পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধিতে মোটিভেশনাল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে অধিকতর জনবান্ধব মন্ত্রণালয়ে পরিণত করা হবে। বিভিন্ন প্রকার দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ম্যান্ডেটেড কর্মকান্ড চলমান রেখে বর্তমান জনপ্রত্যাশার আলোকে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, গাড়ির হর্নজনিত শব্দদূষণ বন্ধ, নদীদূষণ রোধে উদ্যোগ গ্রহণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উন্নয়ন, পাহাড় রক্ষা, বন সংরক্ষণ, জলাশয় ভরাট রোধ, উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন ইত্যাদি কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মন্ত্রণালয়ের কাজে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থা, সংগঠন, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, প্রাইভেট সেক্টর, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীসহ অন্যদের সঙ্গে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করা হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরসমূহের অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রম গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে নিয়মিত জাতীয় পরিবেশ কমিটির সভা আহ্বান করা হবে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হবে। এর আগে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে পৌঁছালে মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।