স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের তরুণ প্রজন্মের মতামত নিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। ইশতেহার ঘোষণার আগে তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে দ্বিতীয়বারের মতো গতকাল তাদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৮ সালে তরুণদের জন্য ‘দিন বদলের সনদ’ ইশতেহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তরুণদের কথা মাথায় রেখেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণের কথা বলেছেন তিনি। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বরাবরই তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার। এ কারণেই তরুণদের সঙ্গে আরও একবার মুখোমুখি আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক অনুষ্ঠানের পর এবার আরও একবার ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তরুণদের সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করলেন তিনি। গতকাল বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে লেটস টক অনুষ্ঠান রেকর্ড করা হয়। অনুষ্ঠানটি ২৮ ডিসেম্বর সম্প্রচার করা হবে।
এবারের লেটস টক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এবং তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিশেষ পর্বে তরুণরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও মতামত সরাসরি জানান প্রধানমন্ত্রীকে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জীবন ও ভাবনা নিয়েও বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে আসে অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশের সর্বশেষ জনশুমারির পরিসংখ্যান বলছে, তারুণ্যের জয়গান চলছে দেশজুড়ে। মোট জনসংখ্যার ৪ ভাগের ১ ভাগ এখন তরুণ যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। মোট সংখ্যায় ৪ কোটি ৭৪ লাখের বেশি। জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বর্তমানে কর্মক্ষম জনশক্তির সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ। আর এ জনমিতি কাজে লাগাতে তরুণদের মতকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত এ কারণেই তরুণদের সঙ্গে দেশের নীতিনির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা, তাদের চাওয়াপাওয়াগুলো সরাসরি জানা এবং দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনার জন্য আরও একবার সিআরআই আয়োজিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে এলেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে অংশগ্রহণকারী ২৫০ জনের বেশি তরুণ-তরুণীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণ, চেঞ্জমেকার, ইনফ্লুয়েন্সার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ট্রান্সজেন্ডারসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ বিষয়ে আয়োজক সিআরআই জানায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ইশতেহারে তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে সব কর্মসূচি ঘোষণা করে যার অন্যতম ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতা সবার সামনে। নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে আর এ সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তরুণসমাজ। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের কাছ থেকে তাদের কথা সরাসরি জানতে চান। তরুণদের নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা বলতে চান। এরই অংশ হিসেবে আরও একবার আয়োজন করা হলো ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার লেটস টক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হলা এ অনুষ্ঠান। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠানের সময়সূচি পরে জানা যাবে সিআরআই ও ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।
