রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
আরাভ বিতর্কের শেষ নেই

আরাভকে চিনি না : বেনজীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ দাবি করেন। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে, ‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়’ নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সাথে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নেই। আমি আমার ল’এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি; কখনোই সখ্য নয়। আপনাদের অফুরান ভালোবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।’ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার পর ভারতে পালিয়ে গিয়ে নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। আর এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’ পাওয়া এক ভাগ্যবান। দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। যিনি ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে হন আরাভ খান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আরাভ খান। ক্রিকেট বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দিয়ে দুবাইয়ে তার শোরুম উদ্বোধন করা হবে- এই ঘোষণার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণাটি ছড়িয়ে পড়ার পর নড়েচড়ে বসেন গোয়েন্দারা। পুলিশ বলছে, এ আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর