই। আমরা সম্প্রতি ফেনী-বিলোনিয়া ঘুরে দেখেছি, ফেনী-বিলোনিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা সম্পূর্ণ মুক্ত। সেখানে পাকিস্তান-প্রশিক্ষিত একঝাঁক অফিসার, সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে এই মুক্ত অঞ্চল থেকে আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে যাতে চট্টগ্রাম থেকে কোনো বাড়তি সৈনিক ও গোলাবারুদ ফেনীর ওপর দিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে না যেতে পারে। আমরা এও শুনে এসেছি- মুক্তিবাহিনী যদি এ ১৭ মাইল ভূখণ্ড যার মধ্যে রয়েছে তিনটি থানা এবং তিন দিক থেকে ভারতীয় সীমান্ত বেষ্টিত, এটি যদি তারা ধরে রাখতে পারে তাহলে স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী দফতর এখানে গড়ে উঠতে পারে। এ কথা শুনে ইয়াহিয়া খান বিব্রত বোধ করেন এবং জেনারেল হামিদকে শ্রীলঙ্কা হয়ে সরাসরি ফেনীতে পাঠান।

এই সম্মুখযুদ্ধের পাশাপাশি আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থাৎ যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত করার উদ্দেশ্য থেকে আমরা এতটুকু বিচ্যুত না হয়ে চট্টগ্রাম থেকে যাতে বাড়তি শত্রু-সৈন্য ফেনী-চৌদ্দগ্রাম-কুমিল্লা পথে বা ফেনী-চৌমুহনী-লাকসাম-কুমিল্লা পথে সারা দেশে পৌঁছতে না পারে সে জন্য গোটা রেল ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা বিধ্বস্ত করতে থাকি যেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সোয়াতসহ জাহাজগুলো যেগুলো নোঙরের অপেক্ষায় সেগুলো বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ বন্দরে খালাস করে ফেনীর ওপর দিয়ে রেল ও সড়কপথ ব্যবহার করে সমগ্র বাংলাদেশে সরবরাহ করে তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে আরও শক্তিশালী করতে না পারে। ফেনী-বিলোনিয়ায় সম্মুখযুদ্ধ ও গেরিলা যুদ্ধের পাশাপাশি আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল রেল ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দেওয়া। ১ বেঙ্গল ও রাজনগর সাব-সেক্টর ফোর্সেস ও জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতায় এবং এই রণকৌশল অবলম্বন করে ফেনীর ওপর দিয়ে তাদের বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ নিতে দিইনি। এই রণকৌশল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিল চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথ ও সড়কে চট্টগ্রাম থেকে চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, কুমিল্লা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু, সড়ক সেতু, এমনকি রেল ও সড়কের কালভার্টগুলোও আমরা মাইন ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক দিয়ে একের পর এক ধ্বংস করে যাচ্ছিলাম। শত্রু পক্ষও সমরে সমরে সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নিচ্ছিল। আমরা তাদের ওপর রেইড ও অ্যামব্রুশ করে তাদের সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে দিইনি। তাদের আমরা সার্বক্ষণিক হিট অ্যান্ড রানের ওপর রেখেছিলাম, এমনকি আমরা এই সেতু ও কালভার্টগুলো ছাড়াও রেল ও সড়কপথে বিভিন্ন ‘অ্যাপ্রোচ রুটে’ গোলাবারুদ ও মাইন পুঁতে রাখি। এলাকার জনগণ এ ব্যাপারে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও আমাদের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা করেছেন। পুরো বাংলাদেশের মতো এই এলাকাতেও গণযুদ্ধের রূপ লাভ করেছিল। এই অপারেশনে আমরা সফল না হলে চট্টগ্রামে থেকে ফেনী-কুমিল্লা করিডর দিয়ে তাদের বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ পাচার করতে পারত। সেক্ষেত্রে তারা সারা দেশে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য করে তুলত এবং যুদ্ধের গতিবেগ তাদের পক্ষে আরও জোরদার হতো এবং এই যুদ্ধে সাধারণ জনগণের প্রাণহানি ও আমাদের ক্ষয়ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পেত। রেল সড়ক ব্রিজগুলো একের পর এক ধ্বংস করতে গিয়ে তাদের অবস্থান ভেদ করে কমান্ডো স্টাইলে হামলায় ‘সুইসাইডাল’ মিশন হিসেবে চিহ্নিত ছিল। আমরা এগুলো ডিনামাইট ও মাইন দিয়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করতে সফল হই। যাতে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর ওপর দিয়ে কোনো রেল বা সড়কপথে শত্রুর গমনাগমন আমরা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করতে সক্ষম হই। এই কমান্ডো স্টাইলের ‘সুইসাইডাল’ মিশনের মাধ্যমে আমরা যখন মাইন ও ভারী বিস্ফোরক দিয়ে সেতু ও কালভার্টগুলো গুঁড়িয়ে দিতাম তখন গভীর রাতে এসব বিস্ফোরণের বিকট শব্দ আশপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতো এবং থর থর করে কেঁপে উঠত সমগ্র এলাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ফেনীর কাছাকাছি শর্শদী ব্রিজ, লাকসামের অদূরে গুণবতী ব্রিজ, সড়কপথে চৌদ্দগ্রামের নিকটবর্তী বাজংকরা ব্রিজসহ আরও অসংখ্য ব্রিজ-কালভার্ট দশম বেঙ্গলের ‘পাইওনিয়ার’ প্লাটুন ও রাজনগর সাব-সেক্টরের সম্মুখযোদ্ধারা একের পর এক ধ্বংস করতে থাকি। এ জন্যই ফেনী-বিলোনিয়া যুদ্ধ দেশের গোটা মুক্তিযুদ্ধের একটি অন্যতম অধ্যায় এবং মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক সফলতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফেনী-বিলোনিয়া যুদ্ধ ইতিহাসে গৌরবময় ভূমিকার কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ফেনী-বিলোনিয়া যুদ্ধের ওপর দেশে-বিদেশে অনেক সামগ্রিক বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক তাদের স্মৃতিকথা ও গবেষণা গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার (অব.) আর পি সিং ঢাকার ডেইলি স্টার-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘By the end of November 1971 the pakistan army’smorale  had gone to their toots due to mukti bahini operations (20.12.2021)

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তার বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা গ্রন্থে, ‘‘The forgotten Heroes’  এ ফেনীর নিকটবর্তী শর্শদী রেলসেতু ১০ বেঙ্গল ও রামনগর সাব-সেক্টর ফোর্সেস কর্তৃক ধ্বংসের ঘটনা উল্লেখ করে লিখেন, ‘The Mukti Bahini attacks over the nine months destroyed of damaged 231 bridges including the vital rail bridge near Feni connecting Dhaka and Chittagong-and 122railwar lines , disropting the pakistan army’s suppliy lines and mobility.....’’  

আমরা তাদের সরবরাহ রুটগুলো রুদ্ধ করে দিই। এতে তাদের ‘রিইনফোর্সমেন্ট’ ক্ষমতা অবশ হয়ে পড়ে এবং আমরা যুদ্ধের গতিবেগ আমাদের অনুকূলে রাখতে পারি। এ কারণেই ফেনী-বিলোনিয়া যুদ্ধ ছিল সমগ্র দেশের মুক্তিযুদ্ধের সফলতা অর্জনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। ২১ জুন শত্রু পক্ষ পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আমাদের ওপর সর্বগ্রাসী আক্রমণ শুরু করে এবং সেই অসম যুদ্ধে অহেতুক রক্তগঙ্গার পথ পরিহার করে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল আর ডি হীরাসহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের সঙ্গে ওই দিনের, ওই মুহূর্তে বিরাজমান পরিস্থিতি ওয়্যারলেসে পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে Tactical Withdrawal for Redeployment-এর সিদ্ধান্ত নিই এবং এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত স্থানে অর্থাৎ মুহুরী নদীর দক্ষিণ তীরে ফুলগাজী ও ফেনীকে মুখ করে Redeployment করি এবং এক ব্যাটালিয়ন প্লাস সাব- সেক্টর ফোর্সসহ চতুর্মুখী প্রতিরক্ষা ব্যূহ গড়ে তুলি। সেখান থেকে আমরা শত্রুর ওপর চতুর্মুখী হামলা চালাতে থাকি। আমাদের এই উপর্যুপরি অব্যাহত হামলার মুখে শত্রুর মনোবল সম্পূর্ণ এবং শক্তি লক্ষণীয় মাত্রায় কমে আসে। আমাদের অব্যাহত হামলায় এই সময় তাদের ১৫০ জন সৈন্য হতাহত হয় এবং প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমাদের দখলে আসে। এ সময় দশম বেঙ্গল ও সাব-সেক্টরের সৈন্যদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয়ের মাধ্যমে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় গ্রামপর্যায়ে প্রায় ৮ হাজার গেরিলা যোদ্ধা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বে সমগ্র এলাকায় শত্রুর ওপর আঘাত হানা অব্যাহত রাখে।

জুলাই থেকে অক্টোবর- এই তিন মাসের রক্তক্ষয়ী ফুলগাজী যুদ্ধে ফেনী-ফুলগাজী-পরশুরাম পর্যন্ত আমরা শত্রু ঘাঁটিগুলোকে একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলি এবং শত্রু বাহিনীকে নিজ নিজ অবস্থানে ‘কনফাইন’ করে প্রচণ্ড হামলা চালাতে থাকে, যেখানে তাদের ২০০-এর মতো সৈন্য হতাহত হয়। সফল ফুলগাজী যুদ্ধের পর ৫ নভেম্বর থেকে পরশুরাম-চিথোলিয়া শত্রুর দুটি ঘাঁটির মধ্য দিয়ে ঢুকে তাদের বিধ্বস্ত করে ফেলি। এটিই ছিল ফেনী-বিলোনিয়া যুদ্ধে সেই বিখ্যাত অভিযান ‘অপারেশন ইনফিলট্রেশন।’

৫ নভেম্বর অন্ধকার শীতের রাত। টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল পুরো রাতটা যেন কিছুর প্রতীক্ষায়। রাত ৯টায় অনুপ্রবেশের কাজ শুরু করি। এমন একটা এলাকা ঘেরাওয়ের অভিযানে নেমেছি যেখানে তিন পাশেই ভারতীয় সীমান্ত। ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতে। পাশের লোকটিকেও দেখা যায় না। মুহুরী নদী ও সিলোনিয়া নদীর কোথাও বুক পানি, কোথাও পিচ্ছিল রাস্তার বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলছিল সবাই। নির্দেশ ছিল, সামান্যতম কোনো শব্দ যেন না হয়। এমনকি হাঁচি-কাশির শব্দও। বিদ্যুৎ চমকালে সবাই যেন মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে যায়। এমনকি নদী পার হতে পানির শব্দও যেন শোনা না যায়। কারণ একজন সৈনিকের একটি সামান্য ভুলে গোটা অভিযান বানচাল হয়ে যেতে পারে। অধিনায়ক হিসেবে সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করে গন্তব্যে পৌঁছানো সত্যিই কষ্টকর ব্যাপার ছিল। এই রক্তক্ষয়ী অপারেশনে শত্রু পক্ষের ২০০ সেনা হতাহত হয়। এই যুদ্ধে শত্রু বাহিনী আমাদের ওপর দু-দুবার বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা হতাহত হন। ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় বিমান হামলায় চারটি যুদ্ধবিমান প্রচণ্ড শব্দে খুব নিচ দিয়ে উড়ে এসে আমাদের এলাকায় বোম্বিং শুরু করল। চারদিকে দাউদাউ করে ঘরবাড়ি জ্বলছে। আমরা অপেক্ষায় কখন বিমানগুলো আমাদের মেশিনগানের আওতায় আসবে। দেরি হলো না। মেশিনগান থেকে ছোড়া শুরু হয় তপ্ত বুলেট। তিনটি বিমান উড়ে গেল তাদের সীমানায়। চতুর্থ বিমান যখন ফিরে যাচ্ছিল দেখলাম ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। নিশ্চিত হলাম আমাদের মেশিনগানের গুলিতে এটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। বিমানটি লাকসাম এলাকার অদূরে ভূপাতিত হয়। এ খবর জেনারেল হীরা ওয়্যারলেসে আমাকে জানান। আমি খবরটি সবাইকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে গোটা রণাঙ্গন বিজয়ের উল্লাসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। ১০ নভেম্বর রাতেই আমরা পরশুরাম ও বিলোনিয়া দখল করতে সক্ষম হলাম। সকালে দেখতে পেলাম ধান খেতের পানি রক্তবর্ণ। চারদিকে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে আছে শত্রু সৈন্যদের লাশ আর লাশ। অনেকে জখম। কারও হাত নেই। কারও পা নেই। যারা আহত হয়ে পালাতে চেয়েছিল তারাও পালাতে পারেনি। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করলাম। একজন অফিসারসহ ৭২ জন সৈনিক দশম বেঙ্গল তথা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করল। এটা ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ৩ ডিসেম্বর যুদ্ধ ঘোষণা এবং ‘মিত্রবাহিনী’ গঠনের আগে পাকিস্তানি হানাদারদের মুক্তিবাহিনীর কাছে প্রথম আত্মসমর্পণ।

১০ নভেম্বর পরশুরামে শত্রুর আত্মসমর্পণের পর আমরা ফেনী অভিযান শুরু করি। ৬ ডিসেম্বর ফেনী শত্রুমুক্ত হয়। ইতোমধ্যে আমরা ফেনী পর্যন্ত মাইনক্ষেত্রগুলো অপসারণ করতে করতে অগ্রসর হই। এর আগে ২১ নভেম্বর মুন্সীরহাটের অদূরে কালীরবাজারে আমার নেতৃত্বে এবং ভারতীয় বাহিনীর ক্যাপ্টেন কিট কোলি ও তার বাহিনীর কয়েকজন সদস্য সহকারে আমরা একযোগে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও রেইডের মাধ্যমে শত্রুর একটি আর্টিলারি গান পজিশন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করি। ৩ ডিসেম্বর আমরা ফেনীর উপকণ্ঠে পৌঁছাই এবং ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শত্রুর সঙ্গে আমাদের তিন দিন তুমুল যুদ্ধের পর শত্রু বাহিনী ৬ ডিসেম্বর ভোরের আগেই ফেনী থেকে পালিয়ে যায়। আমরা নোয়াখালী-সোনাইমুড়ী পর্যন্ত তাদের পিছু ধাওয়া করি। এ সময় তারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে যায়। ৬ ডিসেম্বর ফেনী সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। ৭ ডিসেম্বর আমরা মুক্ত করি নোয়াখালী।

ফেনী-বিলোনিয়া যুদ্ধগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন ক্যাপ্টেন শহীদ, ক্যাপ্টেন হেলাল মোরশেদ, ক্যাপ্টেন মোখলেস, ক্যাপ্টেন ইমামুজ্জামান, লে. কাইউম, ২/লে. দিদার, ২/লে. মীজান, ২/লে. সেলিম কামরুল হাসান, ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান, দশম বেঙ্গলের মেডিকেল অফিসার ডা. গফুর, ডা. হাসান ইমাম (যুদ্ধকালীন ভারতের মূর্তি থেকে এস এস-২ অফিসার্স কোর্স সমাপ্তকারী সম্মুখযোদ্ধা) ও ফ্লাইং ক্যাডেট অফিসার ওবায়দুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান (পরবর্তীতে মেজর), মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন, স্টাফ অফিসার গোলাম মুস্তাফা, সুবেদার মেজর (অপস্) নজরুল, সুবেদার মেজর মাইজুর রহমান (হেডকোয়ার্টার্স কোং) প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর
উধাও ৯০০ কেজি মাছ!
উধাও ৯০০ কেজি মাছ!
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
সর্বশেষ খবর
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন
জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা
বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী
চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি
কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত
ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম
বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই
১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর

নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশ্বজুড়ে কমলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে
বিশ্বজুড়ে কমলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা