শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
গাজীপুর সিটি নির্বাচন

চমকের জয়ে জায়েদার ইতিহাস

ইভিএমের ভোটেও ধীরগতি, ভোট পড়েছে ৪৮.৭৫ ভাগ

শামীম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম সীমান্ত, খায়রুল ইসলাম, আফজাল, গাজীপুর থেকে

চমকের জয়ে জায়েদার ইতিহাস

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চমক দেখালেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। বৃহত্তম এ সিটির মেয়র নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয় ঘরে তুলেছেন তিনি। টেবিলঘড়ি প্রতীক নিয়ে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। নৌকা প্রতীক নিয়ে আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। রাত দেড়টায় নগরীর বঙ্গতাজ মিলনায়তনে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম। ফলাফল ঘোষণার সময় মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম। মায়ের বিজয়ের পর তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বিজয় কেবল তার নয়, নগরবাসীর।

গাজীপুরের নগরপিতা ও কাউন্সিলর নির্বাচন করতে গতকাল সকাল ৮টায় একযোগে ৪৮০ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আটজন। ভোটের ব্যবধানে তৃতীয় স্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট। গণফ্রন্টের মাছ প্রতীক নিয়ে আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এম এম নিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট। জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে মো. রাজু আহাম্মেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন-অর-রশীদ পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৬ ভোট। এবারের নির্বাচনে ভোট কাস্ট হয় ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৩ সালে ৬৮ শতাংশ ও ২০১৮ সালে ৫৮ শতাংশ ভোট পড়ে গাজীপুরে। সকাল ১০টার পর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন জায়েদা খাতুন। এর আগে ৯টায় নিজ বাড়ির পাশে টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন আজমত উল্লা খান। গত দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াই হলেও এবার মাঠে ছিল না বিএনপি। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। ভোট শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হওয়ায় নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী, ভোটার ও জনগণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট। নির্বাচনে ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৪৫ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গাজীপুর সিটিতে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ ও হিজড়া ১৮ জন।

সরেজমিন গাজীপুর নির্বাচন : দুয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে গাজীপুর সিটি নির্বাচন। কিছু কেন্দ্রে সকাল থেকেই ছিল ভিড়। কিছু কেন্দ্রে ভোটার অনুপস্থিতির কারণে দিনভর অলস সময় পার করতে দেখা গেছে নির্বাচন কর্মকর্তাদের। অনেক দৃষ্টিহীন ও সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকেও অন্যের সহযোগিতা নিয়ে কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে। কেন্দ্রগুলোয় নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সরব উপস্থিতি থাকলেও অন্য মেয়র প্রার্থীদের এজেন্ট ও কর্মী তেমন চোখে পড়েনি। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটের আমেজ তৈরি হয়েছিল কাউন্সিলর প্রার্থীদের সরব উপস্থিতিতে। ইভিএম নিয়ে তরুণ ভোটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও নিয়ম না জানায় অনেক বয়স্ক মানুষ বিপাকে পড়েন। আঙুলের ছাপ না মেলায়ও ঝামেলায় পড়েন অনেক ভোটার। কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমে ত্রুটি দেখা দেয়। টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট শুরুর পরপরই দুটি বুথের ইভিএমে সমস্যা দেখা দেয়। ইভিএমে ত্রুটির কারণে আজিমুদ্দিন কলেজ কেন্দ্রের একটি বুথে এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকে।

আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট- ইসি : নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হওয়ায় নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী, ভোটার ও জনগণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট। ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রার্থীরা গণমাধ্যমে সন্তুষ্টির কথা বলেছেন, যে ফলাফলই আসুক তারা মেনে নেবেন বলেছেন। সবাই অত্যন্ত সন্তুষ্ট। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিকাল সাড়ে ৫টায় এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ চার নির্বাচন কমিশনারের দিনভর সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এ নির্বাচন কমিশনার। এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪টার পরও অর্ধশত ভোট কেন্দ্রে ভোটার থাকায় ভোট গ্রহণ শেষ হয় ৬টা ৫০ মিনিটে।

জাতীয় নির্বাচনের আট মাস বাকি থাকতে শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটির ভোট। তবে ভোটের ফলাফল দিতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রার্থীরা। আগামী মাসে আরও চার সিটি নির্বাচন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সবার নজর ছিল গাজীপুর সিটির ভোটের পরিবেশের দিকে। বড় ধরনের গোলযোগ-অভিযোগ ছাড়াই নির্বাচন হওয়ায় ব্রিফিংকালে ইসির সবার মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি পরিলক্ষিত হয়। মো. আলমগীর বলেন, প্রায় ১২ লাখ ভোটারের এ নির্বাচনে দিনভর ভালো ভোটার উপস্থিতি ছিল। বিকালেও অনেককে কেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে দেখা গেছে। নির্বাচনের শেষ সময়ে কেন্দ্রের বেষ্টনীর মধ্যে ভোটার থাকলে আইন অনুযায়ী তার ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন অব্যাহত রাখার বিধান রয়েছে। তাই সময় শেষেও ভোট গ্রহণ করা হয়।’ মো. আলমগীর জানান, ভোট দিতে লাইনে অপেক্ষা, আগে এলে আগে ভোট দেওয়া ও দু-একটি কেন্দ্রে এজেন্ট প্রভাবিত করার চেষ্টা করার বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে এজেন্টরা ভোটারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের আটক করা হয়েছে।

ভিসানীতি আন্তরাষ্ট্রীয় ব্যাপার- ইসি : বাংলাদেশে সুষ্ঠু ভোটে বাধা দিলে দায়ী ব্যক্তিদের ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নয় নির্বাচন আয়োজনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন। তবে একজন কমিশনার বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন তা তারা করবেন। যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান স্পষ্ট করার পরদিন গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘এটা আন্তরাষ্ট্রীয় বিষয়, নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়। তাদের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা এবং এ জন্য সবকিছুই করবেন তারা। সে বিষয়ে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের সঙ্গে তাদের বোঝাপড়া আছে কি না সেটা তারা বলতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই।’

সিসি ক্যামেরায় দেখে দুজন আটক : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গোপন কক্ষে প্রবেশ ও ভোটদানে প্রভাবিত করায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে গাজীপুর সিটির ভোট সিসিটিভিতে মনিটরিং করে দুজনকে আটকের নির্দেশনা দেয় ইসি। আটকরা হলেন- ১০১ নম্বর কেন্দ্রে রিয়াদুল ইসলাম রিয়াজ এবং ১০৩ নম্বর কেন্দ্রে আবু তাহের। এর মধ্যে আবু তাহের নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ছিলেন।

অনেক কেন্দ্রে ভিড় থাকলেও ভোটার ছিল কম : বেলা ১১টায় গাজীপুর সদরের পশ্চিম চান্দনা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট কেন্দ্রের মাঠভর্তি মানুষ। কেউ দলবেঁধে গল্প করছিলেন, কেউ তুলছিলেন সেলফি। অন্যদিকে ভোট গ্রহণের প্রতিটা কক্ষে ভোটারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন পোলিং এজেন্ট ছাড়াও ছয়জন করে কর্মকর্তা। ছিল না ভোটারের লাইন।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ডা. আল মামুন বলেন, ‘ভোট শুরুর এক ঘণ্টা পর একবার গুনেছিলাম। ৫ শতাংশের মতো কাস্ট হয়েছিল। এরপর আর গণনা করিনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। একই স্থানে চান্দনা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ শাখা ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়, একটি বুথে ৩৫৯ ভোটারের মধ্যে তিন ঘণ্টায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৬৪ জন। আরেকটি বুথে ৩৬৬ ভোটের মধ্যে তিন ঘণ্টায় কাস্ট হয়েছে ৪০ ভোট।’

ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট কেন্দ্রে ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধা : গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গতকাল সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অনেককে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে গাজীপুর সদরের আলেকজান বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ৭৩ বছর বয়স্ক সাহারা খাতুন। লাঠিতে ভর দিয়েও হাঁটতে না পারা মানুষটি দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন। সঙ্গে থাকা বৃদ্ধার ছেলে জহুরুল ইসলাম বলেন, সাত বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন মা। আগের রাতেই ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। প্রার্থীরা বয়স্ক ভোটারদের যাতায়াতে গাড়ি দিয়েছেন। তবে আমি নিজেই আমার মাকে নিয়ে এসেছি। আলেকজান স্কুলের নারী ও পুরুষ উভয় কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। একইভাবে দুই ছেলের হাত ধরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ধীরাশ্রম জি কে উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেন সত্তরোর্ধ্ব মাহাম্মদ আলী। লাইনে না দাঁড়িয়েই ভোট দেওয়ার সুযোগ পান তিনি। একই কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখা যায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক বৃদ্ধকে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া জানতে চাইলে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, অল্প কিছু ভোটার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। ব্রেইল পদ্ধতি নেই। এমন ভোটার যারা আছেন তারা কোনো স্বজনকে নিয়ে ভোট দিতে পারেন।

কোথাও ভোটারের চাপ, কোথাও ফাঁকা : ধীরাশ্রম জি কে উচ্চবিদ্যালয়ের ২২৭ নম্বর পুরুষ কেন্দ্রের ২ হাজার ৯২৯ ভোটারের মধ্যে বেলা ২টা নাগাদ ভোট দেন ১ হাজার ৭০৩ জন (৫৮ শতাংশ)। পাশেই ২২৮ নম্বর নারী কেন্দ্রে তখন পর্যন্ত ভোট প্রদান করেন ৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে বেলা ৩টার দিকে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারের উপস্থিতি নেই বললে চলে। ৩৫৩ নম্বর পুরুষ কেন্দ্রের অধিকাংশ বুথেই ছিল না কোনো ভোটার। ওই কেন্দ্রের ১ হাজার ৮২৯ ভোটের মধ্যে বেলা ৩টা পর্যন্ত কাস্ট হয় ৭৫৯ ভোট (৪১ শতাংশ)। পাশেই ৩৫৫ নম্বর নারী ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৭১৫ ভোটের মধ্যে ৩টা পর্যন্ত কাস্ট হয় ৬৭১ ভোট (৩৯ শতাংশ)। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল হালিম বলেন, ‘আশা ছিল বিকালের দিকে ভোটার বাড়বে। তবে লোকজন নেই।’ সাড়ে ৩টার দিকে পার্শ্ববর্তী সিলমুন আবদুল হাকিম মাস্টার উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে গিয়েও ভোটারের দেখা মেলেনি। ৩৫৯ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ‘ভোটের হিসাব করা হয়নি। তবে অন্তত ৬২ শতাংশ ভোট কাস্ট হবে।’

বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ : সালনার নাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগপন্থি দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজনকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় দেখা যায়। এদিকে কাজী আজিমুদ্দিন কলেজ কেন্দ্রে বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে একদল তরুণের সঙ্গে র‌্যাব ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। উপস্থিত ভোটাররা জানান, একদল তরুণ এক প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়লে পুলিশ ও র?্যাবের যৌথ দল লাঠিপেটা করে তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে ওই তরুণরা পুলিশ-র‌্যাবের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করে। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে মিনিট দশেক।

 

সর্বশেষ খবর